অপেক্ষা: সোনার মেয়ে স্বপ্না বর্মণ আজ, শুক্রবার আসবেন বাড়িতে। অপেক্ষায় পরিবার। ছবি: সন্দীপ পাল।
আজ রান্না চাপাবেন তাড়াতাড়ি। আজ যে আসবে মেয়ে।
প্রথমে ঠিক ছিল বাসনা বর্মণ নিজেই বিমানবন্দরে যাবেন মেয়ে স্বপ্নাকে আনতে। স্বপ্নাই মা-কে বিমানবন্দরে আসতে মানা করে দিয়েছেন বলে খবর। বিমানবন্দর থেকেই সংবর্ধনা শুরু হবে, হুড়োহুড়ির আশঙ্কাও রয়েছে। শিলিগুড়িতে একটি পৃথক অনুষ্ঠানও রয়েছে। সব সেরে স্বপ্নার জলপাইগুড়ির বাড়ি ফিরতে সন্ধে হয়ে যাবে। অতক্ষণ মাকে দাঁড় করিয়ে কষ্ট দিতে চান না স্বপ্না। বাসনাও ঠিক করেছেন, আজ শুক্রবার সকাল থেকে স্বপ্নার পছন্দের পদ রান্না করবেন। এশিয়াডে সোনা জয়ের পরে শুক্রবারই প্রথম বাড়ি ফিরছেন স্বপ্না বর্মন।
পাতকাটার ঘোষপাড়ায় দরমা বেড়ার বাড়ির। মাঝে নিকোনো উঠোন। গাছ থেকে পাড়া হয়েছে চালকুমড়ো। হাট থেকে এসেছে পালং শাক। বৃহস্পতিবার সন্ধেয় গ্রামের বাজার থেকে নদীয়ালি মাছ নিয়ে এসেছেন স্বপ্নার দাদা। মেয়ের জন্য রাঁধবেন মা নিজেই। মুগের ডাল ছিটিয়ে চালকুমড়োর ঘণ্ট। বেগুন, আলু দিয়ে পালংশাকের তরকারি। এই দুই পদই স্বপ্নার অত্যন্ত প্রিয়। মা জানিয়েছেন, স্বপ্না মূলত নিরামিষ খেতেই ভালবাসে। মাছ বলতে ছোট মাছ। সে কারণে নদীয়ালি মাছই আনতে হবে বলে কড়া নির্দেশ ছিল বাসনা দেবীর। তিনি বললেন, “মেয়েটাকে কতক্ষণ কাছে পাব কে জানে। এতদিন বিদেশে ছিল, দেশে থাকলেও বাড়িতে তো থাকে না। বাড়ির রান্নাও মুখে তুলতে পারে না।” মিষ্টিও আনা হয়েছে। স্বপ্না রসগোল্লা খেতে ভালবাসে, জানান দাদা অসিত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy