বিশ্বকাপ ফাইনালে হারের পর টেলর-উইলিয়ামসনরা। —ফাইল চিত্র।
গত বছর বিশ্বকাপ ফাইনালের নিষ্পত্তি হয়েছিল সুপার ওভারে। ১০০ ওভারের শেষে কোনও দল জিততে পারেনি। সুপার ওভারেও সমান-সমান ছিল রান। শেষ পর্যন্ত বেশি বাউন্ডারি মারার কারণে বাজিমাত করে ইওন মর্গ্যানের ইংল্যান্ড। এক বছর কেটে গেলেও এই ফলাফল এখনও মানতে পারছেন না নিউজিল্যান্ডের রস টেলর।
বাউন্ডারির সংখ্যা বেশি থাকার জন্য মর্গ্য়ানের দল বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়ায় সমালোচনার শিকার হতে হয়েছিল আইসিসি ও ইংল্যান্ডকে। টেলরের মতে, নির্দিষ্ট ১০০ ওভারে ম্যাচ টাই হলে ট্রফি ভাগাভাগি হওয়াই উচিত। এক ক্রিকেট ওয়েবসাইটে তিনি বলেছেন, “এক দিনের ম্যাচ এতটাই লম্বা সময় ধরে চলে যে ম্যাচ টাই হলে আমার অন্তত কোনও অসুবিধা নেই।”
কিউয়ি মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানের যুক্তি, “টি-টোয়েন্টিতে অবশ্য খেলা চালিয়ে যাওয়া উচিত। অনেকটা ফুটবল বা অন্য খেলার মতো ম্যাচের নিষ্পত্তির চেষ্টা করা উচিত। কিন্তু এক দিনের ম্যাচে সুপার ওভারের প্রয়োজনীয়তা আছে বলে মনে করছি না। আমার মনে হয় যুগ্মজয়ী করাই যায়।”
আরও পড়ুন: হরভজনের শাস্তি আটকাতে কেঁদে ফেলেছিলাম, দাবি শ্রীসন্থের
আরও পড়ুন: বিশ্বকাপে পাক সমর্থকের গালিগালাজ শুনেছিলাম, বললেন বিজয়
এক দিনের ক্রিকেটের দৈর্ঘ্যের কথা তুলে ধরেছেন টেলর। বলেছেন, “বিশ্বকাপ ফাইনালে আমি তো আম্পায়ারদের ‘গুড গেম’ বলে ফেলেছিলাম। জানতামই না যে, সুপার ওভার রয়েছে। টাই মানে টাই। ১০০ ওভার খেলার পরও যদি দুই দলের রান একই থাকে, তখন মনে হয় না টাই খুব একটা খারাপ ব্যাপার।”
নিউজিল্যান্ড অবশ্য একেবারেই ‘সুপার ওভার বিশেষজ্ঞ’ নয়। নানা ফরম্যাট মিলিয়ে আটটির মধ্যে সাতটি ম্যাচে সুপার ওভারে হেরেছে তারা। টেলর বলেছেন, “৫০ বা ২০ ওভারের ম্যাচে একটা ওভারের তফাত গড়ে দেওয়া হজম করা কঠিন। কিন্তু আমরা যদি ওই অবস্থায় ফের পড়ি, তবে নিজেদের ক্ষমতায় আস্থা রাখতে হবে। সর্বপ্রথম অবশ্য নির্দিষ্ট ওভারের মধ্যেই জেতার চেষ্টা করা জরুরি। আমরা যথেষ্ট নির্মম হতে পারিনি। তা হতে পারলে ম্যাচ সুপার ওভারে যেত না। আর আশা করা যায় যে ঠিকঠাক ফলই বেরিয়ে আসত।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy