Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

‘অ্যাকি’ ভক্ত রাসেল আজ ঝড় তুলতে চান জয়পুরেও

কিন্তু জামাইকার খেলোয়াড়দের এই পেশিশক্তির জয়জয়কার কেন? সোমবার রাতে ক্যারিবিয়ান তারকার আগ্রাসী ইনিংস দেখার পরে তাঁর কাছে এটাই জানতে চান কলকাতা নাইট রাইডার্স অধিনায়ক দীনেশ কার্তিক।

উৎসব: দিল্লিকে হারিয়ে হোটেলে ফিরে নাইটদের কেক কাটা। ছবি: টুইটার

উৎসব: দিল্লিকে হারিয়ে হোটেলে ফিরে নাইটদের কেক কাটা। ছবি: টুইটার

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ১৮ এপ্রিল ২০১৮ ০৪:২১
Share: Save:

এক দিন ক্রিস গেল, তো পরের দিন আন্দ্রে রাসেল। আইপিএলের আসরে ব্যাটে ঝড় তুলে ক্রিকেটপ্রেমীদের মন মাতিয়ে দিয়েছেন দুই জামাইকান। এ অবশ্য নতুন নয়। প্রতিবারই আইপিএলে এই বিধ্বংসী মেজাজে পাওয়া যায় রাসেল, গেলদের।

কিন্তু জামাইকার খেলোয়াড়দের এই পেশিশক্তির জয়জয়কার কেন? সোমবার রাতে ক্যারিবিয়ান তারকার আগ্রাসী ইনিংস দেখার পরে তাঁর কাছে এটাই জানতে চান কলকাতা নাইট রাইডার্স অধিনায়ক দীনেশ কার্তিক। আইপিএল ওয়েবসাইটের জন্য রাসেলের সাক্ষাৎকার নিচ্ছিলেন তিনি। জিজ্ঞেস করেন, ‘‘এমন কী খাও তোমরা, জামাইকানরা, যে এত জোর তোমাদের শটে?’’ উত্তরে রাসেল বলেন, ‘‘তেমন কিছু না। নোনা সামুদ্রিক মাছ আমাদের প্রিয়। এ ছাড়া ‘ডামপ্লিং’-ও (মোমো জাতীয় খাবার) পছন্দ করি খুব। তার সঙ্গে অ্যাকি নামের একধরনের ফল খাই। যা আমাদের দেশে পাওয়া যায়। লাল রঙের এই ফল আমরা সেদ্ধ করে মাছ বা মুরগীর সঙ্গে খাই। এতেই শক্তি বেড়ে যায়।’’

তবে শুধু এই খাবারই যে এমন বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ের কারণ, তা মানতে রাজি নন রাসেল। তাঁর মতে, ‘‘শুধু খাওয়াটাই বড় কথা নয়। আত্মবিশ্বাস, মানসিকতাও একটা বড় ব্যাপার।’’ সোমবার সেই আত্মবিশ্বাস আর আগ্রাসী মানসিকতা নিয়ে ক্রিজে গিয়েছিলেন বলে রাসেল জানান। বুধবার রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধেও এই মেজাজেই ব্যাট করতে চান তিনি।

ইডেনে দিল্লি ডেয়ারডেভিলসকে ৭১ রানে হারিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ফিরে এসেছেন নাইটরা। এই জয়ের প্রধান স্থপতিই ছিলেন রাসেল। কেকেআর-কে দু’শো রানের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে তিনি পাশে পান দিল্লির ২৪ বছর বয়সি তরুণ অলরাউন্ডার নীতীশ রানাকে। তাঁর সঙ্গে ব্যাট করার অভিজ্ঞতা নিয়ে রাসেল বলেন, ‘‘ইডেনের পিচে ব্যাটে বল ভাল আসছিল। বল ঘুরছিল না। নীতীশকে বেশি কিছু বলতে হয় না। ওর মধ্যে ভবিষ্যতে বড় ক্রিকেটার হওয়ার সব সম্ভাবনা আছে। ওকে শুধু বলি, নিজের উপর ভরসা রেখে স্বাভাবিক খেলাটা খেলে যাও। ও সেটাই করে।’’

কার্তিক যখন রাসেলকে জিজ্ঞেস করেন, ‘‘এত বড় বড় শট কি আলাদা করে অনুশীলন করো, না এগুলো স্বাভাবিক ভাবেই আসে?’’ তখন ক্যারিবিয়ান অলরাউন্ডার উত্তর দেন, ‘‘এগুলো আমার স্বাভাবিক প্রবৃত্তি। আত্মবিশ্বাস থেকেও আসে। ব্যাট করতে নামার সময় ভাবি নিজের স্বাভাবিক খেলাটা খেলব। এটাই স্বাভাবিক খেলা।’’

এই আত্মবিশ্বাস নিয়েই দলের সঙ্গে মঙ্গলবার দুপুরে জয়পুর উড়ে গেলেন রাসেল। যেখানে গত ম্যাচে অজিঙ্ক রাহানের দল গৌতম গম্ভীরদের হারায় ১০ রানে, ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতিতে। বুধবার অবশ্য জয়পুরে বৃষ্টির সম্ভাবনা কম বলে জানাচ্ছে আবহাওয়ার ওয়েবসাইট। তবে রান বৃষ্টির সম্ভাবনা অবশ্যই আছে। ব্যাটিং-সহায়ক উইকেট হয় রয়্যালসের ঘরের মাঠে। আগের দিন রাহানেরা ১৮ ওভার শেষ হওয়ার আগেই দেড়শোর বেশি রান তুলে ফেলেছিলেন। রাসেল, নীতীশ রানাদের ব্যাটে যখন ঝড় উঠেছে, নাইট ব্যাটসম্যানরা যখন ছন্দে ফিরেছেন, তখন এই ধরনের উইকেট পাওয়াটা তাঁদের কাছে আশীর্বাদ হয়ে উঠতে পারে।

সোমবার রাতে ঘরের মাঠে জয়ে ফিরে এমনিতেই বেশ চাঙ্গা ছিলেন নাইটরা। রাতে হোটেলে ফিরে যে অভ্যর্থনা পান তা তাঁদের আরও উৎসাহিত করার জন্য যথেষ্ট। কার্তিকদের প্রবেশপথে রাখা ছিল একটি কেক। দু’পাশে সার দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা হোটেল কর্মীরা একসঙ্গে ‘কে-কে-আর, কে-কে-আর’ জয়ধ্বনি তোলেন কার্তিকরা হোটেলে ঢোকার সময় কেক কেটে অধিনায়ক কার্তিক প্রথম টুকরোটা সুনীল নারাইনের মুখে তুলে দেন। নীতীশ রানার মুখে, মাথায় কেক মাখিয়ে দেওয়া হয়। মাঝরাতে এ সব ফেসবুকে সরাসরি দেখাও যায়।

বুধবার ফের যাতে এমনই উৎসব হয় নাইটদের শিবিরে, জয়পুর পৌঁছে তারই প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেল। তবে মাঠে নয়, সন্ধেয় দলের বৈঠকে। মাঠে নামেন শুধু কার্তিক ও কুলদীপ যাদব। দলের বৈঠকে নিজেদের রণকৌশল নিয়ে আলোচনা হয় বলে জানা যায়।

রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের বিরুদ্ধে রাজস্থানের সঞ্জু স্যামসন ব্যাটে ঝড় তুলেছিলেন রবিবার। রাহানে ও তাঁর সতীর্থ বেন স্টোকস, জস বাটলাররাও ফর্মে রয়েছেন। এই দলেও রয়েছেন নাইটদের এক প্রাক্তনী জয়দেব উনাদকাট। তবে ব্যাটসম্যানরাই এই দলের প্রধান ভরসা। তাই বুধবার কঠিন চ্যালেঞ্জ নাইট বোলারদের কাছেও।

ভিডিও: পারফর্ম।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE