ফুরফুরে: কোচ খালিদের সঙ্গে ডিকা এবং কিংসলে। ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক
মহারণের আটচল্লিশ ঘণ্টা আগে দুই শিবিরে দু’রকম ছবি।
সল্টলেকের সাই কমপ্লেক্সে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায় যখন আই লিগের ফিরতি ডার্বির মহড়ায় ব্যস্ত ইস্টবেঙ্গল, সবুজ-মেরুন শিবিরে তখন খোলামেলা পরিবেশ।
শুক্রবার দুপুরে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন সংলগ্ন মাঠে মোহনবাগানের অনুশীলন শুরু হওয়ার আগে দেখা গেল অদ্ভুত দৃশ্য। এক জন ফুটবলার আর এক জনের কানে কানে কিছু বলছেন। তার পরে সবাই প্রাণখোলা হাসিতে মেতে উঠছেন। খালিদ জামিলের মতো গম্ভীর কোচও যোগ দিয়েছেন। কী ব্যাপার? সবুজ-মেরুন অন্দরমহলে খোঁজ নিয়ে জানা গেল, ডার্বির চাপ কমাতেই এই ভাবনা খালিদের। কিন্তু কী বলছিলেন দিপান্দা ডিকা-রা যে সবাই হাসছিলেন? এক ফুটবলার বললেন, ‘‘ধরুন আমি কাউকে বললাম জল। তাঁকে তিন সেকেন্ডের মধ্যে বিপরীত শব্দ বলতে হবে। আমি ইচ্ছে করেই কঠিন কঠিন শব্দ বলছিলাম যাতে কেউ উত্তর দিতে না পারে। অনেকে তো এমন শব্দও বলছিল, যার কোনও অর্থই হয় না। তাই সবাই হাসছিল।’’ এখানেই শেষ নয়। ডার্বির আগে মোহনবাগানের শেষ প্রহরী শিল্টন পাল কি না অনুশীলন করলেন ইস্টবেঙ্গলের গোলরক্ষক কোচ অভ্র মণ্ডলের কাছে! সাইয়ে এখন রেভিনিউ ফুটবল প্রতিযোগিতা চলছে। শিল্টন ও অভ্র দু’জনেই আয়কর বিভাগের কর্মী। এ দিন অফিসের হয়ে খেলতে নামার আগে তাই সহকর্মীকে অনুশীলন করালেন অভ্র।
সবুজ-মেরুন শিবিরে বদলে যাওয়া আবহে একমাত্র সনি নর্দেই ব্যতিক্রম। ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে আই লিগের প্রথম পর্বের ডার্বিতে চোটের জন্য খেলতে না পারায় সমালোচনার তিরে বিদ্ধ হয়েছেন তিনি। রবিবার যুবভারতীতে নিজেকে প্রমাণ করতে মরিয়া সনি। অনুশীলন শেষ করে অধিকাংশ ফুটবলার ফিরে গিয়েছেন ড্রেসিংরুমে। কিন্তু ওমর এলহুসেইনিকে সঙ্গে নিয়ে সনি গোল লক্ষ্য করে একের পর এক শট মেরে চললেন। থমথমে দেখা গেল আর এক বিদেশি তারকা ইউতা কিনোয়াকি-কেও। ডান পায়ের পেশিতে চোট পেয়ে অনুশীলন ছেড়ে বেরিয়ে যান। বাকি সময় পায়ে আইসপ্যাক লাগিয়ে বসেছিলেন। ডার্বিতে খেলতে পারবেন কি না, তা সময়ই বলবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy