ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে গত সপ্তাহে জয়ের সৌজন্যে পাঁচ টেস্টের অ্যাশেজ সিরিজে এই মুহূর্তে ২-১ এগিয়ে অস্ট্রেলিয়া। ওভালে পঞ্চম টেস্টে ইংল্যান্ড জিতলেও অ্যাশেজ থাকবে সেই অস্ট্রেলিয়ার কাছেই। এই পরিস্থিতিতেও একা লড়াই করলেন সেই স্টিভ স্মিথ। ১৪৫ বলে উপহার দিলেন ৮০ রানের ইনিংস। তাঁর ব্যাটিংয়ে ভর করেই ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংসে করা ২৯৪ রানের জবাবে অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ইনিংস শেষ হল ২২৫ রানে। দ্বিতীয় ইনিংসে ইংল্যান্ডের রান বিনা উইকেটে ৯। ক্রিজে রয়েছেন রোরি বার্নস (অপরাজিত ৪) ও জো ডেনলি (অপরাজিত ১)।
ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে এই নিয়ে টানা দশ টেস্টে অর্ধশতরান হয়ে গেল স্মিথের। কিন্তু তাঁকে থামানোর রাস্তা এখনও বার করতে পারল না ইংল্যান্ড। শুক্রবারেও তিনি অর্ধশতরান করলেন জ্যাক লিচকে লং অনের উপর দিয়ে ছক্কা মেরে। ২০১০ সালের অ্যাশেজ সিরিজে অ্যালেস্টেয়ার কুক ৭৬৬ রান করেছিলেন। এ বার অ্যাশেজ সিরিজে স্মিথ সেই রেকর্ড ভেঙে দিতে পারেন।
কিন্তু স্মিথের ব্যাট যখন ঝলসাচ্ছে, তখন ডেভিড ওয়ার্নারের ব্যাটে বড় রান প্রায় উবে গিয়েছে। শুক্রবারেও অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে জোফ্রা আর্চারের বলে কট বিহাইন্ড হয়ে ফিরে যান ওয়ার্নার (৫)। তৃতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৬১ রান বাদ দিলে এ বারের অ্যাশেজে বাকি সব ইনিংসেই তাঁর রান দশের নিচে থেকেছে। এ দিন শুরুতে আম্পায়ার আউট দেননি তাঁকে। কিন্তু ইংল্যান্ড অধিনায়ক জো রুট রিভিউয়ের জন্য আবেদন করেন। রিভিউতে দেখা যায় ওয়ার্নার আউট।
অস্ট্রেলিয়া ইনিংসে ফের ত্রাস হয়ে দেখা দিলেন ইংল্যান্ডের পেসার জোফ্রা আর্চার (৬-৬২)। এ দিনও তাঁর দাপটেই শুরুতে ১৪ রানে দুই উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া। স্মিথের সঙ্গে প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করেছিলেন মারনাস লাবুশানে। কিন্তু সেই আর্চারের বলেই এলবিডব্লিউ হওয়ায় অর্ধশতরানের দু’রান আগেই থেমে যেতে হয় তাঁকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy