শঙ্করলাল সঙ্গে ডিকা।ফাইল চিত্র।
সাত সকালে মোহনবাগান অনুশীলনে নেমেই কোচের তৈরি প্রশ্নমালার সামনে ডার্বি ম্যাচের গোলদাতা পিন্টু মাহাতো, হেনরি কিসেক্কা।
শুক্রবার সকালে মোহনবাগান মাঠে অনুশীলনের আগে দু’জনকে দাঁড় করিয়ে প্রশ্ন শুরু করলেন কোচ শঙ্করলাল চক্রবর্তী। যার নমুনা এ রকম— তোমরা বড় ম্যাচে গোল করায় দল কি জিতেছে? তোমাদের কাজ শেষ? কলকাতা লিগ কি আমরা জিতেছি? এ বারও লিগ না পেলে তোমাদের পারফম্যান্স দাম পাবে?
তিনটি প্রশ্নেই উত্তর ভেসে আসে ‘না’। পিন্টু, হেনরির সঙ্গে এ বার দিপান্দা ডিকাকে দাঁড় করিয়ে ফের শুরু মোহনবাগান কোচের প্রশ্ন, ‘‘তা হলে কলকাতা লিগ জিততে গেলে আমাদের কী করতে হবে এ বার?’’ তিন ফুটবলারই বলে দেন, ‘‘বাকি দুই ম্যাচ জিততে হবে।’’ ফের কোচের প্রশ্ন, ‘‘আপাতত প্রথম কাজ কী?’’ পিন্টু, ডিকারা বলেন, ‘‘১২ সেপ্টেম্বর জিততে হবে কাস্টমসের বিরুদ্ধে।’’ যা শুনে তিন জনের পিঠ চাপড়ে অনুশীলন শুরু করে দেন মোহনবাগান কোচ। তাঁবু ছাড়ার আগে দিপান্দা ডিকাকে কোচ বলে যান, ‘‘সর্বোচ্চ গোলদাতা হলেই চলবে না। ক্লাবকে ট্রফিও দিতে হবে। ইস্টবেঙ্গল পয়েন্ট হারালেও মোহনবাগান কিন্তু চ্যাম্পিয়ন হয়নি। কাজেই আনন্দের কিছু নেই। আত্মতুষ্ট হলেই বিপদ। কাস্টমস কিন্তু পয়েন্ট কেড়েছিল ইস্টবেঙ্গলের থেকে।’’
এ দিন ফিজিক্যাল ট্রেনারের কাছেই বেশি সময় কাটান মোহনবাগান ফুটবলাররা। ১০ সেপ্টেম্বর মোহনবাগান মাঠে খেলা ছিল পিয়ারলেস বনাম টালিগঞ্জের। সে দিন বৃষ্টি হলে মাঠের অবস্থা খারাপ হতে পারে তাই মোহনবাগান কর্তারা ম্যাচ সরানোর আবেদন করেছিলেন আইএফএ-তে। রাতে জানা যায়, পিয়ারলেস ম্যাচ সরে গিয়েছে বারাসতে। নয় বছর পরে কলকাতা লিগ জিততে সব প্রস্তুতিই চলছে মোহনবাগানে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy