আজ সম্ভবত সিরিজের সেরা যুদ্ধ শুরু হচ্ছে। ২০০৬-এর পরে বিদেশে দক্ষিণ আফ্রিকা অপরাজিত। ভারতেও ওরা যথেষ্ট শক্তিশালী। ভাবতে পারিনি সীমিত ওভারের দুটো সিরিজ ওরা জিতবে। কিন্তু সত্যি ওরা দুর্দান্ত খেলেছে। বাকি চার ম্যাচেও যে আত্মবিশ্বাসটা থাকবে। সিরিজটা লম্বা ঠিকই, কিন্তু দেখতে দারুণ লাগবে।
দক্ষিণ আফ্রিকা এই যে বিদেশে হারেনি, তার কারণ ওদের বোলিং। ওদের আক্রমণ এমনিতেই খুব ভাল। তার উপর ইমরান তাহির থাকায় উপমহাদেশীয় পরিবেশে বোলিংয়ে আরও ভারসাম্য এসেছে। জানি প্রথম দিকে ওরা ভার্নন ফিল্যান্ডারের দিকে ঝুঁকবে। কিন্তু প্রথম এগারোয় থাকা নিয়ে তরুণ রাবাদাও জোরালো দাবি রাখছে। ওর গতি আছে। মোহালির পিচে এসজি টেস্ট বল রিভার্স করাতে সাহায্য করবে। স্টেইন, মর্কেল আর রাবাদা একই টিমে, এটা যে কোনও অধিনায়কের স্বপ্ন।
ভারতকে টেক্কা দিতে হলে ওদের ব্যাটিং ভাল হতে হবে। হাসিম আমলা ভারতে ওর দুর্ধর্ষ রেকর্ড আরও ভাল করতে চাইবে। ক্যাপ্টেন হিসেবে ভারতে প্রথম টেস্ট সিরিজ জিততে মুখিয়ে থাকবে আমলা। এবি, দু’প্লেসি, দুমিনি, সবাই ভারতে সফল। কিন্তু টার্নিং পিচে ওদের আরও উন্নত ক্রিকেট খেলতে হবে। টার্নিং উইকেটে জাত স্পিনারদের মোকাবিলা করা এ ধরনের পরিবেশে কিন্তু বেশ কঠিন।
শ্রীলঙ্কা সফরের চেয়ে ভারতের পক্ষে এটা কিন্তু বেশি কঠিন পরীক্ষা। বিরাট কোহলি নিয়ে যে যা-ই বলুক, অধিনায়ক হিসেবে আপাতত সংক্ষিপ্ত কেরিয়ারে ও বেশ ভাল কাজ করেছে। মুরলী বিজয়, কোহলি, রাহানের মতো কয়েক জন সিরিয়াস প্লেয়ার রয়েছে টিমে, যারা দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য বড় আতঙ্ক হয়ে উঠতে পারে।
পিচ নিয়ে প্রচুর কথা হচ্ছে। আমি হোম অ্যাডভান্টেজে দৃঢ় বিশ্বাসী। তবু বলব ভারতের ভাল, পাটা উইকেটে খেলা উচিত। টেস্ট জিততে গেলে ওদের রান তুলতেই হবে। ম্যাচ যত এগোয়, এ সব পিচে তত টার্ন আসে। মোহালিতেও সেটা হতে পারে। আর আমার মনে হয় এটা নিয়ে ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্টের ভাবনাচিন্তা বন্ধ করা উচিত। অশ্বিন-মিশ্ররা ভাল বোলার, এই পরিবেশে ভাল করবে। জাডেজা বল হাতে এখন দারুণ ফর্মে। কিন্তু প্রশ্ন হল, ছ’নম্বরে ব্যাট করার মতো রান কি ওর আছে? মনে হয় সেরা বিকল্প হবে ছয় ব্যাটসম্যান আর চার বোলার। সিরিজের প্রথম টেস্ট সব সময় গুরুত্বপূর্ণ। তবে দু’দলকেই বলব, আতঙ্ক কোরো না। কারণ ঘুরে দাঁড়ানোর যথেষ্ট সময়ও থাকবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy