ম্যাচের আগের দিন সকালে অনুশীলনে এটিকে। ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক।
শেষ ম্যাচে দল জয় পেয়েছে প্রথম, কোচের মেজাজ যে ভাল থাকবে সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু তার মধ্যেই ঘরের সমর্থকদের জয় উপহার দিতে চান শেরিংহ্যাম। যা এখনও হয়নি। কলকাতার ফুটবলপ্রেমীরা যে আগ্রহ হারাচ্ছে ক্রমশ তা ঘরের মাঠে একটি ম্যাচেই প্রমাণ হয়ে গিয়েছে। কলকাতার মানুষকে আইএসএল মুখি করতে এটিকের সাফল্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
প্রি-ম্যাচ সাংবাদিক সম্মেলনেও সেই কথাই বলে গেলেন এটিকে কোচ। প্রথম থেকে জয়ের মুখ দেখেনি এটিকে। গত তিনটি আইএসএল-এ এমনটা কখনও হয়নি। শুরুটা সব সময়ই ভাল করেছে কলকাতার দল। কিন্তু চতুর্থ আইএসএল একটু হলেও ব্যাতিক্রম। শেষ পর্যন্ত জয়ের স্বাদ পেয়েছে কলকাতা। আর সেই জয়ের ধারাই ধরে রাখতে এ বার বদ্ধপরিকর এটিকে কোচ। তাই প্রি-ম্যাচ সাংবাদিক সম্মেলনে এসে বুঝিয়ে দিলেন, এ বার অন্য এটিকে-কে দেখবে কলকাতা। বলেন, ‘‘এই ম্যাচে কিন্তু আপনারা অন্য এটিকে-কে দেখতে পাবেন। ছেলেরাও তিন পয়েন্ট তুলে নিয়ে নিজেদের প্রমাণ করতে মরিয়া।’’
দিল্লির মতো অতটাও খারাপ নয় কলকাতার রেকর্ড। যদিও দু’দলেরই ঝুলিতে রয়েছে একটি করে জয়। কিন্তু পয়েন্টে বেশ খানিকটা এগিয়ে কলকাতা। কারণ কলকাতার দখলে রয়েছে ড্র ম্যাচ আর দিল্লির হার। দু’টি ড্র আর দু’টি হার নিয়ে কলকাতা এখন লিগ টেবলের আট নম্বরে রয়েছে। দিল্লিকে ঘরের মাঠে হারাতে পারলেই একধাপ উঠে আসবে কলকাতা। শেরিংহ্যাম বলছিলেন, ‘‘শেষ পর্যন্ত আমরা জয় পেয়েছি য়া আমাদের জন্য আনন্দের। অনেক পরিশ্রম করে, লড়াই দিয়েও জয় আসছিল না। এই ম্যাচে মরসুমের প্রথম ম্যাচ জিততে যা যা করা দরকার ছিল আমরা করেছি। আর তা কাজে লেগেছে। ফুটবলে এমনটা কখনও কখনও হয়।’’
দেখুন এটিকে কোচের সাংবাদিক সম্মেলন
আত্মবিশ্বাসের তুঙ্গে থাকলেও দিল্লিকে হালকাভাবে নিতে নারাজ এটিকে কোচ। দিল্লির শক্তি ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তাদের শেষ ম্যাচের উদাহরণই দিয়েছেন তিনি। বলছিলেন, ‘‘গোয়ার বিরুদ্ধে আমি দিল্লির ম্যাচ দেখেছি। প্রথমার্ধেই তিন গোলে এগিয়ে যেতে পারত যদি সুযোগুলো কাজে লাগাতে পারত। প্রথমার্ধের খেলায় দিল্লিরই দাপট ছিল। শেষে যদিও হারের মুখ দেখতে হয়েছে। ফুটবলে একটা ভুল আর একটা গোল খেলাটাকেই বদলে দিতে পারে। তাই ওদের হাল্কা ভাবে নেওয়ার কোনও জায়গা নয়।’’
আরও পড়ুন
কোচহীন দিল্লির লক্ষ্য কলকাতা থেকেই জয়ে ফেরা
দলের চোট-আঘাত বা পরিবর্তন নিয়ে অবশ্য কিছুই জানাতে চাননি এটিকে কোচ। শুধু জানিয়েছেন, প্রয়োজন হলে তো পরিবর্তন করতেই হবে কিন্তু সেটা কী তিনি জানাতে চান না। তা হলে প্রতিপক্ষ সতর্ক হয়ে যাবে। একই কারণে দলের চোট-আঘাত নিয়েও মুখ খুলতে চাননি তিনি। তাই ম্যাচ জিতেই ক্রিসমাস পালন করতে চান তিনি। তবে দলের তারকা প্লেয়ারের ক্রিসমাস ছুটি নিয়ে যা রটনা হয়েছে তা হেসেই ওড়ালেন কোচ। বরং এটা পরিষ্কার করে দিলেন, পেশাদার ফুটবলে কোনও উৎসবের সময় নেই। তাই ম্যাচ জিতলেও ক্রিসমাস পালন নয় দলের কাজ হবে পরের ম্যাচের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া। তাই এই সব নিয়ে ভাবনা-চিন্তার কোনও জায়গা নেই কোচের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy