Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

আইএসএল মূল স্রোতে ফেরাচ্ছে পঞ্জাবের ফুটবলারদের

অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপে ভারতীয় দলে একুশ জনের মধ্যে সাত জন পঞ্জাবের। আইএসএলেও দাপট পঞ্জাবের ফুটবলারদেরই। কেরল ব্লাস্টার্স এফসি-র রক্ষণে অন্যতম ভরসা সন্দেশ ঝিংগান।

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ২২ ডিসেম্বর ২০১৭ ০৪:২৮
Share: Save:

ভারতীয় ফুটবলে পঞ্জাবের অবদান অনস্বীকার্য। অসংখ্য ফুটবলার উঠে এসেছেন পঞ্চনদের তীর থেকে। কিন্তু ২০১১ সালে জেসিটি দল তুলে দেওয়ার পর থেকেই বদলাতে থাকে ছবি। ফুটবলের মূল স্রোত থেকে ধীরে ধীরে হারিয়ে যান পঞ্জাবের ফুটবলাররা। ইন্ডিয়ান সুপার লিগ (আইএসএল)-এর সৌজন্য ফের শিরোনামে পঞ্জাবের ফুটবলাররা।

অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপে ভারতীয় দলে একুশ জনের মধ্যে সাত জন পঞ্জাবের। আইএসএলেও দাপট পঞ্জাবের ফুটবলারদেরই। কেরল ব্লাস্টার্স এফসি-র রক্ষণে অন্যতম ভরসা সন্দেশ ঝিংগান। নর্থইস্ট ইউনাইটেড এফসি-র বিরুদ্ধে বুধবারই জোড়া গোল করে মুম্বই সিটি এফসি-কে জিতিয়েছেন বলবন্ত সিংহ। মুম্বইয়ের হয়েই খেলছেন আরও তিন পঞ্জাব তনয়। গোলরক্ষক অমরিন্দর সিংহ এবং মিডফিল্ডার শেহনাজ সিংহ ও দেবেন্দ্র সিংহ। বেঙ্গালুরু এফসি-র তিন কাঠির নীচে প্রধান ভরসা এই মুহূর্তে জাতীয় দলের এক নম্বর গোলরক্ষক গুরপ্রীত সিংহ সাঁধু। মাঝমাঠের অন্যতম ভরসা হরমনজ্যোৎ সিংহ খাবরা। চেন্নাই সিটি এফসি-তে রয়েছেন কর্ণজিৎ সিংহ, জার্মানপ্রীত সিংহ ও বিক্রমজিৎ সিংহ। এটিকের হয়ে খেলছেন আনোয়ার আলি, হিতেশ শর্মা। এফসি পুণে সিটিতে আছেন বলজিৎ সিংহ সাইনি, পবন কুমার ও গুরতেজ সিংহ। দিল্লি ডায়নামোজ এফসি-তে আছেন মহম্মদ সাজিদ ধুত ও সিমরনজিৎ সিংহ।

সন্দেশের উত্থান চণ্ডীগড়ের সেন্ট স্টিফেন্স অ্যাকাডেমি থেকে। ভাইচুং ভুটিয়ার দল ইউনাইটেড সিকিমের হয়ে প্রথম নজর কাড়েন এই মুহূর্তে ভারতীয় দলের অন্যতম সেরা ডিফেন্ডার। অমরিন্দর উঠে এসেছেন পঞ্জাব সরকারের ক্রীড়া দফতরের অ্যাকাডেমি থেকে। মুম্বইয়ের এক নম্বর গোলরক্ষক অবশ্য শুরু করেছিলেন স্ট্রাইকার হিসেবে। শুধু পারফরম্যান্স নয়, সন্দেশ-বলবন্তদের উত্থানের কাহিনিও আকর্ষণীয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Balwant Singh Football Punjub Football ISL 4
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE