রাহানের উইকেট তুলে মইনের উল্লাস। ছবি: রয়টার্স।
ডন ব্র্যাডম্যানের দলের ইতিহাস অধরাই রইল ভারতের। চতুর্থ ইনিংসের মইন আলির স্পিনের সামনে গুটিয়ে গেল ভারতের ব্যাটিং। সাউদাম্পটনে ৬০ রানে টেস্ট হেরে সিরিজও খোয়ালেন বিরাট কোহালিরা।
চতুর্থ টেস্ট জিতে সিরিজে সমতা ফেরানোর জন্য ভারতের দরকার ২৪৫। কিন্তু, ২২ রানের মধ্যেই তিন উইকেট পড়ে গিয়ে বেশ চাপে ভারত।চায়ের বিরতির ঠিক আগে ফিরে যান অধিনায়ক বিরাট কোহালিও।দুরন্ত অর্ধশতরানের ইনিংসে দলকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি।
রবিবার সকালে ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংস শেষ হয়ে যায় ২৭১ রানে। ভারতের সফলতম বোলার মহম্মদ শামি। তিনি ৫৭ রানে নেন চার উইকেট। প্রায় আড়াইশো রান তাড়া করতে নেমে ভারত শুরুতেই ধাক্কা খায়। ওপেনার লোকেশ রাহুল ফেরেন কোনও রান না করে। তাঁর উইকেট নেন স্টুয়ার্ট ব্রড। এরপর জেমস অ্যান্ডারসন ফেরান প্রথম ইনিংসের শতরানকারী চেতেশ্বর পূজারা (৫) ও শিখর ধবনকে (১৭)।
সিরিজের প্রথম টেস্টে এজবাস্টনে চতুর্থ ইনিংসে ১৯৪ রান তাড়া করতে গিয়ে ব্যর্থ হয়েছিল ভারত। বিরাট কোহালির দল হেরেছিল ৩১ রানে। পরিসংখ্যান বলছে, ইংল্যান্ডের মাঠে টেস্টে ভারত কখনও দু’শো রান তাড়া করে জেতেনি। চায়ের বিরতির আগে মইন আলির বলে ৫৮ রানে কোহালির আউট ফের চাপে ফেলল দলকে। চতুর্থ উইকেটে অজিঙ্ক রাহানের সঙ্গে ১০১ রান যোগ করেছেন কোহালি।
আরও পড়ুন: বড় ম্যাচ ড্র, ২ গোলে পিছিয়ে থেকে ২ গোল শোধ ইস্টবেঙ্গলের
আরও পড়ুন: স্বপ্নার জন্য বিশেষ জুতো, খরচ দেবে চেন্নাইয়ের এক কোম্পানি
চা বিরতির পরে ভারতীয় ব্যাটিংয়ে ধস নামাটা অবশ্য খুব একটা অপ্রত্যাশিত কিছু নয়। সাধারণত এ রকম টার্নিং ট্র্যাকে জমে যাওয়া ব্যাটসম্যান আউট হয়ে গেলে বাকিদের পক্ষে স্পিনের ঘূর্ণি সামলানো কঠিন হয়ে পড়ে। ছ’নম্বরে নামা হার্দিক পাণ্ড্য অবশ্য স্পিন নয়, বেন স্টোকসের ছোট একটা আউটসুইংয়ের শিকার। যে আউটসুইং পাণ্ড্যকে স্কোয়ার অন করে দেয়। বল যায় স্লিপে। ঋষভ পন্থকে নিশ্চয়ই ‘লাইসেন্স টু কিল’ দিয়ে পাঠানো হয়েছিল। অর্থাৎ গিয়ে ব্যাট চালাও, যা রান আসে আসবে। পন্থ একটা ছয় মারলেন, দু’টো চার মারলেন। কিন্তু এই উইকেটের জন্য সেটা যথেষ্ট ছিল না।
(ক্রিকেটের খবর,ফুটবলের খবর, টেনিসের খবর, হকির খবর - খেলার খবরের সেরা ঠিকানা আমাদের খেলা বিভাগ।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy