মরিয়া: বাংলাদেশের বিরুদ্ধে মাঠে ফিরতে চান সুনীল। ফাইল চিত্র
বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বে কাতারের বিরুদ্ধে ভারতীয় ফুটবল দলের অসাধারণ সাফল্যের তিনি অংশীদার হতে পারেননি। অসুস্থ হয়ে পড়ায় স্টেডিয়ামেও যেতে পারেননি সুনীল ছেত্রী। টিম হোটেলে বসে টেলিভিশনেই গুরপ্রীত সিংহ সাঁধুদের দুরন্ত লড়াই দেখেছেন তিনি। ১৫ অক্টোবর যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে খেলতে মরিয়া ভারত অধিনায়ক।
ভারতীয় ফুটবলে সুনীলের উত্থান কলকাতা ময়দান থেকেই। কলকাতার জামাইও তিনি। আর তাই বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ম্যাচ যুবভারতীতে হবে জানার পর থেকেই আবেগপ্রবণ ভারতীয় ফুটবলের সর্বকালের অন্যতম সফল স্ট্রাইকার। জাতীয় কোচ ইগর স্তিমাচের মতো তিনিও বাংলার ফুটবলপ্রেমীদের আবেদন করলেন ভারত বনাম বাংলাদেশ ম্যাচ দেখতে স্টেডিয়ামে আসার জন্য। সুনীল বলছিলেন, ‘‘সংক্রমণ হওয়ায় কাতারের বিরুদ্ধে খেলা তো দূরের কথা স্টেডিয়ামেও যেতে পারিনি। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ম্যাচ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই ম্যাচে যুবভারতীর গ্যালারি ভর্তি না হলে আমি অবাকই হব। কারণ, ফুটবলের প্রতি বাংলার মানুষের আবেগ কারও অজানা নয়।’’ তিনি যোগ করেন, ‘‘কলকাতা থেকেই আমার ফুটবল জীবন শুরু। তাই বাংলার ফুটবলপ্রেমীরা আমার কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’’
কেন ভারত বনাম বাংলাদেশ ম্যাচ দেখতে স্টেডিয়ামে আসার জন্য ফুটবলপ্রেমীদের আবেদন করছেন, তার ব্যাখ্যাও দিলেন সুনীল। বললেন, ‘‘বাংলাদেশের ফুটবলারেরা মাঠে নেমে যদি দেখে ভারতীয় দলকে সমর্থন করতে স্টেডিয়াম পুরো ভর্তি হয়ে গিয়েছে, তা হলে ওরা চাপে পড়তে বাধ্য। আমার নিজেরও এই অভিজ্ঞতা হয়েছে।’’
বেঙ্গালুরুতে থাকলেও বাঙালির উৎসব সম্পর্কে ওয়াকিবহাল সুনীল। তিনি বলছিলেন, ‘‘বাংলাদেশের বিরুদ্ধে আমাদের ম্যাচটা ১৫ অক্টোবর। বাংলার সঙ্গে আমার নিবিড় সম্পর্ক। তাই খুব ভাল করেই জানি, দুর্গাপুজো শেষ হয়ে গেলেও বাংলায় তখনও উৎসবের আবহ থাকবে। আমি চাই, সবাই তাঁদের পরিবারের সদস্য ও বন্ধুদের সঙ্গে যেন স্টেডিয়ামে আসেন আমাদের উদ্বুদ্ধ করতে। সাক্ষী থাকেন, আশিক কুরিয়ন, উদান্ত সিংহ, অনিরুদ্ধ থাপা, সাহাল সামাদের মতো একঝাঁক ভারতীয় ফুটবলের নতুন প্রজন্মের তারকাদের খেলা দেখার।’’
অসুস্থ হয়ে পড়ায় কাতারের বিরুদ্ধে খেলতে পারেননি সুনীল। এখনও সম্পূর্ণ সুস্থ নন তিনি। তার মধ্যেও বাংলাদেশ ম্যাচের মানসিক প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন ভারত অধিনায়ক। সুনীলের কথায়, ‘‘আশা করছি, পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিলে সুস্থ হয়ে উঠব। কাতার ম্যাচের ছন্দ ধরে রাখাই এখন আসল পরীক্ষা।’’
সুনীল উচ্ছ্বসিত কোচ ইগরকে নিয়েও। বলছিলেন, ‘‘ভারতীয় দলে কোচের সঙ্গে ফুটবলারদের সম্পর্ক দুর্দান্ত। সকলকে সমান গুরুত্ব দেন কোচ। প্রত্যেকের সঙ্গে কথা বলেন। খেলার সুযোগ দেন। সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এই মুহূর্তে ভারতীয় দলের প্রথম একাদশে কারও জায়গা নিশ্চিত নয়। কোচের দর্শন হচ্ছে, অনুশীলনে যে ভাল খেলবে, সে সুযোগ পাবে।’’
কাতারের বিরুদ্ধে খেলে ২৪ ঘণ্টা আগে বুধবারই দোহা থেকে দেশে ফিরেছে ভারতীয় দল। ফুটবলারেরা প্রত্যেকেই যে যাঁর ক্লাবে ফিরে গিয়েছেন। এই মুহূর্তে তাঁরা ব্যস্ত আইএসএলের প্রস্তুতিতে। তবে প্রত্যেকের উপরেই কড়া নজর রাখছেন ইগর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy