Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

‘কুম্বলেকে এ বার একটা ফোন করতে পারেন রশিদ’

চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে ঐতিহাসিক টেস্টে যা ফল হল, তা অপ্রত্যাশিত নয়। তবে ম্যাচটা যে মাত্র দু’দিনেই শেষ হয়ে যাবে, তা বোধহয় কেউই আশা করেনি। আফগানিস্তানের ক্রিকেটারদের অবশ্য এই নিয়ে বেশি উদ্বিগ্ন না হওয়াই উচিত। বরং এই দু’দিনের অভিজ্ঞতা থেকে তাঁদের বুঝে নিতে হবে, টেস্ট ক্রিকেটে ওঁরা কী ভাবে উন্নতি করবেন।

সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়
শেষ আপডেট: ১৯ জুন ২০১৮ ০৪:৫৮
Share: Save:

চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে ঐতিহাসিক টেস্টে যা ফল হল, তা অপ্রত্যাশিত নয়। তবে ম্যাচটা যে মাত্র দু’দিনেই শেষ হয়ে যাবে, তা বোধহয় কেউই আশা করেনি। আফগানিস্তানের ক্রিকেটারদের অবশ্য এই নিয়ে বেশি উদ্বিগ্ন না হওয়াই উচিত। বরং এই দু’দিনের অভিজ্ঞতা থেকে তাঁদের বুঝে নিতে হবে, টেস্ট ক্রিকেটে ওঁরা কী ভাবে উন্নতি করবেন।

শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ ও জিম্বাবোয়ে যখন টেস্ট ক্রিকেটে প্রথম পা রেখেছিল, তখন তাদেরও এ রকমই অভিজ্ঞতা হয়েছিল। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ওরা উন্নতি করে। টেস্ট খেলিয়ে দুই নতুন দেশ আফগানিস্তান ও আয়ারল্যান্ডকে সময় দিতে হবে সনাতন ক্রিকেটের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার জন্য। সময়ের সঙ্গে ওরাও নিশ্চয়ই শিখবে।

আয়ারল্যান্ড তাদের প্রথম ম্যাচ খেলবে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে। এই ম্যাচ থেকে ওরা যেমন আত্মবিশ্বাস পাবে, তেমনই আফগানদেরও নিশ্চয়ই এই বিশ্বাসটা বেড়ে উঠবে যে ওরা পারলে তারাও পারবে। বিশ্ব ক্রিকেটের এখন একাধিক ভাল দলের প্রয়োজন। যথাসম্ভব বেশি সুযোগ ওদের উন্নত করে তুলবে।

টেস্ট ক্রিকেটে প্রবেশ করলেও আফগানিস্তানের ক্রিকেটারদের টি-টোয়েন্টি মেজাজে দেখা গেল চিন্নাস্বামীতে। পেস বোলিংয়ের বিরুদ্ধে ওঁদের ফুটওয়ার্কের অভাব বেশ স্পষ্ট ভাবেই বোঝা যায়। উমেশ যাদবের উন্নত বোলিং ওঁদের ধন্দে ফেলে দেয়।

টেস্ট ক্রিকেট ধৈর্য ও নিখুঁত শট বাছাইয়ের পরীক্ষা। ভাল শট নেওয়ার দক্ষতার পাশাপাশি অফ স্টাম্পের বাইরে বল ছাড়তে জানা ও কোন বল খেলব না, তা বিচার করার ক্ষমতাও খুব গুরুত্বপূর্ণ টেস্টে। সময়ের সাথে ভাল প্রশিক্ষণে ওঁরা এই গুণগুলো নিশ্চয়ই রপ্ত
করে ফেলবেন।

ঘরোয়া ক্রিকেটের পরিকাঠামো আরও জোরদার করতে হবে ওঁদের। আফগানদের ক্রিকেটে প্রতিভা আছে। রশিদ খান মাঝে মাঝে ভাল বল করেছেন এই টেস্টে। লম্বা স্পেলে বল করে নিশ্চয়ই অনেক কিছু শিখতে পারলেন রশিদ। তবে, চ্যাম্পিয়ন অনিল কুম্বলেকে একটা ফোন করা দরকার রশিদের। কুম্বলে তো আর বেশি দূরে নেই।

টেস্ট ক্রিকেট মানে মেডেন ওভার বল করে বিপক্ষকে পাল্টা চাপে ফেলে দেওয়া। টি-টোয়েন্টির মতো তো এখানে ব্যাটসম্যানরা বোলারদের ঘনঘন পাল্টা আক্রমণ করেন না। ভারতীয়রা প্রত্যাশা মতোই খেলেছেন। শিখর ধওয়ন, মুরলী বিজয়রা এই সুযোগটাকে যথেষ্ট ভাল ভাবে কাজে লাগিয়েছেন। এমনকী হার্দিক পাণ্ড্যও ভাল খেলেছেন। বোলাররাও দুর্দান্ত দুর্দান্ত মেজাজে ছিলেন। উমেশ আর ইশান্ত শর্মা তো রীতিমতো আগুন ঝরান। আশা করি, বড় ম্যাচেও ইশান্তের বলে এমনই লেংথ থাকবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE