Advertisement
২৩ এপ্রিল ২০২৪
Sourav Ganguly

সৌরভদের ভাগ্য স্থির দু’সপ্তাহ পরে

লোঢা কমিটির সংস্কার অনুযায়ী, কোনও পদাধিকারীর রাজ্য সংস্থা এবং বোর্ড মিলিয়ে ছ’বছর হয়ে গেলেই তাঁকে তিন বছরের বিশ্রামে যেতে হবে। বোর্ড কর্তারা এ নিয়েই পাল্টা আবেদন করেছেন সৌরভ এবং জয় শাহের বর্ধিত মেয়াদের জন্য।

সৌরভ। ফাইল চিত্র

সৌরভ। ফাইল চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৩ জুলাই ২০২০ ০৬:৩৩
Share: Save:

ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়দের মেয়াদ বাড়বে কি না, তা নিয়ে কোনও রায় বুধবারেই দেয়নি সুপ্রিম কোর্ট। তবে ক্রিকেট বোর্ডের আশা জাগিয়ে দেশের সর্বোচ্চ আদালত এই মামলা শুনতে রাজি হয়েছে। বুধবার ‘ভার্চুয়াল সেশনে’ সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, দু’সপ্তাহ পরে এ নিয়ে শুনানি হবে।

লোঢা কমিটির সংস্কার অনুযায়ী, কোনও পদাধিকারীর রাজ্য সংস্থা এবং বোর্ড মিলিয়ে ছ’বছর হয়ে গেলেই তাঁকে তিন বছরের বিশ্রামে যেতে হবে। বোর্ড কর্তারা এ নিয়েই পাল্টা আবেদন করেছেন সৌরভ এবং জয় শাহের বর্ধিত মেয়াদের জন্য। বোর্ড আর্জি জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট এবং সচিবকে টানা ছ’বছর থাকতে দেওয়া হোক। তার পরে তাঁদের ‘কুলিং অফ’ শুরু হোক। লোঢা-নিয়মে সৌরভের প্রেসিডেন্ট পদের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী সপ্তাহেই। অমিত শাহ-পুত্র জয়ের মেয়াদ ইতিমধ্যেই শেষ।

কোনও কোনও বোর্ড কর্তা এ দিন বলছিলেন, ‘‘লোঢা সংস্কারের সব চেয়ে বড় নমুনা সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের বোর্ড প্রেসিডেন্ট হওয়া। সেটা বিচারপতি লোঢাও স্বয়ং প্রকাশ্যে বলেছেন। সর্বকালের সফলতম অধিনায়কদের এক জন প্রেসিডেন্ট, পুরনো বোর্ডের নিয়ম চললে ভাবাই যেত না। আট মাস থেকে চলে যেতে হলে দুর্ভাগ্যজনকই হবে।’’ চার বছর নির্বাসিত থাকার পরে কর্তারা দখল পেয়েছেন বোর্ডের। সৌরভকে সামনে রেখে নষ্ট হওয়া ভাবমূর্তি ফেরাতে চাইছেন তাঁরা। যত দিন না সুপ্রিম কোর্ট এই আবেদন নিয়ে রায় দিচ্ছে, সৌরভরা কাজ চালিয়ে যেতে পারবেন। অর্থাৎ, আইপিএল নিয়ে আসন্ন বৈঠকেও তাঁরা যোগ দিতে পারছেন।

তাৎপর্যপূর্ণ হচ্ছে, সুপ্রিম কোর্টে বোর্ডের দুর্নীতি নিয়ে যিনি আবেদন করেছিলেন, যাঁর আবেদনের ভিত্তিতে সারা দেশে তোলপাড় পড়ে গিয়ে বোর্ড থেকে অপসারিত হয়েছিলেন এন শ্রীনিবাসন এবং লোঢা কমিটির সংস্কার শুরু হয়েছিল, বিহারের সেই আদিত্য বর্মাও জানিয়েছেন, সৌরভের মেয়াদ বাড়লে আপত্তি নেই। আদিত্যের ‘ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অফ বিহার’-ই এখনও বোর্ডের বিরুদ্ধে লড়ছে। এই মামলাতেও বোর্ডের বিপক্ষ তারাই।

বোর্ড এবং তার রাজ্য সংস্থাদের পক্ষে বেশ নামী আইনজ্ঞরাই থাকছেন। শ্রীনিবাসন তাঁর কন্যাকে তামিলনাড়ু ক্রিকেট সংস্থার প্রধান করেছেন। কিন্তু লোঢা সংস্কার কার্যত কিছুই মানেননি। সেই কারণে বোর্ডের আর্থিক অনুদান আটকে রয়েছে। তামিলনাড়ু সংস্থার পক্ষে দাঁড়িয়ে কপিল সিব্বল এ দিন অনুদান ছেড়ে দেওয়ার আর্জি জানান। হিমাচল প্রদেশ ক্রিকেট সংস্থার পক্ষে সওয়াল করতে আসেন হরিশ সালভে।

এ দিকে, রাজধানীতে জোরালো জল্পনা, দিল্লি ক্রিকেট সংস্থার প্রধান হিসেবে আসতে পারেন অরুণ জেটলির পুত্র রোহন। প্রয়াত জেটলি দীর্ঘ দিন ধরে দিল্লি সংস্থার সর্বময় কর্তা ছিলেন। সংস্থার অন্দরে প্রবল তিক্ততা এবং দলাদলি চলছে। কর্তারা নিজেরা নিয়মে আটকে যাচ্ছেন দেখে স্ত্রীকেও দাঁড় করাতেও পিছপা হচ্ছেন না। এই অবস্থায় দিল্লির প্রভাবশালী মহলের পছন্দ জেটলি-পুত্রই।

আরও পড়ুন: অপেক্ষায় ম্যাড ম্যাক্স

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Sourav Ganguly BCCI Cricket
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE