জল্পনাটা গত শুক্রবার থেকেই ছড়িয়েছিল। এ দিন সেই জল্পনা সত্যি করে বিদ্রোহী টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট লিগ করার তোড়জোড় তারা শুরু করে দিয়েছে বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিল শিল্পপতি সুভাষ চন্দ্রের এসেল গোষ্ঠী।
এসেল গোষ্ঠীর অর্থ বিভাগের প্রধান হিমাংশু মোদী জানিয়েছেন, তাঁদের প্রথম লক্ষ্য ভারতের কিছু শহরের টিম তৈরি করে হোম ও অ্যাওয়ে ভিত্তিতে একটি নতুন লিগ চালু করা। এক সংবাদপত্রকে মোদী বলেছেন, ‘‘আমরা প্রথমে ভারতের ১০-১২টি শহরে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে লিগ চালুর কথা ভেবেছি। আইসিএলের পর জানি ভারতীয় বোর্ড আমাদের কোথায় কোথায় রুখতে পারে। গত বারের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে এ বার তাই কোনও তাড়াহুড়ো করা হচ্ছে না। শুরু হতে আরও অন্তত এক বছর বা তার বেশি লেগে যাবে।’’ জি-টিভি এবং এসেল গোষ্ঠীর মালিক সুভাষ চন্দ্র এর আগে ইন্ডিয়ান ক্রিকেট লিগ চালাতে গিয়ে ভারতীয় বোর্ডের চাপে কাছে নতি স্বীকারে বাধ্য হয়েছিলেন। বছর দুই চলার পর পাততাড়ি গোটাতে হয়েছিল আইসিএলকে। তার উপর সেই লিগে খেলা বহু ক্রিকেটারের বকেয়া আজও মেটানো হয়নি। সব মিলিয়ে আগের অভিজ্ঞতা সুখের নয়, মেনে নিয়েছেন মোদী। তবে তাঁর দাবি, সেই কারণেই এ বার তাঁরা আরও অনেক বেশি তৈরি হয়ে আসরে নামছেন। মোদী বলেছেন, ‘‘আমাদের সময় বাছাটা একদম ঠিক হয়েছে। তবে নতুন লিগ শুরু করায় ক্রিকেটার আর মাঠ এই দু’টো সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আইসিএলের সময় ভারতের চার শহরে আমাদের নিজেদের চারটে মাঠ ছিল। ক্রিকেটার পাওয়াও সমস্যা হয়নি। তবে অভিজ্ঞতা থেকে বুঝেছি, নিজেদের মাঠ বাড়াতে হবে। আর দশ থেকে বারোটা টিম লাগবে। এ বার তাতেই জোর দেওয়া হচ্ছে।’’
সিডনির একটি কাগজের দাবি, আইসিএল খেলা ক্রিকেটারদের পাওনা না মেটানোর ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি এড়াতে সুভাষ চন্দ্র নাকি এ বার ক্রিকেটারদের ব্যাঙ্ক গ্যারান্টি দেওয়ার চিন্তা করেছেন। এসেল গোষ্ঠী ক’দিন আগে ‘অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট কন্ট্রোল’ নামে কোম্পানি নথিভুক্ত করার পরেই বিদ্রোহী লিগ নিয়ে নড়ে বসে তদন্তে নামে আইসিসি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy