এখনকার প্রজন্মের কাছে ভিডিও গেমস শুধু সময় কাটানো কিংবা নিছক বিনোদন নয়। খেলার পাশাপাশি আয়েরও একটা মাধ্যম। যেখান থেকে লক্ষ লক্ষ ডলার আয় করছেন অনেক পেশাদার ‘গেমার’। তাঁদেরকে খেলোয়াড়ের মর্যাদাও দেওয়া হচ্ছে। আর পেশাদার এই খেলা পেয়েছে তার পোশাকি নাম— ই-স্পোর্টস।
জনপ্রিয়তার নিরিখে ই-স্পোর্টস কিন্তু বেশ একটা ব্যাপার এখন। বিষয়টা এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে, অলিম্পিকে ইলেকট্রনিক এই স্পোর্টসকে ঠাঁই দেওয়ার দাবি উঠেছিল। এবং সেটা জানিয়েছিলেন, ওয়ার্ল্ড অব ওয়ারক্রাফট-এর উদ্ভাবক রব পারদো। তাঁর দাবি ছিল, খেলাধুলো পরিবর্তনশীল একটা বিষয়। এই সময়ে সেই ক্রীড়া ক্ষেত্রের বড় একটা জায়গা দখল করে রয়েছে ভিডিও গেমস। কাজেই অলিম্পিকে ই-স্পোর্টস জায়গা পেতেই পারে! সে দাবি যদিও মানা হয়নি।
তবে, দর্শক টানার দিক থেকে পেশাদার ই-স্পোর্টস কিন্তু পিছিয়ে নেই। গত বছর দক্ষিণ কোরিয়ার সোলে ভিডিও গেমের মেগা ফাইনালে মাঠে প্রায় ৪০ হাজার দর্শক হাজির হয়েছিলেন। এবং গোটা বিশ্বের হাজার হাজার দর্শক অনলাইনে তা দেখেছেন। তবে, খেলাপ্রেমীদের একাংশের মতে শরীর নির্ভর খেলাগুলির সঙ্গে পাল্লা দিতে ই-স্পোর্টসকে আরও অনেকটা দূর যেতে হবে।
সেটা ১৯৮০। ‘স্পেস ইনভেডার্স’ গেমটি নিয়ে প্রথম আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রতিযোগিতার আয়োজন করে গেম কোম্পানি আটারি। তাতে ১০ হাজারেরও বেশি গেমার অংশ নেন। সেখান থেকেই উঠে আসেন লিও ড্যানিয়েলস। প্রথম প্রফেশনাল গেমারের তকমা পেয়েছিলেন তিনি। অ্যাস্টেরয়েড, রোবোট্রন, টেম্পেস্ট ইত্যাদি গেমে বড়সড় স্কোর করায় তাঁর পরিচিতি ছড়িয়ে পড়ে। তবে, আধুনিক ই-স্পোর্টসের আর এক মাইলফলক ১৯৯৭-এর রেড অ্যানিহিলেশন প্রতিযোগিতা।
এই সব প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে পুরস্কার মূল্যের বিপুল অর্থ ঘরে নিয়ে গিয়েছেন গেমাররা। যেমন, ‘স্টারক্রাফট ২’-এর বিজয়ী প্রায় পাঁচ লাখ ডলার আয় করেছিলেন। এ ছাড়া ‘ডোটা ২’-এর চ্যাম্পিয়ন হয়ে চিনের এক প্রতিযোগী ৫০ লাখ ডলার পুরস্কার পেয়েছিলেন। এই টুর্নামেন্টের পুরস্কার মূল্য ছিল এক কোটি ডলার।
তবে যত যাই হোক না কেন, যে কোনও ধরনের খেলা জনপ্রিয় হতে টিভিতে তার সম্প্রচার জরুরি। সম্প্রতি ইএসপিএন-এ ‘ডোটা ২’ সম্প্রচারিত হয়েছে।
কাজেই ই-স্পোর্টসের বাজারে বৃহস্পতি যে এখন তুঙ্গে তা বোধহয় বলাই যায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy