Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

সুপ্রিম কোর্টের রায়ে স্বস্তির পিচে সৌরভ

কুলিং অফে যাওয়ার এই নতুন নির্দেশে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় বাংলার ক্রিকেটে আরও দু’বছর থাকতে পারবেন বলেই ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের। তবে এ বছরের শেষে ফের প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচিত হলে তিনি পুরো তিন বছর সেই দায়িত্বে থাকতে পারবেন না। ২০২০-র মাঝামাঝি সেই পদ ছেড়ে তাঁকে তিন বছরের জন্য কুলিং অফে যেতে হবে।

সুপ্রিম কোর্টের রায়-এ স্বস্তি।

সুপ্রিম কোর্টের রায়-এ স্বস্তি।

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ১০ অগস্ট ২০১৮ ০৩:১৬
Share: Save:

পাঁচ বছর পরে বোর্ড মামলায় অবশেষে যবনিকা নামল বৃহস্পতিবার। দু’বছর আগে ২০১৬-র ১৮ জুলাই যে রায় দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট, তাতে কিছু পরিবর্তন করে নতুন এই রায় দেওয়া হয়েছে। বিচারপতি আরএম লোঢা কমিশনের একাধিক সুপারিশেও সংশোধন করা হয়েছে। যার ফলে কিছুটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেন দেশের ক্রিকেট প্রশাসকরা।

তবে এই পাঁচ বছরে যাঁরা দেশের ক্রিকেট প্রশাসনে সর্বোচ্চ পদের ক্ষমতা ভোগ করছিলেন, তাঁদের সামনে আর কোনও রাস্তা খোলা থাকছে না। বোর্ডের দুই শীর্ষস্থানীয় নেতা অমিতাভ চৌধুরি ও অনিরুদ্ধ চৌধুরিকে ক্ষমতা ছেড়ে আপাতত বিশ্রামে যেতে হবে। আদালতের ভাষায় যা ‘কুলিং অফ’। প্রত্যাশিত ভাবেই রায়ে জানানো হয়েছে, ন’বছরের বেশি ভারতীয় ক্রিকেট প্রশাসনে থাকা যাবে না।

প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্র বৃহস্পতিবার রায়ে জানিয়ে দেন, দুই দফায় এই ন’বছরের মেয়াদ পূর্ণ করতে হবে। প্রথম দফায় ছ’বছর। তার পরে তিন বছরের কুলিং অফ। তিন বছর পরে ক্রিকেট প্রশাসনে ফিরে আসতে হবে নির্বাচিত হয়ে। অবশ্য ছ’বছর একই সংস্থায় বা একই পদে অথবা ভিন্ন সংস্থায় বা ভিন্ন পদেও থাকতে পারবেন কর্তারা। লোঢা কমিশনের সুপারিশ ছিল, তিন বছর অন্তর কুলিং অফ ও মোট ন’বছরের মেয়াদ।

কুলিং অফে যাওয়ার এই নতুন নির্দেশে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় বাংলার ক্রিকেটে আরও দু’বছর থাকতে পারবেন বলেই ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের। তবে এ বছরের শেষে ফের প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচিত হলে তিনি পুরো তিন বছর সেই দায়িত্বে থাকতে পারবেন না। ২০২০-র মাঝামাঝি সেই পদ ছেড়ে তাঁকে তিন বছরের জন্য কুলিং অফে যেতে হবে। তখন তাঁর জায়গায় যিনি আসবেন, তাঁকে তিন বছরের মেয়াদের বাকি সময়টুকু কাজ চালাতে হবে। তার পরে আবার নতুন ভাবে নির্বাচিত হবেন প্রেসিডেন্ট। ভারতীয় বোর্ডের কোনও পদে গেলেও একই ভাবে তাঁকে মেয়াদের মাঝেই সে পদ ছেড়ে দিতে হবে। অন্য দিকে, যুগ্মসচিব সিএবি-তে অভিষেক ডালমিয়ার তিন বছর পূর্ণ হবে চলতি মাসে। অক্টোবরে নির্বাচন হলে তিনি পুরো তিন বছর পেতে পারেন। নতুন গঠনতন্ত্র চূড়ান্ত করার জন্য আদালত বোর্ডকে চার সপ্তাহ সময় দিয়েছে। বোর্ডের গঠনতন্ত্র চূড়ান্ত হওয়ার পরে তা অনুসরণ করে রাজ্য সংস্থাগুলিকে ৩০ দিনের মধ্যে তাদের নিজ নিজ গঠনতন্ত্র চূড়ান্ত করে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

লোঢা কমিশনের সুপারিশের বেশ কয়েকটি বিষয় নিয়ে আপত্তি ছিল বোর্ড কর্তাদের। যার মধ্যে এই কুলিং অফের বিষয়টিও ছিল। আদালতে প্রশ্ন তুলেছিল বোর্ড ‘এক রাজ্য এক ভোট’-এর সুপারিশ নিয়েও। সেই সুপারিশ কার্যত বাতিল করে দিয়ে মহারাষ্ট্র ও গুজরাতের একাধিক সংস্থাকেই মান্যতা দেওয়া হয়েছে এই রায়ে। রেলওয়েজ, সার্ভিসেস ও বিশ্ববিদ্যালয় পূর্ণ সদস্য থাকলেও কলকাতার ন্যাশনাল ক্রিকেট ক্লাব ও মুম্বইয়ের ক্রিকেট ক্লাব অব ইন্ডিয়া-র ভোটাধিকার প্রত্যাহার করা হয়েছে এই রায়ে। তবে সত্তরোর্ধদের ও মন্ত্রীদের ক্রিকেট প্রশাসনে আসার ওপর নিষেধাজ্ঞা বহাল রেখেছে সর্বোচ্চ আদালত। জাতীয় নির্বাচন কমিটিতে তিন সদস্য রাখার সুপারিশ থাকলেও শেষ পর্যন্ত পাঁচজনকেই রাখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এই নির্বাচকদের সাতটি টেস্ট বা ৩০টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ অথবা দেশের হয়ে দশটি ওয়ান ডে ও ২০টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। তাঁদের অন্তত পাঁচ বছর আগে ক্রিকেট থেকে অবসর নিতে হবে। নতুন নির্দেশের ফলে সিনিয়র নির্বাচক কমিটিতে ঢালাও পরিবর্তন আসবে। কমিটি থেকে সরে যেতে হবে বাংলার দেবাঙ্গ গাঁধীকেও।

ক্রিকেটের খবর,ফুটবলের খবর, টেনিসের খবর, হকির খবর - খেলার খবরের সেরা ঠিকানা anandabazar.com

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE