ফের সুপ্রিম কোর্টের শুনানি। ফের বিসিসিআই কর্তাদের আশা-আশঙ্কা। শুক্রবার দুপুরে হাজারো জল্পনার মধ্যে ফের বিসিসিআই বনাম বিচারপতি লোঢা কমিশন মামলার শুনানি।
এ দিনই চূড়ান্ত শুনানি কি না, তা অবশ্য নিশ্চিত করে বলতে পারছে না ওয়াকিবহাল অনেকেই। কারও বক্তব্য, এখানেই শেষ নয় এই মামলার। হয়তো আরও চলবে। কিন্তু অপর এক অংশের ধারণা, জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস ঠাকুর অবসর নেওয়ার আগে এই মামলার রায় শুনিয়ে দিতে চান।
সর্বোচ্চ আদালতে বোর্ডের শীর্ষকর্তাদের সরিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রাক্তন স্বরাষ্ট্র সচিব জিকে পিল্লাইকে বোর্ডের পর্যবেক্ষক নিয়োগ করার সুপারিশ করেছে লোঢা কমিশন। সেই সুপারিশ মেনে নেওয়া হবে, নাকি বোর্ড কর্তাদের ফের সময় দেওয়া হবে, সেটাই দেখার।
বোর্ডের পক্ষ থেকে আদালতের কাছে হলফনামা পেশ করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে অনুমোদিত ৩০টি সংস্থা লোঢা কমিটির সুপারিশ হুবহু মানতে রাজি নয়। আবার আদালতও নির্দেশ দিয়েছে, লোঢা সুপারিশ হুবহু মানার লিখিত প্রতিশ্রুতি না দেওয়া পর্যন্ত কোনও অনুমোদিত সংস্থাকে কোনও রকম আর্থিক অনুদান দিতে পারবে না বোর্ড।
এই অবস্থায় প্রধান বিচারপতি ঠাকুরের বেঞ্চ বোর্ড ও তাদের অনুমোদিত সংস্থাগুলোকে পরিবর্তন মেনে নিতে বাধ্য করবে কি না, সেটাই দেখার। আদালত ভারতীয় ক্রিকেটের গতি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করলে যে ভারতীয় ক্রিকেটে তার কুফল পড়বে, সুপ্রিম কোর্টে পেশ করা হলফনামায় নাকি এমনই মন্তব্য করেছেন বোর্ড প্রেসিডেন্ট অনুরাগ ঠাকুর।
তাঁর বক্তব্য, লোঢা কমিশনের বেশিরভাগ সুপারিশ ক্রিকেটের স্বার্থবিরোধী এবং জোর করে এই সুপারিশগুলো বাস্তবায়িত করতে গেলে ভারতীয় ক্রিকেটে নানা ‘ঝামেলা’র সৃষ্টি হতে পারে। বোর্ড প্রেসিডেন্টের এই মন্তব্য আদালত কী ভাবে নেবে, তাও হয়তো জানা যাবে শুক্রবারের শুনানিতে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy