উচ্ছ্বাস: শন মার্শকে ফেরানোর পরে মহম্মদ আব্বাস। এএফপি
প্রথম দিনটা যদি হয় নেথান লায়নের। দ্বিতীয় দিন অবশ্যই তা মহম্মদ আব্বাসের।
আবু ধাবিতে দ্বিতীয় টেস্টে মঙ্গলবার লায়নের ঘূর্ণিঝড়ে যেমন পাকিস্তান প্রথমে ধাক্কা খেয়েও নিজেদের সামলে নিয়েছিল, অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটসম্যানরা কিন্তু বুধবার আব্বাসের তোলা গতির ঝড় সামলাতে পারলেন না। ১৪৫ রানে অল আউট হয়ে গেল তারা। দ্বিতীয় দিনের শেষে পাকিস্তান ২৮১ রানে এগিয়ে। হাতে আট উইকেট। লিডটা কোথায় নিয়ে গিয়ে শন মার্শদের ব্যাট করতে দেবেন পাকিস্তানিরা, সেটাই দেখার।
প্রথম ইনিংসে পাকিস্তানের ২৮২-র জবাবে ব্যাট করতে নেমে অস্ট্রেলিয়া ১০০ রানে পৌঁছনোর আগেই সাত উইকেট হারিয়ে বসে। এর মধ্যে চার শিকারই ২৮ বছর বয়সি আব্বাসের, যিনি এর আগে দুবাই টেস্টেও দুই ইনিংসে সাত উইকেট নিয়েছিলেন। আগের দিনই জোড়া উইকেট নিয়ে অস্ট্রেলিয়াকে শুরুতেই ধাক্কা দেওয়ার পরে এ দিন মার্শ ও ট্রাভিস হেডকে ফিরিয়ে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিংয়ের মেরুদন্ড ভেঙে দেন তিনি। দু’জনেরই আউট যেন একে অপরের ফিরে যাওয়ার রিপ্লে। অফ স্টাম্পের বাইরের বল ব্যাটের কানা ছুঁয়ে স্লিপে ক্যাচ। শেষে মিচেল স্টার্ককে এলবিডব্লিউ-র ফাঁদে ফেলে দেন তিনি।
সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে খেলতে আসা অস্ট্রেলিয়ার মিডল অর্ডার ব্যাটিংয়ের দৈন্যদশা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিলেন পাকিস্তানের বোলাররা। নবম টেস্ট খেলা আব্বাসের ৩৩ রানে পাঁচ উইকেট নেওয়া দেখে প্রাক্তন ইংল্যান্ড অধিনায়ক মাইকেল ভন অবাক। তিনি মন্তব্য করেন, ‘‘এই ছেলেটাকে আমি এক বছরেরও বেশি সময় ধরে দেখছি। আমি ব্যাট করলে ও তো বোধহয় আমাকে প্রতি বলে আউট করত।’’
দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামা পাকিস্তানের ব্যাটিংয়ে কিন্তু সেই ছবি দেখা যাচ্ছে না, যা দেখা গিয়েছিল অ্যারন ফিঞ্চদের ব্যাটিংয়ে। ওপেনার ফখর জমান ৬৬ রান করে ফিরে যাওয়ার পরে আজহার আলিও ৫৪ রান করে ফেলেছেন। অস্ট্রেলিয়া দিনের শেষে ১৪৪-২, যা সরফরাজ আহমেদদের টেস্ট জয়ের স্বপ্ন দেখাচ্ছে। প্রথম টেস্ট জয়ের কাছে গিয়েও জিততে পারেনি পাকিস্তান। অস্ট্রেলিয়ার ওপেনার উসমান খোয়াজা ১৪১ রান করে দলকে বিপদ থেকে উদ্ধার করেছিলেন। এ বারও সে ভাবেই কেউ তাঁদের উদ্ধার করতে পারেন কি না, সেটাই দেখার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy