আশাবাদী: আদালতের দিকে তাকিয়ে সৌরভ। ফাইল চিত্র
প্রায় ন’বছর পরে তাঁকে দেখা গেল সিএবি-র সভায়। তিনি, বাংলার প্রাক্তন রঞ্জি ক্রিকেটার স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়। প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক ও বর্তমান সিএবি প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের দাদা। শনিবার সিএবি-র বিশেষ সাধারণ সভায় হঠাৎ স্নেহাশিসকে দেখে বঙ্গ ক্রিকেটের অন্দরমহলে শুরু হয়ে যায় জল্পনা। তা হলে কি ফের ক্রিকেট প্রশাসনে সক্রিয় ভাবে দেখা যাবে তাঁকে? স্নেহাশিস অবশ্য এর আগেও ক্রিকেট প্রশাসনে ছিলেন। তখন প্রসূন মুখোপাধ্যায় ছিলেন সিএবি প্রেসিডেন্ট।
সুপ্রিম কোর্টে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড মামলার অবস্থা ও তার পরিপ্রেক্ষিতে সিএবি-র অবস্থান কী, তা অনুমোদিত সংস্থাগুলিকে জানাতে শনিবার বিশেষ সাধারণ সভা ডাকা হয়েছিল। যেখানে ১২১টির মধ্যে একশোরও বেশি সংস্থার প্রতিনিধি উপস্থিতি ছিলেন। এই সভাতেই সিটি এসি-র প্রতিনিধি হিসেবে ছিলেন স্নেহাশিস। সভা শেষে সৌরভের ঘরে বেশ কিছুক্ষণ দু’জনের মধ্যে
কথাও হয়।
২০০৯-এর পরে সিএবি-র কোনও সভায় এলেন স্নেহাশিস। এ কথা নিজেই স্বীকার করে এ দিন ক্লাব হাউসে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, ‘‘অনেক দিন পরে সিএবি-র সভায় এসে ভাল লাগল। এত দিন সময় পাইনি। এ বার নিজেকে ক্রিকেটের সঙ্গে জড়াতে চাই। তাই সভায় এলাম। কোনও দায়িত্ব পেলে তা যথাযথ ভাবে পালন করার জন্য নিজেকে মানসিক ভাবে তৈরি করছি আমি।’’ শনিবারের এই সভায় সৌরভ সদস্যদের জানিয়ে দেন, ৫ জুলাই বোর্ড মামলার পরবর্তী শুনানি পর্যন্ত অপেক্ষা করা ছাড়া আর কোনও রাস্তা নেই সিএবি-র সামনে। সম্প্রতি কমিটি অব অ্যাডমিনিস্ট্রেট্র্স (সিওএ) এক চিঠিতে রাজ্য ক্রিকেট সংস্থায় পর্যবেক্ষক নিয়োগ করতে বলেছে। শনিবারের সভায় সিওএ-র সেই চিঠির প্রসঙ্গ উঠলে জোরালো আপত্তি ওঠে। প্রশ্ন তোলা হয়, সিওএ এমন চিঠি দিল কেন? এমনকী সত্তরোর্ধ্ব সিওএ প্রধান বিনোদ রাইয়ের ওই পদে থাকা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়। এই নিয়ে সৌরভ বলেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের অপেক্ষায় আছি। ৫ জুলাইয়ের শুনানির আগে আমাদের কিছু করার নেই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy