Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

প্রত্যাবর্তনে সেরা ম্যাচ, দিদিকে হারিয়ে সেরিনা

এর আগে একবারই এত বড় ব্যবধানে সেরিনা হারিয়েছেন ভিনাসকে। ২০১৩ সালে  জিতেছিলেন ৬-১, ৬-২। চার্লস্টনে। মার্গারেট কোর্টেও তিনি মাত্র তিনটে গেম খুইয়ে জিতলেন।

স্নেহ: ম্যাচ হারার পরে বোন সেরিনাকে কাছে টেনে নিলেন ভিনাস। যুক্তরাষ্ট্র ওপেনে। ছবি: এএফপি।

স্নেহ: ম্যাচ হারার পরে বোন সেরিনাকে কাছে টেনে নিলেন ভিনাস। যুক্তরাষ্ট্র ওপেনে। ছবি: এএফপি।

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ০২ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৪:৩১
Share: Save:

খুব সহজেই সেরিনা উইলিয়ামস তাঁর দিদি ভিনাসকে হারিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ওপেনের চতুর্থ রাউন্ডে পৌঁছে গেলেন। মাত্র ৭১ মিনিটে ২৩টি গ্র্যান্ড স্ল্যামজয়ী ম্যাচ বের করলেন ৬-১ ৬-২ সেটে। চিকিৎসার কারণে সেরিনাকে এই ম্যাচে খানিকক্ষণের জন্য বিরতি নিতে হয়। শেষ ষোলোতে তিনি খেলবেন এ বার এখানে সিমানো হালেপকে হারিয়ে চমকে দেওয়া এস্তোনিয়ার ৩৩ বছরের কাইয়া কানেপির সঙ্গে। যিনি এ বার ফ্লাশিং মিডোজে একটিও সেট হারেননি। এমনিতে সেরিনা দারুণ খুশি এতটা দাপট নিয়ে দিদিকে হারাতে পেরে, ‘‘কোর্টে ফেরার পরে আজই সেরা ম্যাচটা খেললাম।’’

এত বড় ব্যবধানে এর আগে একবারই সেরিনা হারিয়েছেন ভিনাসকে। ২০১৩ সালে জিতেছিলেন ৬-১, ৬-২। চার্লস্টনে। মার্গারেট কোর্টেও তিনি মাত্র তিনটে গেম খুইয়ে জিতলেন। বোনকে এত ভাল খেলতে দেখে অবাক ভিনাসও, ‘‘আমি খুব বেশি ভুল করিনি। কিন্তু ও সবই প্রায় ঠিক করেছে। আমার মনে হয় এই প্রতিযোগিতায় এ বার এ রকম ছন্দেই খেলে যাবে সেরিনা।’’ ট্যুরে এই নিয়ে আঠারো বার সেরিনা হারালেন ভিনাসকে।

এ হেন একপেশে ম্যাচের পাশে রীতিমতো হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হল রাফায়েল নাদালের সঙ্গে রাশিয়ার কারেন খাচানভের। ম্যাচের মীমাংসা হল চার সেটে। স্পেনীয় মহাতারকা শেষ পর্যন্ত জিতলেন ৫-৭, ৭-৫, ৭-৬ (৯-৭), ৭-৬ (৭-৩) সেটে। জীবনের চতুর্থ যুক্তরাষ্ট্র ওপেন জয়ের লক্ষ্যে নাদালকে এ বার খেলতে হবে জর্জিয়ার নিকোলাস বাসিলাসভিলির সঙ্গে। খাচানভের বিরুদ্ধেই তিনি এখানে সত্যিকারের চ্যালেঞ্জের সামনে পড়লেন। শুরুর দু’রাউন্ড জেতেন একটিও সেট না খুইয়ে। খাচানভ বলেছেন, ‘‘অনেক দিন থেকেই ওর খেলা বিশ্লেষণ করে যাচ্ছি। সে ভাবেই তৈরি হয়েছিলাম। অবশ্যই আমি কী ভাবে খেলি সেটাও ও জানে। হয়তো তাই এত ভাল একটা ম্যাচ হল।’’ রুশ প্রতিপক্ষের প্রশংসা করেছেন রাফাও, ‘‘ও খুবই শক্তিশালী প্রতিপক্ষ। শেষ পর্যন্ত জিততে পেরে তাই বেশ ভাল লাগছে। আসলে কঠিন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে ম্যাচ জিততে পারলে নিজের আত্মবিশ্বাসটা বেড়ে যায়। আশা করছি, পরের রাউন্ডগুলোয় সেটা কাজে আসবে।’’

এ দিকে রজার ফেডেরারকে এখানে তৃতীয় রাউন্ডে খেলতে হবে নিক কিরিয়সের সঙ্গে। ফেডেরার পাঁচ বার যুক্তরাষ্ট্র ওপেনে জিতেছেন। তাই বয়স বাড়লেও তাঁকেই ফেভারিট বলা হচ্ছে। কিন্তু কিরিয়সও অঘটন ঘটানোর ব্যাপারে আশাবাদী। দু’জনের প্রথম দেখা হয়েছিল ২০১৫ সালে মাদ্রিদ ওপেনে। সে বার কিন্তু ফেডেরারকে হারিয়ে সত্যিই অঘটন ঘটান। একই সঙ্গে বিভিন্ন সময় নাদাল, নোভাক জোকোভিচদেরও হারিয়েছেন কিরিয়স। এ বারের ম্যাচ নিয়ে বলেছেন, ‘‘রজার আমার প্রিয় খেলোয়াড়। ওর বিরুদ্ধে আমি সব সময় আন্ডারডগ। কখনও কখনও আন্ডারডগ থাকাই ভাল। তা হলে চাপ অনেক কম থাকে।’’ তাঁর আরও কথা, ‘‘এই ম্যাচটা নিয়ে আমার প্রত্যাশা অনেক বেশি। কেন যেন মনে হচ্ছে, খুব ভাল খেলব। রজারের সঙ্গে খেলতে নেমেই ধন্য হয়ে যাচ্ছি এমন মানসিকতা নেই। আমার বিশ্বাস, এ বার জিততেও পারি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE