Advertisement
১৮ এপ্রিল ২০২৪

সেই দুরন্ত ক্যাচের রহস্য ফাঁস রোহিতের

দুই ইনিংস মিলিয়ে ইশান্ত পেয়েছেন নয় উইকেট। আর উমেশ যাদবের ইডেনে শিকার আট উইকেট। ম্যাচের শেষে দুই সতীর্থের সাক্ষাৎকার নিলেন 

ত্রয়ী: দুই ইনিংস মিলিয়ে ১৯ উইকেট তাঁদের দখলে। রবিবার টেস্ট জিতে পাশাপাশি ভারতীয় বোলিংয়ের তিন কাণ্ডারি ইশান্ত-শামি-উমেশ। টুইটার

ত্রয়ী: দুই ইনিংস মিলিয়ে ১৯ উইকেট তাঁদের দখলে। রবিবার টেস্ট জিতে পাশাপাশি ভারতীয় বোলিংয়ের তিন কাণ্ডারি ইশান্ত-শামি-উমেশ। টুইটার

নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৫ নভেম্বর ২০১৯ ০৩:৫৪
Share: Save:

ইডেনে বাংলাদেশকে দুরমুশ করে জয়। দিনরাতের টেস্টে দুরন্ত পারফরম্যান্স ভারতের দুই পেসার ইশান্ত শর্মা ও উমেশ যাদবের।

দুই ইনিংস মিলিয়ে ইশান্ত পেয়েছেন নয় উইকেট। আর উমেশ যাদবের ইডেনে শিকার আট উইকেট। ম্যাচের শেষে দুই সতীর্থের সাক্ষাৎকার নিলেন

রোহিত শর্মা। ‘‘বল করার সময়ে তোমার কব্জির অবস্থান বদলেছিলে কি? তোমার বল যে এত নড়াচড়া করছিল, তার রহস্যটা কী,’’ প্রশ্ন শুনে ইশান্তের জবাব, ‘‘ইডেনে বল করার সময়ে পপিং ক্রিজের কোণগুলোকে কাজে লাগিয়েছি। বাঁ-হাতি ব্যাটসম্যানের বিপক্ষে রাউন্ড দ্য উইকেটে গিয়ে কোনাকুনি বলগুলো ছাড়ছিলাম। যা পিচে পড়ে ভিতরে ঢুকে আসায় খেলতে সমস্যা হচ্ছিল ব্যাটসম্যানদের।’’ এর পরেই রোহিত উমেশ যাদবের কাছে জানতে চান, ‘‘তোমার বলও খুব সুইং করছিল। কব্জি বা রান আপে কোনও পরিবর্তন করেছিলে?’’ উমেশের উত্তর, ‘‘আগে বলের সিম সোজা রেখে উপর থেকে ছাড়তাম। গোলাপি বলে খেলার আগে বোলিং কোচ ও সতীর্থদের সঙ্গে কথা বলেছিলাম। ইডেনে বলের সিমটাকে ব্যবহার করেছি। এতে আউটসুইং যেমন হয়েছে, তেমনই কিছু বল অফস্টাম্পে পড়ে সোজা উইকেটের দিকে ধেয়ে গিয়েছে।’’

লাল বলের সঙ্গে গোলাপি বলের পার্থক্য কোথায়? রোহিতের প্রশ্নে ইশান্ত বলতে থাকেন, ‘‘এই বলটা আলাদা রকমের। লাল বল যেমন খেলা শুরুর দিকে সুইং করে, এটা তেমনটা নয়। প্রথমে সুইং করেনি। তাই আমরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করি। ঠিক করি, বল পিচে পড়ে যাতে নড়াচড়া করে, তার জন্য চেষ্টা করতে হবে। সেটা করতেই এই সাফল্য।’’

এ বার ইশান্ত পাল্টা প্রশ্ন করেন রোহিতকে। জানতে চান, ‘‘গোলাপি বলে ক্যাচ ধরাও তো খুব কঠিন কাজ। উমেশের বলে বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসে মোমিনুল হকের যে ক্যাচটা স্লিপে দাঁড়িয়ে তুমি ধরলে, তার রহস্যটা বলো তো?’’ রোহিত বলেন, ‘‘বলটা যখন ব্যাটের কানায় লাগে, তখনই বুঝেছিলাম আমার আর বিরাটের মাঝামাঝি জায়গা দিয়ে বলটা যাবে। দ্বিতীয় স্লিপে দাঁড়ালে একটা কথা মাথায় রাখতে হয়, ঝাঁপালে পুরো ঝাঁপাও। দ্বিধা রেখে ঝাঁপ দিও না। তাই পুরো ঝাঁপিয়েছিলাম। দেখলাম, ভাগ্যক্রমে ক্যাচটা হাতে জমে গিয়েছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE