ছন্দে: টেস্টের প্রথম দিনে দুই উইকেট শামির। বুধবার। এএফপি
বছরের শুরুতে দক্ষিণ আফ্রিকা সফর থেকে দেশে ফেরার পরেই ব্যক্তিগত ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েছিলেন। তার পরে আইপিএলেও দিল্লি ডেয়ারডেভিলসের হয়ে তাঁকে সে ভাবে ছন্দে পাওয়া যায়নি। কিন্তু ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে এজবাস্টনে প্রথম টেস্ট থেকেই ছন্দে পাওয়া গেল মহম্মদ শামিকে। ১৯ ওভার বল করে ৬৪ রানে দুই উইকেট।
অ্যালেস্টেয়ার কুককে দিনের শুরুতেই রবিচন্দ্রন অশ্বিন প্যাভিলিয়নে ফিরিয়ে দেওয়ার পরে শামিই পরবর্তী ধাক্কাটা দেন ইংল্যান্ডকে। চার ওভারের মধ্যে তিনি প্যাভিলিয়নে ফিরিয়ে দেন কিটন জেনিংস ও দাউয়িদ মালানকে। যে প্রসঙ্গে ম্যাচ শেষে শামি বললেন, ‘‘ওই চার ওভারে অতিরিক্ত কিছু করতে হয়নি। কারণ ইংল্যান্ডের উইকেট সম্পর্কে আগাম ধারণা ছিল। কেবল নিয়ন্ত্রিত লাইন ও লেংথে বল করে গিয়েছি।’’
নিজের প্রত্যাবর্তনের কারণ সম্পর্কে শামি বলছেন, ‘‘এনসিএ তে রিহ্যাব এবং তার পরে সুস্থ হয়ে নেটে নিজেকে নিংড়ে দিয়েছিলাম। তার ফলে ফের ছন্দে ফিরেছি।’’ সঙ্গে তিনি যোগ করেন, ‘‘দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ফেরার পরে ব্যক্তিগত সমস্যা সামনে এসেছিল। তা নিয়ে লড়তে হয়েছে। কিন্তু ক্রিকেটে কোনও ভাবেই বিরতি পড়েনি। ব্যক্তিগত সমস্যা ছাপ ফেলেনি ক্রিকেটে। কারণ ক্রিকেট আমার ভালবাসা। অনুশীলনে নিজেকে ডুবিয়ে রেখেছিলাম। তারই ফল মিলছে।’’
যে অশ্বিনকে খেলানো নিয়ে বিশেষজ্ঞরা নানা মত ব্যক্ত করেছিলেন প্রথম টেস্টের আগে, সেই অশ্বিনই এ দিন ৬০ রানে চার উইকেট তুলে নিয়েছেন। যে প্রসঙ্গে শামি বলেন, ‘‘পেসারদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বল করে গেল অশ্বিন। দারুণ বল করেছে আজ। ওর বোলিং দিনের শুরুতেই আমাদের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দেয় অনেকটাই। দ্বিতীয় স্পিনারের অভাব বুঝতে দেয়নি অশ্বিন। এক দিক থেকে যখন রান চাপা হচ্ছিল, তখন আর এক দিক থেকে উইকেট পড়ছিল। এই কম্বিনেশনটা কাজ করে গিয়েছে।’’
ভারতীয় বোলিংয়ের সামনে ইংল্যান্ড ব্যাটিংয়ের ভেঙে পড়া সম্পর্কে শামির বিশ্লেষণ, ‘‘উইকেট একটু মন্থর ও স্যাঁতসেতে ছিল। তাই সারা দিন লাইন ও লেংথ বজায় রাখাটাই ছিল প্রধান কাজ। প্রথমে কঠিন লাগলেও পরের দিকে উইকেট সোজা হয়ে এসেছিল। ২১৬-৩ থেকে ইংল্যান্ডের রানের গতি থামিয়ে দেওয়া একটা বড় কৃতিত্ব।’’
পিচে রবিচন্দ্রন অশ্বিনের দাপট দেখার পরে প্রথম দিনের শেষে অনেকেই বলছেন, দুই স্পিনার নিয়ে নামলে আরও সুবিধা হত ভারতের। সেই প্রসঙ্গ তোলা হলে শামি বলেন, ‘‘আরও একজন স্পিনার নিয়ে নামলে ভাল হতই সেটা বলা যায় না। হাতে যা রসদ আছে তা নিয়েই লড়তে হবে। কী পাওয়া যাচ্ছে না সেটা নিয়ে ভাবার দরকার নেই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy