মুখোমুখি লড়াইতে সচিব উৎপল গঙ্গোপাধ্যায় এবং সভাপতি সুব্রত দত্ত। ফাইল চিত্র
তেইশ বছর পরে বাংলার ফুটবল নিয়ামক সংস্থায় হঠাৎই ধুন্ধুমার নির্বাচনের হাওয়া।
গত এগারো বছর এক সঙ্গে আইএফএ পরিচালনা করার পরে মুখোমুখি লড়াইতে নামতে চলেছেন সংস্থার সভাপতি সুব্রত দত্ত এবং সচিব উৎপল গঙ্গোপাধ্যায়। প্রেসিডেন্ট পদে সুব্রতকে আর মানতে চাইছেন না উৎপল। আসন্ন নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট পদে সুব্রতর বিরুদ্ধে প্রার্থী দিচ্ছেন তিনি। সংস্থার বর্তমান সহ-সভাপতি অজিত বন্দ্যোপাধ্যায়কে সমর্থন করছেন বর্তমান সচিব। যিনি আবার সম্পর্কে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাদা। অজিতবাবু বুধবার স্বীকার করলেন তিনি সুব্রতর বিরুদ্ধে দাঁড়াচ্ছেন। বললেন, ‘‘চল্লিশ বছরেরও বেশি সময় ধরে ফুটবলের সঙ্গে যুক্ত আমি। উৎপলবাবু এবং অনেক ক্লাব চাইছে আমাকে প্রেসিডেন্ট হিসাবে। তাই দাঁড়াচ্ছি। নিজের অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে চাই।’’
তিন প্রধান ও বিভিন্ন ক্লাবের কর্তাদের সঙ্গে মত বিনিময় করার পরে উৎপলও বুধবার বলে দিলেন, ‘‘এমন একজন প্রেসিডেন্ট চাইছি, যিনি শুধু বাংলার ফুটবল নিয়েই মাথা ঘামাবেন। ফেডারেশন নিয়ে পড়ে থাকবেন না। ময়দানের ক্লাবদের কথা ভাববেন। সাহায্য করবেন। যা এখন হয় না।’’ যা শুনে সুব্রতর প্রতিক্রিয়া, ‘‘আমাকে কেউ এখনও নির্বাচন নিয়ে কিছু বলেনি। নির্বাচন যদি হয়, তা হলে দাঁড়াব, লড়বও।’’
১৯৯৫ সালে শেষ বার নির্বাচন হয়েছিল আইএফএতে। সে বার ময়দান ছাড়িয়ে সারা রাজ্যে ছড়িয়ে পড়েছিল তীব্র উত্তেজনা। এ বার মোট নয়টি পদে নির্বাচন হতে পারে। সভাপতি, সহ-সভাপতি (তিন জন), কোষাধ্যক্ষ এবং সহ-সচিব (চার জন) বেছে নেবেন ৪৯ জন কর্মসমিতির নির্বাচিত সদস্য। যাঁদের মধ্যে রয়েছেন বিভিন্ন ক্লাব, জেলা, অফিস, রেফারি সংস্থা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিরা। এর মধ্যে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ অবশ্যই প্রেসিডেন্ট পদ। কারণ ওই পদে থাকার জন্য ফেডারেশনের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে এখন রয়েছেন সুব্রত। নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু হবে ৭ জুন। পুরো নির্বাচন শেষ
হবে জুলাইয়ে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy