উত্তেজনা: রেফারিকে ঘিরে ক্ষোভ মোহনবাগান ফুটবলারদের। —নিজস্ব চিত্র।
অনূর্ধ্ব-১৯ আইএফএ শিল্ডে মোহনবাগান বনাম পুণে এফসি ম্যাচকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার বিকেলে উত্তেজনা ছড়াল ময়দানে। পুলিশের জিপে মোহনবাগান মাঠ ছাড়লেন রেফারি রক্তিম সাহা!
পুণে এফসি-র বিরুদ্ধে এ দিন ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণের ঝড় তোলে মোহনবাগান। কিন্তু গতির বিরুদ্ধে ম্যাচের ৭৪ মিনিটে গোল করে পুণেকে এগিয়ে দেন গনি। তবে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ম্যাচের একেবারে শেষ মুহূর্তে মোহনবাগানের পেনাল্টির দাবি রেফারি বাতিল করে দেওয়ায়। ক্ষুব্ধ সবুজ-মেরুন ফুটবলাররা মাঠের মধ্যেই ঘিরে ধরেন রেফারিকে। উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গ্যালারিও। রেফারিকে লক্ষ্য করে ইট ও জলের বোতল ছোড়েন সমর্থকরা। ম্যাচ শেষ হওয়ার পরে ফের সবুজ-মেরুন সমর্থকদের রোষের মুখে পড়েন তিনি। শেষ পর্যন্ত পুলিশের জিপে করে মোহনবাগান মাঠ থেকে রেফারি সংস্থার তাঁবুতে ফেরেন রক্তিম।
ক্ষুব্ধ অনূর্ধ্ব-১৯ মোহনবাগান কোচ জো পল আনচেরি বললেন, ‘‘রেফারি একাই ম্যাচটা শেষ করে দিলেন। আমাদের দু’টো ন্যায্য পেনাল্টি দেননি।’’ জাতীয় দলের প্রাক্তন অধিনায়ক অবশ্য রেফারি নিগ্রহের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বললেন, ‘‘আমরা রেফারির সিদ্ধান্তের শুধু প্রতিবাদ করেছি। নিগ্রহ করিনি।’’ আইএফএ সচিব উৎপল গঙ্গোপাধ্যায় বললেন, ‘‘মোহনবাগান মাঠের ঘটনা শুনেছি। তবে রেফারির রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পরেই এই বিষয়ে মন্তব্য করব।’’
মিনার্ভা এফসি-কে হারিয়ে আইএফএ শিল্ডে অভিযান শুরু করেছিল মোহনবাগানের যুব দল। কিন্তু পুণের কাছে ০-১ হেরে চাপে পড়ে গেল তারা। সেমিফাইনালে উঠতে হলে শেষ ম্যাচে টাটা ফুটবল অ্যাকাডেমির বিরুদ্ধে জিততেই হবে মোহনবাগানকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy