Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

সন্তোষ ট্রফি থেকে লজ্জার বিদায় বাংলার

এ বারও পারলেন না অলোক মুখোপাধ্যায়ের ছেলেরা। এক ম্যাচ বাকি থাকতেই সন্তোষের গ্রুপ লিগ থেকে বিদায় নিল বাংলা। গত বছরেরই পুনরাবৃত্তি যেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০৮ মার্চ ২০১৬ ০৪:০৪
Share: Save:

পাঁচ বছর হয়ে গেল সন্তোষ ট্রফি অধরা বাংলার।

এ বারও পারলেন না অলোক মুখোপাধ্যায়ের ছেলেরা। এক ম্যাচ বাকি থাকতেই সন্তোষের গ্রুপ লিগ থেকে বিদায় নিল বাংলা। গত বছরেরই পুনরাবৃত্তি যেন।

সোমবার তামিলনাড়ুর কাছে ০-১ হারল বাংলা। সুসাই রাজের করা গোলে। নিট ফল, তিন ম্যাচের মধ্যে দু’টিতে হেরে বিদায়ের ঘণ্টা নিজেরাই বাজিয়ে দিল বাংলা। এ দিন ম্যাচের পর নিজের ক্ষোভ চেয়ে রাখতে পারেননি অলোক। সরাসরি আঙুল তুলেছেন ফুটবলারদের দিকেই। নাগপুরে তাঁকে ফোনে ধরা হলে বলে দিলেন, ‘‘আমাদের কেউ গোল ফিনিশ করতেই পারে না। অসংখ্য সুযোগ নষ্ট করেছে। এ ভাবে জেতা যায় নাকি?’’

২০১১ সালে সাব্বির আলির কোচিংয়ে শেষ সন্তোষ ট্রফি ঘরে এনেছিলেন বাংলার ছেলেরা। তার পর থেকে শুধুই হতাশা। এ দিন সাব্বির আলি বলছিলেন, ‘‘এ বার আশা করেছিলাম, বাংলা ভাল ফল করবে। কিন্তু সেটা হল না। আমি হতাশ।’’

বাংলা ফুটবলে এ হেন পরিস্থিতির দায় কার? আইএফএ সচিব উৎপল গঙ্গোপাধ্যায়ের দাবি, ‘‘হারলেই সবাই বলেন, দলে ঝামেলা রয়েছে। সেটা কিন্তু ঠিক নয়। ফুটবলাররা চেষ্টা করেছে। টিম ফিরলে ব্যক্তিগত ভাবে কথা বলব, কোথায় সমস্যা হয়েছে।’’

সন্তোষের মূল পর্বে যাওয়ার পর টিমের অনেক পরিবর্তন করা হয়েছিল। অসীম বিশ্বাস, জিতেন মুর্মু, মণীশ মৈথানিদের মতো অভিজ্ঞ ফুটবলার নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তাতেও কোনও লাভ হয়নি। অসীম প্রথম ম্যাচ থেকেই চোট পেয়ে বসে গিয়েছিলেন। বাংলা কোচ বলছিলেন, ‘‘মণীশ মৈথানিও জ্বরের জন্য খেলতে পারেনি। জিতেনের ফিটনেস খুব ভাল ছিল না। তবু ফুটবলারদের অনেক বুঝিয়েছিলাম। বলেছিলাম, গোলের সুযোগ পেলে নষ্ট করলে ভুগতে হবে। আর সেটাই হয়েছে,’’ হতাশ গলায় বলছিলেন অলোক।

এ দিকে আবার গোয়া সেমিফাইনালে উঠে গেল। সোমবার পঞ্জাবকে ১-০ হারাল গোয়া। ম্যাচের একমাত্র গোল করেন ফ্রান্সিস ফার্নান্দেজ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

santosh trophy bengal
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE