জুটি: ঢাক বাজাচ্ছেন কালু। পিছনে সাম্বা ভিয়েরার। মুগ্ধ লিংডো ও অরিন্দম (বাঁ দিক থেকে)। ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক
দিল্লিতে দীপাবলির রোশনাই তাঁকে মুগ্ধ করেছিল গত মরসুমে। কিন্তু দুর্গাপুজো শুরু হওয়ার আগেই যে-ভাবে উৎসবে মেতে উঠেছে কলকাতা, তাতে অভিভূত কালু উচে।
বৃহস্পতিবার সকালে কাঁকুড়গাছির আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র পার্কে ত্রিনয়নীর পুজো মণ্ডপে গেরসন ভিয়েরা, ইউজেনসন লিংডো ও অরিন্দম ভট্টাচার্যের সঙ্গে হাজির হয়েছিলেন কালু। ছিলেন এটিকের কর্ণধার সঞ্জীব গোয়েন্কাও। আইএসএলে টানা দু’ম্যাচ হারলেও পুজো মণ্ডপে একেবারে অন্য মেজাজে পাওয়া গেল এটিকে-র চার তারকাকে।
দক্ষিণ আফ্রিকায় ২০১০ সালে নাইজিরিয়ার হয়ে বিশ্বকাপ খেলা কালু বাজালেন ঢাক। নাচলেন ২০০৯ সালে অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপে ব্রাজিলের অধিনায়ক ভিয়েরা। যা দেখে অবাক দুই ভারতীয় তারকাও। এক জন তো কালুকে প্রশ্নই করে বসলেন, ‘‘ঢাক বাজানো শিখলে কোথায়?’’ নাইজিরীয় বিশ্বকাপার বললেন, ‘‘আমি তো ড্রাম বাজাতে পারি। নাইজিরিয়ায় আমাদের একটি ব্যান্ড ছিল, আমি সেখানে ড্রাম বাজাতাম।’’ কম যান না ভিয়েরা। সাম্বা নেচে মন জয় করলেন তিনি।
গত সাত বছরে কখনও দুর্গাপুজোর সময় কলকাতায় থাকতে পারেননি অরিন্দম। সেই আক্ষেপ যেন বৃহস্পতিবার সকালেই মিটিয়ে নিলেন বাঙালি গোলরক্ষক। বুঝিয়ে দিলেন, ঢাক বাজানো এখনও তিনি ভোলেননি। গিটার বাজাতে দক্ষ লিংডোও চেষ্টা করলেন ঢাক বাজাতে। কিন্তু বারবার তাল কেটে যাওয়ায় কালুর হাতে তুলে দিলেন ঢাকের কাঠি। বলছিলেন, ‘‘আমি গিটার বাজাই। প্রথম বার ঢাক বাজালাম বলেই হয়তো তাল কেটে যাচ্ছিল। তবে একটু চেষ্টা করলে ঢাকও বাজাতে পারব।’’
শুধু ঢাক বাজানো নয়। আইএসএলে ঘুরে দাঁড়ানোর ব্যাপারেও আত্মবিশ্বাসী লিংডো। বললেন, ‘‘প্রথম দু’টো ম্যাচে হেরে আমরা একটু পিছিয়ে পড়েছি। আশা করছি, দ্রুত ঘুরে দাঁড়াব।’’ একই মত কালুর। গত মরসুমে দিল্লি ডায়নামোজ এফসিতে ছিলেন তিনি। অষ্টমীর দিন পুরনো ক্লাবের বিরুদ্ধে ম্যাচ। কালু অবশ্য জানিয়ে দিলেন, তাঁর কোনও চাপ নেই। বললেন, ‘‘এই মরসুমে আমি এটিকে-র ফুটবলার। আমার কাজ দলের হয়ে নিজেকে উজাড় করে দেওয়া। তাই প্রতিপক্ষ দিল্লি হলেও আমার কোনও সমস্যা নেই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy