সেমিফাইনালে উঠে সেরিনা উইলিয়ামসের উচ্ছ্বাস। ছবি: এএফপি।
মা হওয়ার পরে কোর্টে ফিরে সমানে যে চেষ্টা করে যাচ্ছেন সেরিনা উইলিয়ামস, একটা গ্র্যান্ড স্ল্যাম খেতাব জয়, মঙ্গলবার সেই লক্ষ্যের দিকে অনেকটা এগিয়ে গেলেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্র ওপেনে মেয়েদের সেমিফাইনালে উঠে।
স্প্যানিশ কিংবদন্তি রাফায়েল নাদাল এ দিন যেমন প্রথম সেট হেরেও ম্যাচে ও জয়ে ফেরেন, সেরিনার লড়াই অত কঠিন না হলেও প্রথম সেট জেতার আগে তিনি সার্ভিস খুইয়ে বসেন অষ্টম বাছাই ক্যারোলিনা প্লিসকোভার কাছে। ২৪ নম্বর গ্র্যান্ড স্ল্যাম খেতাবের লক্ষ্যে নামা সেরিনা ম্যাচটা ৬-৪, ৬-৩ জেতেন টানা আটটি গেম জিতে ও দ্বিতীয় সেটে ৪-০ এগিয়ে গিয়ে। দু’বছর আগে যাঁকে সেমিফাইনালে হারিয়েছিলেন সেরিনা, সেই প্লিসকোভা এ বার সেই হারের বদলা নিতে নেমে সেই রাস্তায় অনেকটা এগিয়ে গিয়েও পিছিয়ে আসেন বিপক্ষের এই পাল্টা লড়াইয়ে।
কী ভাবে ফিরে এলেন ম্যাচে? জিজ্ঞেস করতে সেরিনা বলেন, ‘‘দর্শকরা আমার জন্য খুব গলা ফাটাচ্ছিল। সবাই যখন আমাকে সমর্থন করছেন, তখন আমি হারছি। এটা ভেবেই খুব খারাপ লাগল। মনে হল এ বার বাড়তি পরিশ্রম
করা দরকার।’’
এর পরেই গিয়ার তুলতে শুরু করে দেন সেরিনা। সারা ম্যাচে ১৩টি এস মারেন তিনি। যা সেই পুরনো সেরিনা উইলিয়ামসকে মনে করিয়ে দিতে পারে অনায়াসে। সেমিফাইনালে যাঁর মুখোমুখি হবেন, সেই লাটভিয়ার ১৯তম বাছাই অ্যানাস্তেসিয়া সেভাস্তোভা কোয়ার্টার ফাইনালে অঘটন ঘটান গত বারের চ্যাম্পিয়ন স্লোয়ান স্টিফেন্সকে হারিয়ে।
এ দিন পাঁচবার ডাবল ফল্ট করেন সেরিনা। তার মধ্যে একটি আবার ব্রেক পয়েন্টে, যেটি না করলে দ্বিতীয় সেটে ৬-০ জিততে পারতেন হয়তো। তবে বেশি সময় আর নেননি। ৫-৩-এ এগিয়ে থাকা সেরিনা ম্যাচ জেতেন এস মেরে।
গত বছর এই প্রতিযোগিতায় তিনি নেমেছিলেন সন্তানসম্ভবা অবস্থায়। তাই গত বারের চেয়ে যে এ বার অনেক ভাল খেলছেন, তা বুঝতেই পারছেন সেরিনা। বলেন, ‘‘এ বার অনেক হাল্কা হয়ে খেলতে পারছি। গত বার যা পারিনি। তবে আমার কিছু প্রমাণ করার নেই।’’ এই কথা বললেও ক্রিস এভার্টের সবচেয়ে বেশি যুক্তরাষ্ট্র ওপেন খেতাব জয়ের রেকর্ড ভাঙা ও মার্গারেট কোর্টের সবচেয়ে বেশি গ্র্যান্ড স্ল্যাম খেতাব জয়ের রেকর্ড ছোঁয়ার হাতছানিকে কিন্তু কিছুতেই উপেক্ষা করতে পারবেন না সেরিনা। এ বার চ্যাম্পিয়ন হলে এই দুই মাইলফলক একসঙ্গে পেরোবেন ও ছোঁবেন তিনি।
স্টিফেন্স হেরে যাওয়ায় অবশ্য তাঁর এই রাস্তা আরও পরিষ্কার হয়ে গেল। স্টিফেন্স তাঁর হার নিয়ে বলেন, ‘‘বড় পয়েন্ট না তুলতে পারলে ম্যাচ হাতছাড়া হতেই পারে। আসলে আজ আমার কোনও কিছুই ঠিক হয়নি।’’ সাতবার ব্রেক পয়েন্ট পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি তিনি। এর জন্য অবশ্য বিরক্তিকর গরমকে দায়ী করেননি তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy