Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

অশ্বিন, জাডেজা দু’জনই নামুক আজ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে

প্রস্তুতি ম্যাচে আমাদের ছেলেদের ভয়ঙ্কর লেগেছে। কেউ কেউ হয়তো বলবেন, প্রস্তুতি ম্যাচই তো ছিল ওগুলো। কিন্তু বোলারদের যে অসাধারণ ফর্মে দেখা গিয়েছে, এটা অস্বীকার করার কোনও উপায় নেই।

বার্মিংহামে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচের আগের দিন নেটে অবসরের মুহূর্তে জলপান ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহালির। সঙ্গে যশপ্রীত বুমরা ও কোচ অনিল কুম্বলে। ছবি: টুইটার

বার্মিংহামে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচের আগের দিন নেটে অবসরের মুহূর্তে জলপান ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহালির। সঙ্গে যশপ্রীত বুমরা ও কোচ অনিল কুম্বলে। ছবি: টুইটার

সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়
শেষ আপডেট: ০৪ জুন ২০১৭ ০৪:২৭
Share: Save:

ভারত-পাকিস্তান ক্রিকেট মানেই একটা যুদ্ধ যুদ্ধ আবহাওয়া। বরাবরই এটা হয়ে আসছে। যখন খেলতাম, তখনও যেমন সেই আবহাওয়াটা টের পেয়েছি, যখন ছোট ছিলাম, তখনও বাইরে থেকে হইচইটা দেখেছি। ক্রিকেট দুনিয়া যুগে যুগে পাল্টে গেলে কি হবে, ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে উত্তেজনার পারদ চড়াটা এখনও একই রয়ে গিয়েছে।

বার্মিংহামেও একই উত্তেজনা। এখানে তো দুই দেশের সমর্থক আর কম নেই। তবে যতই উত্তজনা থাকুক, টেনশন থাকুক, রবিবারের ম্যাচে কিন্তু ভারতই এগিয়ে থেকে মাঠে নামবে। গত বারের চ্যাম্পিয়নরা গত কয়েক বছরে যে ভাবে ক্রমশ শক্তি বাড়িয়েছে, তার পর এখন ভারতকে এগিয়ে রাখা ছাড়া কোনও রাস্তাই নেই। বিরাট কোহালিরা যদি নিজেরাই নিজেদের না ডোবায়, তা হলে ওদের হারানো এখন বেশ কঠিন।

প্রস্তুতি ম্যাচে আমাদের ছেলেদের ভয়ঙ্কর লেগেছে। কেউ কেউ হয়তো বলবেন, প্রস্তুতি ম্যাচই তো ছিল ওগুলো। কিন্তু বোলারদের যে অসাধারণ ফর্মে দেখা গিয়েছে, এটা অস্বীকার করার কোনও উপায় নেই। আমার তো মনে হয় চূড়ান্ত দলের পেসারদের বাছাই করাটা বিরাট ও অনিল কুম্বলের পক্ষে বেশ কঠিন কাজ হয়ে উঠতে চলেছে। আমাকে তিন পেসার বাছতে বলা হলে আমি অবশ্য উমেশ যাদব, মহম্মদ শামি ও যশপ্রীত বুমরাকে বাছতাম।

বুমরাকে এগিয়েই রাখব ডেথ ওভারে ওর অসাধারণ বোলিংয়ের ক্ষমতার জন্য। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে খেলে ও এই গুণটা রপ্ত করেছে। আর ওর এই দক্ষতার দিন দিন আরও উন্নতি হচ্ছে।

বার্মিংহামের পিচে দেখছি প্রচুর রান আছে। অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড ম্যাচে প্রচুর রান উঠেছে। ইংল্যান্ডে এই ধরনের উইকেট বড় একটা দেখা যায় না, যেখানে সিম মুভমেন্ট পাওয়াই যাচ্ছে না। এ রকম উইকেটে খেলা হলে রবিবার স্পিনাররাই প্রধান ভরসা হয়ে উঠতে পারে। তাই রবিচন্দ্রন অশ্বিন আর রবিন্দ্র জাডেজা, দু’জনকেই মাঠে নামানো উচিত। উইকেট শুকনো হলে মিডল অর্ডার কিন্তু খুব গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে।

অনেক জানতে চাইছেন, আগে যে ভারত-পাক ম্যাচগুলো হয়েছে, তার সঙ্গে এ বারের লড়াইটার তফাত কী? আমার তো মনে হয় কিছুই তফাত নেই। এটা আর পাঁচটা ম্যাচের মতোই, কিন্তু যা নিয়ে হইচই, আগ্রহ অনেক বেশি। ক্রিকেট দুনিয়ায় গত দশ বছর ধরেই ভারত পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে থেকেছে। পারফরম্যান্সে ও মানসিকতাতেও। এ বারেও তাতে নড়চড় হবে বলে মনে হচ্ছে না।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE