Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
Sports News

শীর্ষ আদালতের নির্দেশে কাটল ‘কুলিং অফ’ জট, স্বস্তিতে বিসিসিআই

‘বোর্ডের কর্মকর্তাদের কুলিং অফ পিরিয়ড-এ থাকার কোনও প্রয়োজনীয়তা নেই’, শীর্ষ আদালত বৃহস্পতিবার এই নির্দেশ দিয়েছেন।

অন্য পদে লড়লে কুলিং অফ পিরিয়ডে থাকতে হবে না বোর্ড আধিকারিকদের। ফাইল চিত্র

অন্য পদে লড়লে কুলিং অফ পিরিয়ডে থাকতে হবে না বোর্ড আধিকারিকদের। ফাইল চিত্র

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ০৫ জুলাই ২০১৮ ২৩:১১
Share: Save:

সুপ্রিম কোর্টে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের মামলায় ফের নতুন মোড়। শীর্ষ আদালতের নির্দেশে স্বস্তির নিশ্বাস ফেললেন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের কর্তারা।

বোর্ডের বর্তমান কার্যনির্বাহী আধিকারিকদের ‘কুলিং অফ পিরিয়ড’ সংক্রান্ত মামলায় আশার আলো ফিরল আদালতের এই পর্যবেক্ষণে। ‘বোর্ডের কর্মকর্তাদের কুলিং অফ পিরিয়ড-এ থাকার কোনও প্রয়োজনীয়তা নেই’, শীর্ষ আদালত বৃহস্পতিবার এই নির্দেশ দিয়েছেন। এই জায়গায় দাঁড়িয়ে সত্তরোর্ধ কর্তাদের অবসর ও তিন বছরের ‘কুলিং অফ পিরিয়ড’ নিয়ে অনেকের আতঙ্কও কাটতে শুরু করেছে। শুধু তাই নয়, বিতর্কিত লোধা কমিটি-র বিরুদ্ধে বোর্ড কর্তাদের অবস্থান নতুন সমীকরণ এনে দিল।

‘‘শীর্ষ আদালতের বিচারকরা আজ আমাদের সওয়াল শুনেছেন এবং তাঁদের পর্যবেক্ষণ আমাদের পক্ষে গিয়েছে। বোর্ডের অবস্থান ফের প্রমাণিত হল, বিচারপতিরা বোর্ডের সমস্ত বক্তব্য শুনেই নির্দেশ দিয়েছেন,এ বার আদালতের চূড়ান্ত রায়ের জন্য অপেক্ষা করতে হবে, আজ পিটিআই-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানিয়েছেন বোর্ডের কার্যকরী সচিব অমিতাভ চৌধুরী।

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, বর্তমান পদাধিকারীরা অন্য যে কোনও পদের জন্য বোর্ড নির্বাচনে লড়তে পারে এবং তার জন্য এই ‘কুলিং অফ পিরিয়ড’-এর প্রয়োজনীয়তা নেই। প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্র এ দিন বলেন, ‘যদি কোনও আধিকারিক একই পদের জন্য না দাঁড়ায় তা হলে কুলিং অফ পিরিয়ডের কোনও প্রয়োজনীয়তা নেই’।

আরও পড়ুন: বিয়ের আট বছর পার, এখনও সঙ্গে ইলেকট্রিক কুকার রাখেন সাক্ষী, কেন জানেন?

আরও পড়ুন: ছক্কায় ভয় নেই কুলদীপের, রাহুল তৃপ্ত সেঞ্চুরিতে

প্রধান বিচারপতির বক্তব্য সমর্থন করে বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন, ‘‘লোধা প্যানেলের শর্ত ছিল, এক জন পদাধিকারীর দু’টো ধারাবাহিক পদের মাঝখানে একটা কুলিং অফ পিরিয়ড থাকতে হবে। তবে কোনও ব্যক্তি অন্য কোনও পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে তা হলে কুলিং অফ পিরিয়ড রাখার কোনও অর্থ নেই।’’

নতুন গঠনতন্ত্রে জাতীয় নির্বাচকদের যোগ্যতা নিয়ে লোঢা কমিশনের সুপারিশও প্রতিফলিত না হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছে আদালত। লোঢাদের সুপারিশ ছিল, নির্বাচকদের টেস্ট খেলার অভিজ্ঞতা থাকতেই হবে। এ দিকে বোর্ড সুপারিশ করেছে, জাতীয় নির্বাচক পদে লড়তে গেলে ২০টি প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা থাকলেই হবে। যদি এই সুপারিশ আদালত মঞ্জুর করে, তা হলে যতীন পরঞ্জপে এবং গগন খোড়া, যাঁদের টেস্ট খেলার অভিজ্ঞতা না থাকায় সিনিয়র সিলেকশন প্যানেল থেকে বহিষ্কৃত হয়েছিলেন, তাঁরা ফিরতে পারেন।

এত দিন ধরে রাজ্য ক্রিকেট সংস্থাগুলির প্রতি যে অনমনীয় মনোভাব ছিল শীর্ষ আদালতের, তা-ও কিছুটা নরম হতে শুরু করেছে বলে বোর্ড কর্তাদের ধারণা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE