সুনীল ছেত্রী।
মঙ্গলবার বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ম্যাচে যুবভারতীর অভাবনীয় দর্শক সমর্থনের পরেও ভারত ড্র করায় হতাশ অধিনায়ক সুনীল ছেত্রী। হতাশা, এত জনসমর্থনের মর্যাদা দিতে না পারার জন্য। বলেছেন, ‘‘আমাদের মাঠে নেমে এমন কিছু করা উচিত ছিল যার সঙ্গে স্টেডিয়ামের পরিবেশ মানানসই হয়। সেটাই পারলাম না। তাই আমাদের ড্রেসিংরুম খুবই হতাশ।’’
ভারতের খেলা বিশ্লেষণ করতে বসে সুনীলের মন্তব্য, ‘‘গোলের সুযোগ তো অনেক পেলাম। কিন্তু সে সব কাজে লাগাতে পারিনি ভেবে খুব খারাপ লাগছে। অবশ্য মাঠে অনেক সময়ই এ রকম হতে পারে। আমাদের এখন একটাই কাজ। ঘুরে দাঁড়ানো।’’
ম্যাচের ৪২ মিনিটে বাংলাদেশই এগিয়ে যায়। একটা সময় মনে হয়েছিল, এই ম্যাচ থেকে পুরো পয়েন্ট নিয়ে ফিরবে বাংলাদেশ। ৮৮ মিনিটে শেষরক্ষা করেন আদিল খান। ম্যাচে সমতা ফিরিয়ে গর্বের শেষ নেই গোয়ার ফুটবলারের। আর ভারতের মিডফিল্ডার অনিরুদ্ধ থাপার প্রতিক্রিয়া, ‘‘এই ধরনের ম্যাচ তো এ রকম পরিবেশেই খেলতে চাই। খারাপ লাগছে সমর্থকদের
প্রত্যাশাপূরণ করতে না পেরে।’’
নিজেদের মাঠে এই ম্যাচ হারলে যোগ্যতা অর্জনের টুর্নামেন্টে সুনীল ছেত্রীদের পরের রাউন্ডে যাওয়ার সম্ভাবনা কার্যত শেষ হয়ে যেত। এ বার প্রথম ম্যাচে ওমানের কাছে ১-২ হারলেও ভারত ২০২২ বিশ্বকাপের আয়োজক দেশ কাতারকে রুখে দিয়ে চমকে দিয়েছিল। তিন ম্যাচে ভারতের পয়েন্ট দুই। বাংলাদেশ সেখানে তিন ম্যাচে এক পয়েন্ট পেয়ে টেবলে একেবারে শেষে রয়েছে।
স্তিমাচের বৈঠক: দেশের ফুটবলকে একই রাস্তায় নিয়ে যেতে বুধবার বিভিন্ন বয়সভিত্তিক জাতীয় দলের (পুরুষ ও মহিলা) কোচেদের সঙ্গে আলোচনায় বসলেন ইগর স্তিমাচ। বাংলাদেশের সঙ্গে ম্যাচ ড্র করার পরে এ দিন সকালেই নিজেদের ক্লাবে বা বাড়িতে ফিরে যান সুনীল ছেত্রীরা। থেকে যান স্তিমাচ। তাঁর সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলেন বিবিয়ানো ফার্নান্ডেজ, ফ্লয়েড পিন্টো, মায়ামল রকিরা। সেখানে যুব দল বা মেয়েদের দলকে কী ভাবে তৈরি কর হবে, তা নিয়ে আলোচনা হয়। ভারতের বিশ্বকাপ যোগ্যতা অর্জন পর্বের পরের দুটি ম্যাচ রয়েছে ১৪ নভেম্বর (আফগানিস্তান) ও ১৯ নভেম্বর (ওমান)। ২০ অক্টোবর শুরু হচ্ছে আইএসএল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy