Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

মোহরকুঞ্জ থেকে বহুতল সাজছে গোলাপি আলোয়

মোহরকুঞ্জের বিশাল বাগান থেকে শহরের সব চেয়ে উঁচু বাড়ি ‘দ্য ৪২’—সাজানো হচ্ছে গোলাপি আলোর মালায়। কোথাও ব্যক্তিগত উদ্যোগে, কোথাও পুরসভার তত্ত্বাবধানে খেলা শুরুর দু’দিন আগেই জ্বলবে গোলাপি রংয়ের বাল্ব।

মোহরকুঞ্জ। —ফাইল ছবি

মোহরকুঞ্জ। —ফাইল ছবি

রতন চক্রবর্তী
শেষ আপডেট: ১৭ নভেম্বর ২০১৯ ০৩:৫১
Share: Save:

ইডেনে দিনরাতের গোলাপি বলে টেস্টকে স্মরণীয় করে রাখতে চাইছে সিএবি। শুধু স্টেডিয়ামের ভিতরে বা বাইরে নয়, গোলাপি আভায় শহর মুড়ে দেওয়ার উদ্যোগ শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই গোলাপি বল চলে এসেছে। ম্যাচের দিন প্যারাশুটে করে সেনাকর্মীরা সেই বল তুলে দেবেন দু’দেশের অধিনায়কের হাতে। কিন্তু পুরসভার খবর, তার দু’দিন আগেই শহর সেজে উঠবে নতুন রঙে।

মোহরকুঞ্জের বিশাল বাগান থেকে শহরের সব চেয়ে উঁচু বাড়ি ‘দ্য ৪২’—সাজানো হচ্ছে গোলাপি আলোর মালায়। কোথাও ব্যক্তিগত উদ্যোগে, কোথাও পুরসভার তত্ত্বাবধানে খেলা শুরুর দু’দিন আগেই জ্বলবে গোলাপি রংয়ের বাল্ব।

রবীন্দ্র সদনের উল্টোদিকে বিশাল মোহরকুঞ্জের সবুজ রং বদলে যাবে কয়েক দিনের মধ্যেই। গাছে ভরা এই দর্শনীয় উদ্যানের সর্বত্র লাগানো হচ্ছে আলো। গ্র্যান্ড হোটেল ও পার্ক স্ট্রিটের সামনের যে রাস্তাকে বাগান দু’ভাগে করে রেখেছে, সেখানে লাগানো হচ্ছে গোলাপি বাল্ব। যার আলোয় ইডেনে আসার রাস্তায় ছড়িয়ে পড়বে গোলাপি আভা। কলকাতা পুরসভার মেয়র পারিষদ (উদ্যান) দেবাশিস কুমার শনিবার বললেন, ‘‘এই ম্যাচের সঙ্গে শহরের আবেগ জড়িত। সিএবি-র অনুরোধে পুরসভা শহর সাজাচ্ছে গোলাপি আলোয়। টেস্ট শুরুর দু’দিন আগে থেকেই জ্বলবে আলো। শহরের কয়েকটি বাড়িও সাজবে।’’

স্বাধীনতা দিবস হোক বা প্রজাতন্ত্র দিবস—শহরের সবচেয়ে উঁচু ৬২ তলা বাড়ি সাজে জাতীয় পতাকার রঙের আলোয়। ইডেনের টেস্ট উপলক্ষে সেই বাড়ির রংও হয়ে যাবে গোলাপি। তার পাশের আর একটি লম্বা নামী বাণিজ্য সংস্থার বাড়িও সাজানো হচ্ছে একই ভাবে। সিএবি কর্তারা চান, শহিদ মিনার-সহ শহরের আরও কিছু বাড়ির রং হোক গোলাপি। এমনিতে শহরের দর্শনীয় স্থান শহিদ মিনারে রাতে সাত রংয়ের আলো জ্বলে। প্রতি দু’মিনিট অন্তর রং বদলায় ওই মিনার। সেটা গোলাপি করতে হলে কলকাতা পুলিশ এবং পূর্ত দফতরের অনুমতি প্রয়োজন। শুধু শহিদ মিনার নয়, ইডেন ঘিরে রাস্তার উপর যে বরণীয় ব্যক্তিদের মূর্তি রয়েছে, তার রেলিংয়ে আলো লাগাতে গেলেও পূর্ত দফতরের অনুমতি দরকার। টেস্ট শুরুর ছয় দিন আগে অবশ্য পুলিশ বা পূর্ত দফতরের কাছে কোনও আবেদন জমা পড়েনি বলে খবর। অন্তত ময়দান ডিভিশনের পূর্ত-কর্তারা সেই দাবি করছেন। সিএবির এক কর্তা ফোন করছেন বিভিন্ন বাণিজ্যিক সংস্থার কাছে ও সরকারি দফতরে। খোঁজ নিয়ে জানা গেল, হাওড়া ব্রিজ, দ্বিতীয় হুগলি সেতু বা ‘মা’ ফ্লাইওভার সাজানোর কোনও আবেদন সিএবি-র পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট দফতরের রাছে এখনও যায়নি। তবে ইডেনের আশেপাশেও গোলাপি আভা ছড়িয়ে পড়লে অবাক হওয়ার নেই।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Mohor Kunja Eden Gardens Pink Ball
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE