অল্পের জন্য জয় হাতছাড়া হল সুদীপ চট্টোপাধ্যায়দের।—ফাইল চিত্র।
ব্যাট করতে নেমে হঠাৎ শরীরের ডান দিকের পেশিতে টান ধরে সুদীপ চট্টোপাধ্যায়ের। ইডেনে ক্রিকেট ডার্বিতে মোহনবাগানকে প্রথম ইনিংসে এগিয়ে দেওয়ার লক্ষ্য নিয়েই নেমেছিলেন তিনি। কিন্তু দশ রান করে আহত ও অবসৃত হয়ে বেরিয়ে যেতে হয় সুদীপকে।
প্রথম দিন ইস্টবেঙ্গলের তোলা ২৬৭ রানের গণ্ডি পেরোতে সমস্যায় পড়তে হয় বিপক্ষ ব্যাটসম্যানদের। মনোজ তিওয়ারি ব্যক্তিগত কারণে এই ম্যাচে খেলতে পারছেন না। তাঁর অভাব বেশ ভোগাল মোহনবাগানকে। ওপেনার জয়জিৎ বসু ৫৩ রান করে চলে যাওয়ার পরে শুধু তিন নম্বর ব্যাটসম্যান সুমন্ত গুপ্ত (৪৪) দলের ব্যাটিংয়ের হাল ধরার চেষ্টা করেন। রেলওয়েজের রঞ্জি দলের ক্রিকেটার অরিন্দম ঘোষ (১৪২ বলে অপরাজিত ৭০) ক্রিজের এক দিকে টিকে থাকলেও অন্য দিক থেকে পরপর আউট হয়ে যাচ্ছিলেন অন্যেরা। ২৪৩ রানে ছ’উইকেট পড়ে যাওয়ার পরে তাই ফের দলকে ভরসা দিতে ঝুঁকি নিয়েই ব্যাট হাতে নামেন সুদীপ। তখনও লক্ষ্য থেকে ২৪ রান দূরে মোহনবাগান। ‘‘খুব কষ্ট করেই ব্যাট করতে হচ্ছিল। এ রকম একটা খারাপ সময়ে দলের পাশে দাঁড়াতে চাইছিলাম।’’ কিন্তু চোট নিয়ে খেলার জন্য মুস্তাক আলি ট্রফিতে অনিশ্চিত হয়ে পড়লেন তিনি।
পাঁচটি চার ও দু’টি ছয় মেরে ৭০ রান করা অরিন্দম বলেন, ‘‘সামনের দিকে ঝুঁকে খেলতেই সুদীপের কষ্ট হচ্ছিল। তবু স্রেফ মানসিক জোর নিয়ে কষ্ট সহ্য করেও খেলে গেল।’’ দলকে বিপদসীমা পার করিয়ে দিয়ে ফের (দ্বিতীয় বার) ড্রেসিংরুমে ফিরে যান সুদীপ। এ দিন তাঁর ব্যাট থেকে আসা ২১ রানের চেয়েও অনেক বড় হয়ে দাঁড়ায় তাঁর লড়াইটা। দিনের শেষে মোহনবাগান যে ২৭৫-৮, তা অনেকটাই সুদীপের জন্য। সিএবি প্রথম ডিভিশন লিগের সংক্ষিপ্ত স্কোর: ইস্টবেঙ্গল ২৬৭ বনাম মোহনবাগান ২৭৫-৮ (অরিন্দম ঘোষ ৭০, বি অমিত ৩-৭০, প্রদীপ্ত প্রামাণিক ৩-৫৭)। বড়িশা স্পোর্টিং ২৫৮ (রাজর্ষি মিত্র ৫-৮৫) বনাম এরিয়ান ২৯০-৬ (তনুজিৎ আচার্য ১২৮ অপরাজিত)। তপন মেমোরিয়াল ৩৪০ বনাম পুলিশ এসি ১৫৩-৬। ভবানীপুর ক্লাব ৪৪৫-৫ (অর্ণব নন্দী ১২৪) বনাম স্পোর্টিং ইউনিয়ন ১৫৩ ও ৮৪-৭। শ্যামবাজার ক্লাব ৩৫৯ বনাম কালীঘাট ক্লাব ১৫১-৩। পাইকপাড়া স্পোর্টিং ৪৯৮-৭ (বিমান ঘোষ ১৯৫) বনাম মনোহরপুকুর মিলন সমিতি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy