অলিম্পিক্সের দু’টি পদক রয়েছে তাঁর ঝুলিতে। কমনওয়েলথ গেমসেও তিনিই দু’বারের চ্যাম্পিয়ন। নতুন করে তাঁর কিছু প্রমাণ করার নেই ঠিকই। তবুও ২০১৬ রিও অলিম্পিক্সে সুযোগ না পাওয়ার যন্ত্রণা এখনও পিছু ছাড়েনি সুশীল কুমারের। এ বারের কমনওয়েলথ গেমসে চ্যাম্পিয়ন হয়ে কিছুটা হলেও তা মিটিয়ে নিতে চাইছেন ভারতের অলিম্পিক্স পদকজয়ী কুস্তিগির। পাশাপাশি কমনওয়েলথ গেমসে নিজের পারফরম্যান্সের ভিত্তিতেই আগামী অলিম্পিক্সে খেলার সিদ্ধান্ত নেবেন সুশীল।
সুশীল বলেছেন, ‘‘যে দিন থেকে ম্যাটে প্রবেশ করেছি, ঠিক সে দিন থেকে দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করার খিদেটা রয়েইছে। ফিট থাকাকালীন প্রত্যেক ম্যাচেই নিজের একশো শতাংশ উজাড় করে খেলেছি। নতুন করে নিজেকে প্রমাণ করার কিছু নেই।’’ তাঁর এই মন্ত্যবে ঠিক যেন রিও অলিম্পিক্সে সুযোগ না পাওয়ার যন্ত্রণাটা লুকিয়ে রয়েছে।
এ বারের কমনওয়েলথ গেমসে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার তাগিদেই চলতি সপ্তাহের শেষে দশ দিনের শিবিরে জর্জিয়া উড়ে যাচ্ছেন সুশীল। ভারতের টার্গেট অলিম্পিক পোডিয়াম স্কিমের (টিওপিএস) আওতায় তাঁকে নেওয়া হয়নি। তবুও পদক জয়ের তাগিদে নিজের খরচে উড়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ভারতীয় কুস্তিগির। অথচ তাঁর সতীর্থ হরপুল কিন্তু অলিম্পিক গোল্ড কোয়েস্টের সাহায্যে জর্জিয়া উড়ে যাচ্ছেন। সে বিষয়ে সুশীলের বক্তব্য, ‘‘টিওপিএস-এর সাহায্য আমার দরকার নেই। দেশের জার্সিতে বরাবর জেতার জন্যই খেলে এসেছি। সেই তাগিদেই শিবিরে উড়ে যাচ্ছি।’’
লন্ডন অলিম্পিক্সে অল্পের জন্য চ্যাম্পিয়ন হতে পারেননি তিনি। তাই ভারতের হয়ে অলিম্পিক্সে সোনা জেতার স্বপ্ন এখনও তরতাজা রয়েছে তাঁর মধ্যে। সে বিষয়ে ৩৪ বছর বয়সি কুস্তিগিরের প্রতিক্রিয়া, ‘‘স্বপ্ন এখনও পূরণ হয়নি। লন্ডন অলিম্পিক্সে খুব কাছে গিয়েও সোনা জিততে পারিনি। আমার মতে জীবনযাপনে শৃঙ্খলা ধরে রাখতে পারলে চল্লিশ বছর বয়স পর্যন্ত দেশের হয়ে খেলা সম্ভব। তাই আমিও সে কথাই ভাবছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy