ছবি: শঙ্কর নাগ দাস।
বহু বছর পরে বৃহস্পতিবার ইডেন গার্ডেন্সে একটা ম্যাচ হবে যেখানে তার প্রিয় প্রেসিডেন্ট জগমোহন ডালমিয়া থাকবেন না। তবে উনি সশরীরে মাঠে না থাকলেও ওঁর আত্মা, ওঁর স্মৃতি এই স্পেশ্যাল মাঠে অনেক, অনেক দিন অটুট থাকবে। ইডেনে তাই আজ শুধু ক্রিকেটের আবেগই নয়, আমাদের সবার জন্য একটা অন্য আবেগও থাকবে।
ম্যাচের কথায় আসি। এই ম্যাচটা নিয়মরক্ষার হলেও দু’দলের ক্রিকেটীয় মানের বিচারে বড় লড়াই তো বটেই। এটা লম্বা সফর, এই সবে শুরু হল। তাই দুটো টিমেরই খেলার জন্য অনেক কিছুর আছে। সফরের বাকি সময়টা টিমের আত্মবিশ্বাস কেমন থাকবে, সেটা ঠিক করে দিতে পারে এই ম্যাচ।
বরাবরের মতো ইডেনে এ বারও প্রচুর রান উঠবে। মাঠটা আর আগের মতো বড় নেই, তাই বাউন্ডারিও বেশি আসবে। এই মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকা অতীতে সাফল্য পেয়েছে। এ বারও এখানকার পিচে ব্যাটিংটা উপভোগ করবে। ভারতীয়দের জন্যও পিচটা ভাল হবে। কিছুটা স্লো, তবে বল খুব বেশি ঘুরবে না। এই মরসুমে এটাই ইডেনে প্রথম ম্যাচ। তার উপর প্রচুর বৃষ্টিও হয়েছে হালফিলে। তাই দক্ষিণ আফ্রিকান পেসাররা পিচে কিছুটা আড়াআড়ি মুভমেন্ট পেতে পারে।
শুধু ইডেন নয়, ভবিষ্যতের অন্য ম্যাচেও ভারতের উচিত ভাল ব্যাটিং পিচে খেলা। কারণ বড় রান করতে পারলে ওরা জয়ের দৌড়ে থাকবে। ঘরের মাঠে ২০১২-র ইংল্যান্ড সিরিজের হার থেকে শেখা উচিত ওদের। প্যাট সিমকক্সের পর ইমরান তাহিরই ভারত সফরে আসা সেরা দক্ষিণ আফ্রিকান স্পিনার। ঘূর্ণি পিচে পেসাররা প্রথম দিকে চাপ তৈরি করলে তাহির পরেও সেটা ধরে রাখতে পারবে। দক্ষিণ আফ্রিকা এই সুযোগে নতুন কয়েক জনকে দেখে নিতে পারে। ভারতের অবশ্য সেই সৌভাগ্য নেই, কারণ ওরা নিশ্চয়ই ০-৩ হারতে চাইবে না।
ভারতকে বলব, অজিঙ্ক রাহানেকে খেলাতেই হবে। প্রতিটা ফর্ম্যাটে অতি অবশ্যই ওর টিমে থাকা উচিত। ওকে বাদ দেওয়ার ভুলটা দ্রুতই শোধরানো দরকার। আর হ্যাঁ, ধোনিকে চারে ব্যাট করতে হবে। ও এখন টেস্ট খেলে না বলে দুটো সিরিজের মধ্যে বেশ বড় ব্যবধান তৈরি হয়ে যায়। তাই ছন্দে থাকতে ওর উচিত যত বেশি সম্ভব বল খেলা। ওকে বুঝতে হবে যে, শুধু অধিনায়কত্ব নয়, রান করাটাও ওর পক্ষে সমান গুরুত্বপূর্ণ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy