হরমনপ্রীত কৌর। যার হাত ধরেই ফাইনালে উঠেছিল ভারত। ছবি: রয়টার্স।
দিন বদলায় হয়তো এ ভাবেই!
পুলিশে সামান্য একটা চাকরি চাইতে যাওয়ায় এক দিন তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, ‘তুমি কি হরভজন সিংহ?’ মাথা নিচু করে, চুপচাপ বেরিয়ে এসেছিলেন তিনি। সে দিন যাঁকে ইন্সপেক্টর পদের জন্যও যোগ্য মনে করা হয়নি, এ বার একই ব্যক্তিকে যেচে ‘ডিএসপি’র মতো গুরুত্বপূর্ণ পদের ‘অফার’ দিলেন খোদ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। তিনি হরমনপ্রীত কৌর।
আরও খবর: তুমি ভাজ্জি নও! হরমনপ্রীতকে ফিরিয়ে দিয়েছিল পঞ্জাব পুলিশ
পঞ্জাবের অনেক ক্রীড়াবিদই রাজ্য পুলিশে চাকরি করেন। ক্রিকেটার থেকে হকি প্লেয়ার— সকলেই আছেন তালিকায়। হয়তো সেই আশাতেই সে বার পুলিশের শীর্ষস্থানীয় কর্তাদের কাছে গিয়েছিলেন হরমনপ্রীত। কিন্তু, ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। পরে যদিও সচিন তেন্ডুলকরের হস্তক্ষেপে পশ্চিম রেলে চাকরি পেয়েছিলেন হরমনপ্রীত।
কিন্তু, মনে মনে খারাপ লাগাটা ছিলই। পাশাপাশি, নিজেকে তৈরি করছিলেন মাঠের জন্য। দাঁতে দাঁত চেপে লড়াই দিয়ে গিয়েছেন। শেষমেশ খারাপ লাগার জবাবটা দিলেন মাঠেই। এবং সপাটে! বিশ্বকাপে প়ঞ্জাব-কুঁড়ির সাফল্যে খুশি পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরেন্দ্র সিংহ। বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচ শেষে টুইট করে জানালেন, ‘‘ও যদি চায়, তা হলে আমরা ওকে ডিএসপি-র পদে নিয়োগ করব।’’
সেমিফাইনালে সেঞ্চুরি করার পর হরমনপ্রীত। ছবি: এপি।
বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়াকে হারানোর মূল কারিগর ছিলেন হরমনপ্রীত। তাঁর ব্যাট থেকে এসেছিল অপরাজিত ১৭১ রান। তার পরেই হরমনপ্রীতের জন্য ৫ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেন অমরেন্দ্র। এ বার চাকরিতে পদোন্নতির ‘অফার’। মেয়ের বাবা ধন্যবাদ জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রীকে। তিনি বলেন, ‘‘আমাদের মেয়েরা দেশকে গৌরবান্বিত করেছে। মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ এই অফারের জন্য।’’
এক দিন যাঁরা যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল, আজ তাঁরাই হরমনপ্রীতকে যোগ্যতম মনে করায় স্বভাবতই খুশি পঞ্জাবের ওই তরুণী ক্রিকেটার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy