কুশল পেরেরা।—ছবি এএফপি।
শ্রীলঙ্কাকে শনিবার দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে যে ভাবে একক দক্ষতায় প্রথম টেস্ট জেতান কুশল পেরেরা, তার পরে যেন তাঁর দুনিয়াটাই বদলে গিয়েছে।
ক্রিকেটবিশ্বের নজর এখন তাঁর দিকেই। ক্রিকেট ভক্তরা তো রয়েছেনই, ক্রিকেট কিংবদন্তিদেরও প্রশংসায় ভাসছেন তিনি। তাঁর উদ্দেশে অভিনন্দন বার্তা উপচে পড়ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। পিছিয়ে থাকেননি ভারতীয় দলের প্রধান কোচ রবি শাস্ত্রীও। ২৮ বছর বয়সি বাঁ হাতি ব্যাটসম্যানের নায়কোচিত ইনিংস নিয়ে রবিবার শাস্ত্রী টুইট করেন, ‘‘কুশল পেরেরা। কী সুন্দর ইনিংস। এগারো নম্বরে নামা এক যোদ্ধাকে নিয়ে তুমি একা হাতে ম্যাচ জিতিয়ে দেখালে। সর্বকালের সেরা ইনিংসগুলোর অন্যতম এটা।’’
শনিবার ডারবানে ১৫৩ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে দলকে টেস্ট জেতান পেরেরা। ২২৬ রানে ন’উইকেট পড়ে যাওয়ার পরেও জেতার জন্য তাঁদের প্রয়োজন ছিল ৩০৪ রান। এই অবস্থা থেকে শেষ ব্যাটসম্যান বিশ্ব ফার্নান্ডোকে নিয়ে ৭৮ রানের জুটি গড়ে ক্রমশ দলকে লক্ষ্যে পৌঁছে দেন পেরেরা। অন্য দিকের ক্রিজে টিকে থেকে ২৭ বলে ৬ রান করে তাঁকে অসাধারণ সঙ্গত দেন ফার্নান্ডো।
এমন মনে রাখার মতো ইনিংস খেলার পরে পেরেরা অবশ্য মানতে চান না, তিনি বিশেষ কিছু করেছেন। বলছেন, ‘‘আমার কাজটাই আমি করেছি। শেষ দিকের ব্যাটসম্যানদের নিয়ে যখন ব্যাট করছিলাম, তখন বুঝেই গিয়েছিলাম যে, শুধু খুচরো রান নিয়ে এই ম্যাচ জেতা যাবে না। শেষ দিকে আমিই একমাত্র ব্যাটসম্যান ছিলাম। তাই আমার উপর বেশি চাপ ছিল।’’
শেষ জুটিতে বেশির ভাগ বলেই বোলারদের মুখোমুখি হন পেরেরা। কিংবদন্তি পেসার ডেল স্টেনকে দু’টি ছয় মারেন তিনি। কাগিসো রাবাডা, ডুয়ান অলিভিয়ের ও কেশব মহারাজকেও একবার করে সোজা মাঠের বাইরে ফেলে দেন। যা নিয়ে পেরেরা বলেন, ‘‘ঠিক করেই নিয়েছিলাম, লক্ষ্যের কাছাকাছি এসে স্টেনকে দু-তিনটে ছয় মারব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy