যা সুস্পষ্ট, সেটা আবার ঘটতে চলেছে। ব্ল্যাক ক্যাপসের চিত্রনাট্য একটুও পাল্টায়নি। তৃতীয় টেস্টের তৃতীয় দিনের শেষে ভারত ম্যাচটার পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে। অবশ্যাম্ভাবী ফল কতটা দেরিতে আনা যায়, তার পুরোটা এখন নিউজিল্যান্ডের হাতে। যদিও আমার মনে হয় ব্যাপারটা ইতিমধ্যেই আমাদের অতিথিদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গিয়েছে।
ফলো-অন না করিয়ে আবার ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত। আমার মতে যা সঠিক সিদ্ধান্ত। ওরা চাইবে ব্যাটিংয়ের ধাক্কা বিপক্ষকে ম্যাচ থেকে বের করে দিতে। ভারতীয় বোলারদের বিশ্রাম দিয়ে। লিডের অঙ্ক এর মধ্যেই তিনশোর কাছাকাছি। আমি নিশ্চিত ভারত চাইবে সেটাকে এমন একটা জায়গায় নিয়ে যেতে যাতে মনে মনে নিউজিল্যান্ড এটা জেনে যায় যে, হার স্বীকার করা স্রেফ সময়ের অপেক্ষা।
এ রকম অবস্থায় ব্যাটসম্যান সবচেয়ে বেশি বিভ্রান্তিতে ভোগে। ব্যাটসম্যান বুঝতে পারে না, এখন কী করা উচিত? ক্রিজে টিকে থাকা, না স্বাভাবিক ভাবে খেলা? গত বছর দিল্লিতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ঠিক এই জিনিসটা করতে দেখেছি। ওই ম্যাচেও কিন্তু অতিথি দল নিশ্চিত হারের দিকে এগোচ্ছিল।
এই ট্র্যাকে ভারতীয় স্পিনাররা যে ভাবে বল করেছে, বিশেষ করে অশ্বিন, তার আলাদা প্রশংসা প্রাপ্য। পিচটা স্লো। বল অবশ্যই ঘুরছে। কিন্তু ট্র্যাকটা স্লো বলে ব্যাটসম্যান যথেষ্ট সময় পাচ্ছে অ্যাডজাস্ট করার। অশ্বিন সেখানে অব্যর্থ নিশানায় বল করে গেল। এমন নিখুঁত লাইনে রাখছিল যে, ব্যাটসম্যান লাইন মিস করলেই শেষ। চতুর্থ ইনিংসে যখন নিউজিল্যান্ড ব্যাট করবে, তখন পিচটা আরও জ্যান্ত হয়ে যাবে। আর ভারতীয় স্পিনার আর পেসার মিলে ধারাবাহিক ভাবে যে লাইনে বল করে যাচ্ছে, তাতে চতুর্থ ইনিংসে ওরা কেন উইলিয়ামসন আর ওর টিমের দিকে বিশাল চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেবে।
এ বার একটু ব্যক্তিগত ব্যাপারে আসি। আজ, মঙ্গলবার ব্যাট করতে তৈরি থাকাটা গৌতম গম্ভীরের পক্ষে ভীষণ জরুরি। ওর কেরিয়ার যদি এগোতে হয়, তা হলে এই টেস্টের শেষে রানটা গম্ভীরের খুব দরকার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy