Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

দ্রাবিড়কে নোটিস, প্রতিবাদী সৌরভ

মধ্যপ্রদেশ ক্রিকেট সংস্থার সদস্য সঞ্জয় গুপ্ত দ্রাবিড়ের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ এনে ভারতীয় বোর্ডের নীতি নির্ধারক আধিকারিককে চিঠি পাঠিয়েছেন। সেই ভিত্তিতেই অবসরপ্রাপ্ত আইনজীবী ডি কে জৈন দ্রাবিড়কে নোটিস দিয়েছেন।

 ক্ষুব্ধ: এথিক্স অফিসারের ভূমিকায় খুশি নন সৌরভ। ফাইল চিত্র

ক্ষুব্ধ: এথিক্স অফিসারের ভূমিকায় খুশি নন সৌরভ। ফাইল চিত্র

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ০৮ অগস্ট ২০১৯ ০৩:৪১
Share: Save:

‘স্বার্থ সংঘাত’। ভারতীয় ক্রিকেটে বিষয়টি এখন বহু চর্চিত। যা ঘিরে বিতর্কে এ বার জড়িয়ে গেল রাহুল দ্রাবিড়ের নামও।

মধ্যপ্রদেশ ক্রিকেট সংস্থার সদস্য সঞ্জয় গুপ্ত দ্রাবিড়ের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ এনে ভারতীয় বোর্ডের নীতি নির্ধারক আধিকারিককে চিঠি পাঠিয়েছেন। সেই ভিত্তিতেই অবসরপ্রাপ্ত আইনজীবী ডি কে জৈন দ্রাবিড়কে নোটিস দিয়েছেন। দ্রাবিড়কে প্রমাণ করতে হবে, আদৌ স্বার্থ সংঘাতে জড়িয়ে পড়লেন কি না।

ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ করেছেন সিএবি প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ও প্রাক্তন সতীর্থ হরভজন সিংহ। সৌরভের টুইট, ‘‘ভারতীয় ক্রিকেটে নতুন ফ্যাশন শুরু হয়েছে। স্বার্থ সংঘাত। খবরের শিরোনামে থাকার জন্য সব চেয়ে ভাল উপায় এখন এটাই। ঈশ্বরই পারেন ভারতীয় ক্রিকেটকে রক্ষা করতে। এ বার দ্রাবিড়কে নাকি স্বার্থের সংঘাতে জড়ানোর জন্য নোটিস পাঠালো ভারতীয় বোর্ড।’’

সৌরভের এই টুইট পড়ে হরভজন সিংহও প্রতিবাদ করেন। হরভজনের টুইট, ‘‘তাই নাকি? বোঝাই যাচ্ছে না, কোন দিকে ভারতীয় ক্রিকেট এগোচ্ছে। ভারতীয় ক্রিকেটের উন্নতির জন্য দ্রাবিড়ের চেয়ে ভাল কেউ হতে পারে না।’’ যোগ করেন, ‘‘দ্রাবিড়ের মতো কিংবদন্তিকে নোটিশ পাঠানো মানে তাকে অপমান করা। ওর মতো বিশেষজ্ঞকে প্রয়োজন। ভারতীয় ক্রিকেটকে রক্ষা করো ঈশ্বর।’’

স্বার্থের সংঘাতের অভিযোগ আদৌ ঠিক কি না তা প্রমাণ করার জন্য দু’সপ্তাহ সময় দেওয়া হয়েছে দ্রাবিড়কে। সঞ্জয়ের অভিযোগ অনুযায়ী, বেঙ্গালুরুর জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমির ডিরেক্টর হওয়ার পাশাপাশি একটি বেসরকারি সংস্থার ভাইস-প্রেসিডেন্ট পদে রয়েছেন দ্রাবিড়। যে সংস্থার কাছে আইপিএল-এ চেন্নাই সুপার কিংসের মালিকানা রয়েছে। যদিও অনেকে এমনও প্রশ্ন তুলছেন, তারকা হলেই স্বার্থ সংঘাতের বিষয়কে কেন হাল্কা ভাবে দেখা হবে।

এর আগেও ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটারদের বিরুদ্ধে একাধিক স্বার্থ সংঘাতের অভিযোগ এনেছেন সঞ্জয়। কিংবদন্তি সচিন তেন্ডুলকরের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনার পাশাপাশি ভিভিএস লক্ষ্মণকেও জড়িয়েছিলেন তিনি। সচিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, ক্রিকেট অ্যাডভাইসরি কমিটির সঙ্গে যুক্ত হওয়ার সঙ্গে আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি। লক্ষ্মণের ক্ষেত্রেও একই অভিযোগ আনা হয়েছিল।

দুই প্রাক্তন ক্রিকেটারই ডি কে জৈনকে বিষয়টি ব্যাখ্যা করেন। এমনকি স্বার্থ সংঘাত প্রমাণ করতে পারলে ক্রিকেট অ্যাডভাইসরি কমিটির সদস্যপদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার জন্যও প্রস্তুত ছিলেন দু’জনে। স্বার্থ সংঘাতের অভিযোগ আনা হয়েছিল সৌরভের বিরুদ্ধেও। সিএবি প্রেসিডেন্ট থাকার পাশাপাশি আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজি দিল্লি ক্যাপিটালসের উপদেষ্টা পদে থাকার জন্য অভিযোগ উঠেছিল।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE