Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

বর্ণবৈষম্যের ছায়া দক্ষিণ আফ্রিকায় দল নির্বাচনে

একটা সময় দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেটে শুধু শ্বেতাঙ্গ ক্রিকেটারদেরই দাপট ছিল।

টেম্বা বাভুনা চোট পেয়ে ছিটকে যাওয়ার পর শুরু হয়েছে সমস্যা।—ফাইল চিত্র

টেম্বা বাভুনা চোট পেয়ে ছিটকে যাওয়ার পর শুরু হয়েছে সমস্যা।—ফাইল চিত্র

নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৩ জানুয়ারি ২০২০ ০৪:৫৮
Share: Save:

দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটে আবার সেই বর্ণবৈষম্যের ছায়া। আজ, শুক্রবার, ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্টে নামছে ফ্যাফ ডুপ্লেসির দল। প্রথম টেস্ট জিতে সিরিজে ১-০ এগিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা। কিন্তু এরই মধ্যে দ্বিতীয় টেস্টের দল বাছা নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। প্রশ্ন উঠছে, কৃষ্ণাঙ্গ ক্রিকেটারদের জন্য কি বিশেষ ‘কোটা’র ব্যবস্থা করা হবে এই দলে?

একটা সময় দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেটে শুধু শ্বেতাঙ্গ ক্রিকেটারদেরই দাপট ছিল। কিন্তু গত তিরিশ বছর ধরে সেই বৈষম্য দূর হয়েছে। পাশাপাশি নতুন এক অলিখিত নিয়মেরও জন্ম হয়েছে। যে নিয়ম অনুযায়ী, দক্ষিণ আফ্রিকা দলে অন্তত দু’জন কৃষ্ণাঙ্গ এবং চার জন মিশ্র বর্ণ এবং ভারতীয় বংশোদ্ভূত ক্রিকেটারকে রাখতে হবে। কিন্তু এই সিরিজের প্রথম টেস্টে দু’জন নতুন শ্বেতাঙ্গ ক্রিকেটার খেলেছেন। আরও এক জনের অভিষেক হওয়ার কথা দ্বিতীয় টেস্টে। যা নিয়েই বিতর্ক।

প্রথম টেস্টে কোটা পূরণ হয়নি দক্ষিণ আফ্রিকার। পরিস্থিতির চাপে কৃষ্ণাঙ্গ ক্রিকেটার কম খেলাতে হয়েছে তাদের। টেম্বা বাভুনা চোট পেয়ে ছিটকে যান। এই কৃষ্ণাঙ্গ ব্যাটসম্যানের জায়গায় অভিষেক ঘটে রাসি ফান ডার ডুসেঁর। বাভুমা এখনও সুস্থ না হওয়ার ফলে পাঁচ নম্বর জায়গায় ডুসেঁর খেলা নিশ্চিত। অন্য দিকে অলরাউন্ডারের জায়গায় অ্যান্ডিল ফেলুকওয়েও-এর পরিবর্তে নেওয়া হয়েছিল ডোয়েন প্রেটোরিয়াসকে। দ্বিতীয় টেস্টেও প্রেটোরিয়াসেরই খেলার কথা।

এই পরিস্থিতিতে এখন বড় প্রশ্ন উঠছে, দক্ষিণ আফ্রিকা কি কোটা পদ্ধতির উপরে জোর দেবে না সেরা দল নামাবে? কোটা পদ্ধতি মানতে গিয়ে অতীতে অনেক সময়েই সেরা দল নামাতে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা। যা নিয়ে কম বিতর্ক হয়নি। ২০১৯ সাল মোটেও ভাল যায়নি দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে বছরের শেষে টেস্ট জয় এসেছে টানা পাঁচটি ম্যাচ হারের পরে। কিন্তু এই জয়েও কাঁটা থেকে যাচ্ছে। বলা হচ্ছে, আবার সেই শ্বেতাঙ্গ প্রধান দল হয়ে উঠছে দক্ষিণ আফ্রিকা। শুধু দলের এগারো জনের ক্ষেত্রেই নয়, সাপোর্ট স্টাফের ক্ষেত্রেও। খারাপ পারফরম্যান্সের জেরে দক্ষিণ আফ্রিকার কোচিং স্টাফে রদ বদল হয়েছে। মার্ক বাউচার প্রধান কোচ হয়ে এসেছেন। জাক কালিসকে আনা হয়েছে ব্যাটিং পরামর্শদাতা হিসেবে। ক্রিকেট প্রশাসনের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে গ্রেম স্মিথকে। এই পরিবর্তনের পরে হাতেনাতে ফল পাওয়া গিয়েছে। ইংল্যান্ডকে আগের টেস্টে হারিয়ে দিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। কিন্তু তার পরেও সেই পুরনো কাঁটা ফিরে এসেছে।

প্রথম টেস্টে চোট পাওয়া ওপেনার এডেন মার্করামের পরিবর্তে কেপ টাউনের দ্বিতীয় টেস্টে খেলতে পারেন পিটার মালান। যা নিয়ে ফের বিতর্ক তৈরি হতে পারে। প্রাথমিক ভাবে কিগান পিটারসেনকে নেওয়া হয়েছিল মার্করামের জায়গায়। পিটারসেন মিশ্র বর্ণের ক্রিকেটার। কিন্তু বাউচার পরিষ্কার বলে দিয়েছেন, ‘‘ওপেনিং জুটি নিয়ে ঝুঁকি নেওয়া মোটেই বুদ্ধিমানের কাজ হবে না।’’ যার অর্থ হল, শ্বেতাঙ্গ মালানেরই অভিষেক

ঘটার সম্ভাবনা বেশি। দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক ফ্যাফ ডুপ্লেসি আবার বলেছেন, ‘‘আমরা গায়ের রং দেখে দল বাছি না। সেরা দলই খেলবে।’’ এ দিকে, চোটের জন্য ইংল্যান্ডের পেসার জোফ্রা আর্চার এ দিন অনুশীলন করেননি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Cricket Racism South Africa
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE