Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪

উইকেটে ক্ষত, বুমরার ভরসা এখন অশ্বিন

অস্ট্রেলিয়ার দ্বিতীয় ইনিংসে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে চলেছেন আর অশ্বিন। যে তালিকায় রয়েছেন ভারতীয় পেসার যশপ্রীত বুমরাও।

প্রাচীর: অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় ইনিংসেও লড়ে যাচ্ছেন পূজারা। শনিবার অ্যাডিলেডে। ছবি: এএফপি।

প্রাচীর: অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় ইনিংসেও লড়ে যাচ্ছেন পূজারা। শনিবার অ্যাডিলেডে। ছবি: এএফপি।

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ০৯ ডিসেম্বর ২০১৮ ০৪:১৯
Share: Save:

অ্যাডিলেডের এই পিচে নেথান লায়নের বোলিং দেখার পরে অনেকেই মনে করছেন, অস্ট্রেলিয়ার দ্বিতীয় ইনিংসে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে চলেছেন আর অশ্বিন। যে তালিকায় রয়েছেন ভারতীয় পেসার যশপ্রীত বুমরাও।

শনিবার তৃতীয় দিনের খেলার পরে সাংবাদিক বৈঠকে এসে বুমরা বলেন, ‘‘পিচে ক্ষত তৈরি হয়েছে। আমরা দেখেছি, নেথান লায়ন কী ভাবে সেই ক্ষত কাজে লাগাচ্ছে। অশ্বিন অনেক অভিজ্ঞ বোলার। ও জানে কী করতে হবে। কোনও সন্দেহ নেই, অস্ট্রেলিয়ার দ্বিতীয় ইনিংসে অশ্বিন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে চলেছে।’’

ট্র্যাভিস হেডের লড়াকু ইনিংস সত্ত্বেও অস্ট্রেলিয়া ২৩৫ রানের বেশি করতে পারেনি প্রথম ইনিংসে। অশ্বিনের পাশাপাশি বুমরাও তিন উইকেট নিয়েছেন। বাকি দুই পেসার ইশান্ত শর্মা এবং মহম্মদ শামি— দু’জনেই নিয়েছেন দু’টো করে উইকেট। বুমরা বলেন, ‘‘এখানে কোন লেংথে বল করলে সাফল্য আসবে, সেটা আমরা বোঝার চেষ্টা করেছি। দক্ষিণ আফ্রিকা বা ইংল্যান্ডে বল সুইং করেছে, কিন্তু এখানে পিচ কিছুটা নিষ্প্রাণ। তবে বাউন্স আছে। কিন্তু ধারাবাহিক ভাবে জায়গায় বলটা রাখতে হবে।’’ ভারতীয় বোলারদের পরিকল্পনা কী ছিল, সেটাও পরিষ্কার বুমরার কথায়, ‘‘আমাদের লক্ষ্য ছিল রানটা আটকানো। জানতাম, একবার রান আটকাতে পারলেই দু’প্রান্ত থেকে চাপ তৈরি করা যাবে। আর তার পরেই উইকেট আসবে।’’

দ্বিতীয় ইনিংসে ভারত আপাতত ১৬৬ রানে এগিয়ে। হাতে সাত উইকেট। বুমরা মনে করেন, অস্ট্রেলিয়ার সামনে বড় রানের লক্ষ্যই দিতে পারবেন তাঁরা। ‘‘শেষ দিকে কোহালির উইকেটটা হারালেও আমরা ভাল জায়গাতেই আছি। রবিবারের প্রথম দু’ঘণ্টা খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমরা যদি ওই সময় ঠিকঠাক খেলে দিতে পারি, তা হলে ভাল জায়গায় চলে যাব।’’

গত কয়েকটি বিদেশ সফরে ভারতীয় বোলাররা দুর্দান্ত বল করেছেন। বিশেষ করে বুমরার টেস্ট অভিষেক হওয়ার পর থেকে ভারতীয় বোলিং আক্রমণের ধার অনেক বেড়ে গিয়েছে। বুমরা মনে করেন, বিদেশ সফরে দ্রুত পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার জন্য ‘হোমওয়ার্ক’টা খুব জরুরি। কী ভাবে সেই ‘হোমওয়ার্ক’ হয়? ভারতীয় পেসারের মন্তব্য, ‘‘বিদেশে আগে যারা খেলে গিয়েছে, তাদের সঙ্গে কথা বলি। নিজেকে আগে থেকে তৈরি রাখার চেষ্টা করি। ইংল্যান্ডে যখন আমি খেলছিলাম না, তখন চারপাশে নজর রাখতাম। দেখতাম, কে কী করছে। নেটে সেগুলো কাজে লাগানোর চেষ্টা করতাম।’’ বুমরা এও জানাচ্ছেন, টেস্ট অভিষেক হওয়ার আগে প্রচুর ওয়ান ডে খেলার অভিজ্ঞতা থাকায় তাঁর সুবিধেই হয়েছে। তাঁর মন্তব্য, ‘‘দক্ষিণ আফ্রিকায় টেস্ট অভিষেক হওয়ার আগে আমি টানা ওয়ান ডে খেলেছি। প্রচুর ওভার বল করে এসেছি। যার একটা সুফল তো ছিলই। তা ছাড়া আমি সব সময় শেখার চেষ্টা করি। তা আমাদের বোলিং কোচের কাছ থেকেই হোক, কী প্রতিপক্ষের কাছ থেকে।’’ এখানে আসার আগে অস্ট্রেলিয়ায় হওয়া টেস্ট ম্যাচের ভিডিয়ো দেখে এসেছেন বুমরা। বলছিলেন, ‘‘অস্ট্রেলিয়ায় আসার আগে আমি সে ভাবে বিশেষ কারও সঙ্গে কথা বলিনি। কিন্তু অনেক ভিডিয়ো ক্লিপিংস দেখেছি। বোঝার চেষ্টা করেছি, কী ভাবে এখানে উইকেট পাওয়া যায়। পুরনো বোলারদের ভাল ভাল স্পেল দেখেছি।’’ বুমরার সেই ‘ফর্মুলা’ যে অন্তত প্রথম ইনিংসে কাজে দিয়েছে, তা নিয়ে সন্দেহ নেই।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE