মোহালির টেস্ট যে তিন দিনে শেষ হয়ে গেল, তাতে অবাক হওয়ার কিছু নেই। ওখানে কোনও পিচে এত টার্ন আমি দেখিনি। ও রকম পিচে তৃতীয় দিন ভারতীয় স্পিনারদের খেলা খুব, খুব কঠিন। টস জিতে ভারত নিশ্চয়ই নিজেদের ভাগ্যবান মনে করছে। কারণ চতুর্থ ইনিংসে ব্যাট করা ওদের জন্যেও খুব সহজ হত না। এ রকম পিচে ব্যাটসম্যান হিসেবে কখনওই সেট হওয়া যায় না। প্রত্যেক দু’ওভারেই একটা করে আনপ্লেয়েবল ডেলিভারির মোকাবিলা করতে হয়।
আমার মতে মোহালিতে সবচেয়ে বিপজ্জনক ছিল রবীন্দ্র জাডেজা। ওই সারফেসে যত জোরে বল আসবে, ব্যাটসম্যান মানিয়ে নেওয়ার তত কম সময় পাবে। হাসিম আমলা বা অন্য কয়েক জনকে করা ওর বলগুলো খেলা সম্ভব ছিল না।
ওই পিচে ভারতের কম্বিনেশনটা একদম ঠিক ছিল। ওরা পাঁচ বোলার খেলিয়ে যাচ্ছে আর এখন পর্যন্ত সেটা কাজেও দিচ্ছে। জাডেজা রান করায় ভারসাম্যটাও বাড়ল। ও ধারাবাহিক রান করলে সেটা টিমের বড় প্রাপ্তি হবে। কিন্তু ওকে নির্বাচকদের কাছে প্রমাণ করতে হবে যে, ভাল পিচেও উইকেট নেওয়ার ক্ষমতা ওর আছে। বেশ কয়েক দিন টিমে ছিল না জাডেজা। আশা করছি ওই বিশ্রামটা ওর কাজে এসেছে, মানসিক ভাবে নিজের খেলাটা গুছিয়ে নিতে।
ভারতের ব্যাটিংও ভাল হয়েছে। কঠিন উইকেটে মুরলী বিজয় আর পূজারা ভাল খেলেছে। ভারতের কাছে পূজারার প্রত্যাবর্তন নিশ্চয়ই তৃপ্তির। কারণ টেস্ট ব্যাটসম্যান হিসেবে ওর মানসিকতা টিমের খুব দরকার।
দক্ষিণ আফ্রিকা ভাল লড়েছে কিন্তু ওই ধরনের পিচে অনভিজ্ঞতা ওদের ব্যাটিংকে খুব ভুগিয়েছে। এ রকম পিচ ওরা আগে দেখেনি। তবে ওদের মনে রাখতে হবে পরের তিনটে টেস্টে ওরা এ রকম পিচই পাবে। আস্তে আস্তে মানিয়ে নিলে ওদের ব্যাটিংয়ের উন্নতি হবে। যদিও আমার মনে হয় এ রকম পিচে ওদের একজন ব্যাটসম্যান কম পড়েছে। ওরা বাড়তি পেসার নিয়েছে। কিন্তু টিমে ভারসাম্য আনার রাস্তাটা খুঁজে বের করতে হবে। জেপি দুমিনি ফিরলে হয়তো ভারসাম্য আসবে। টার্নিং পিচে অনেক ওভার বল করে দিতে পারবে। মিডল অর্ডারে ওর ব্যাটিং অভিজ্ঞতাটাও কাজে আসবে।
ডেল স্টেইনের ফিটনেসের উপর দক্ষিণ আফ্রিকানদের নজর থাকবে। তবে এ ধরনের পিচে সেটা নিয়ে মাথা ঘামিয়ে লাভ নেই। বরং ওরা আশা করবে, টসটা যেন ওদের পক্ষে যায়। এ সব পিচে আগে ব্যাট করলে ম্যাচটাই পাল্টে যাবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy