ভারতের কাছে হেরে যে ধাক্কাটা খেয়েছিল তারা, তা সামলে উঠে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে প্রবল ভাবে ঘুরে দাঁড়াল পাকিস্তান। এজবাস্টনে বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার ২১৯ রানের জবাবে ২৭ ওভারে পাকিস্তানের রান ১১৯। বৃষ্টির জন্য খেলা আর শুরু না হওয়ায় ডাকওয়ার্থ-লুইস নিয়ম অনুযায়ী, ১৯ রানে ম্যাচ জিতল পাকিস্তান। ২৪ রানে তিন উইকেট নিয়ে ম্যাচের নায়ক হাসান আলি।
মিডল অর্ডারে ক্রিস মরিস ও কাগিসো রাবাডা ডেভিড মিলারকে সঙ্গ না দিলে এ দিন দক্ষিণ আফ্রিকা হয়তো দু’শোও পেরোত না হয়তো। শেষ পর্যন্ত ২১৯-৮-এ শেষ করে তারা। পাল্টা ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তানও কিছুটা চাপের মুখে পড়ে। ২০ ওভারে ৭৬-২ হয়ে যায়। দুই ওপেনারই ফিরে যান ৪১ রানের মধ্যে
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনালে ওঠার দৌড়ে টিকে থাকতে হলে বুধবার জয় দরকার ছিল সরফরাজদের। বুধবার এজবাস্টনের মাঠে প্রথম ওভার থেকেই সেই উদ্যোগ শুরু করে দেন পাকিস্তানিরা। টস জিতে ব্যাটিং নেওয়ার সিদ্ধান্তটা যে ঠিক হয়নি, শুরুতেই তা টের পান আফ্রিকানরা। ৯০ রানের মধ্যে ড্রেসিংরুমে ফিরে আসেন টপ অর্ডারের চার ব্যাটসম্যান কুইন্টন ডি কক, হাসিম আমলা, ফাফ দু প্লেসি ও এবি ডি’ভিলিয়ার্স। ডি’ভিলিয়ার্স এই প্রথম কোনও ওয়ান ডে ম্যাচে প্রথম বলে আউট হলেন।
আরও পড়ুন: কার্ফু তুলে বিরাটদের বলা হল, লন্ডন উপভোগ করো
আগের ম্যাচের চেয়ে অনেক ভাল পরিকল্পনার ছাপ এবং নিখুঁত বোলিং দেখা যায় পাকিস্তানের পাফরম্যান্সে। অনেক উদ্দীপ্ত ফিল্ডিংও দেখান তাঁরা। এই অচেনা পাকিস্তানই চমকে দেয় দক্ষিণ আফ্রিকাকে। মহম্মদ আমির ও জুনেইদ খানের বোলিং জুটি শুরু থেকেই এ দিন আফ্রিকান ব্যাটসম্যানদের বেঁধে রেখেছিল। ভারতের বিরুদ্ধে যিনি বোলিংই করেননি, সেই মহম্মদ হাফিজ এদিন পুরো দশ ওভার বল করেন।
ভারতের বিরুদ্ধে এর আগেও সফল হওয়া জুনেইদ খানকে আগের দিন না নেওয়াটা যে সত্যিই ভুল হয়েছিল, তা এ দিন প্রমাণ করে দেন জুনেইদ। তবে তার আগে হাসান আলি ও ইমাদ ওয়াসিমদের দাপটে বিপদে পড়ে ডি’ভিলিয়ার্সের দল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy