ক্রীড়ামন্ত্রী বিজয় গোয়েলের বিরুদ্ধে এ বার রীতিমতো ক্ষোভ উগরে দিলেন ১৯৮৩-র ক্রিকেট বিশ্বকাপ জয়ী দলের অন্যতম সদস্য কীর্তি আজাদ। যিনি এই মুহূর্তে বিজেপি-র সাংসদও।
অলিম্পিক্সে গিয়ে ক্রীড়ামন্ত্রী এবং তাঁর পারিষদবর্গ যে ভাবে বিতর্কে জড়িয়েছেন, তাতে দেশ জুড়ে চলছে তীব্র সমালোচনা। কীর্তি আজাদ শুক্রবার একটি সর্বভারতীয় চ্যানেলকে সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় বলেছেন, ‘‘অলিম্পিক্সের মতো মঞ্চে বড় নেতা বা ক্রীড়াবিদ যে-ই হোন না কেন, কারও জন্য কোনও আলাদা নিয়ম থাকে না। গেমসের নিয়ম কারও জন্য বদলায় না। সবাইকে সেটা মেনেই চলতে হয়। এটা সবার জানা উচিত।’’
বৃহস্পতিবারই বিজয় গোয়েল এবং তাঁর পারিষদবর্গের আচরণে বিরক্ত রিও অলিম্পিক্স সংগঠকরা ভারতের শেফ দ্য মিশন রাকেশ গুপ্তকে একটি চিঠি পাঠান। তাতে অভিযোগ করা হয়েছে, ক্রীড়ামন্ত্রী তাঁর লোকজন সমেত বিভিন্ন জায়গায় ঢুকে পড়ছেন। যেখানে অলিম্পিক্সের বৈধ কার্ড ছাড়া ঢোকার অনুমতি পাওয়া যায় না, সে সব জায়গাতে কার্ড ছাড়া কার্যত জোর করেই ঢুকে পড়ছে ক্রীড়ামন্ত্রীর পারিষদবর্গ। এই নিয়ে অলিম্পিক্সের আয়োজকদের সঙ্গে ঝামেলাতেও জড়িয়েছে তারা। স্বভাবতই গেমসের আয়োজকরা রাকেশ গুপ্তকে জানিয়ে দিয়েছেন, এ ধরনের ঘটনা আবার ঘটলে ভারতের ক্রীড়ামন্ত্রীর কার্ড-ই বাতিল করে দেওয়া হবে। এ সব জানার পরই কীর্তি আজাদও এক হাত নিয়েছেন বিজয় গোয়েলকে। তাঁর বক্তব্য, ‘‘রাজনৈতিক প্রভাব সব জায়গায় খাটে না। সবারই নিজেদের সীমাটা জানা উচিত।’’
এ দিকে ঝামেলার আঁচ পেয়েই পাল্টা ট্যুইট করেছেন ক্রীড়ামন্ত্রীও। তিনি লিখেছেন, ‘‘আমরা অলিম্পিক্সের যাবতীয় নিয়ম মেনেই চলছি। অলিম্পিক্সের স্পিরিট ধরে রাখাই তো আমাদের সবার উদ্দেশ্য। পাশাপাশি ভারতীয় ক্রীড়াবিদদের উৎসাহিত করতেই এখানে আসা।’’ তাঁর আরও দাবি, ‘‘আমার মনে হয়, কিছু একটা ভুল বোঝাবুঝি হচ্ছে। অলিম্পিক্স আয়োজকদের বলে দেওয়া যাবতীয় নিয়ম মেনেই আমরা চলছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy