চ্যালেঞ্জ: জুভেন্তাসের গোলকিপার বুফনকে টপকে যাচ্ছেন টটেনহ্যামের হ্যারি কেন। ছবি: গেটি ইমেজেস
হ্যারি কেন- ক্রিস্টিয়ান এরিকসেন যুগলবন্দি। জুভেন্তাসের বিরুদ্ধে ০-২ পিছিয়ে পড়েও নাটকীয় প্রত্যাবর্তন টটেনহ্যাম হটস্পারের!
মঙ্গলবার রাতে তুরিনে ঘরের মাঠে আলিয়ান্জ এরিনায় ম্যাচের নয় মিনিটের মধ্যেই ২-০ এগিয়ে গিয়েছিল জুভেন্তাস। নায়ক গঞ্জালো হিগুয়াইন। অথচ ম্যাচ শেষ হওয়ার পরে তিনি-ই জুভেন্তাস সমর্থকদের কাছে খলনায়ক!
মিরালেম পিয়ানিচের পাস থেকে গোল করে ম্যাচের দু’মিনিটেই জুভেন্তাসকে এগিয়ে দেন হিগুয়াইন। সাত মিনিটের মধ্যেই পেনাল্টি থেকে করেন দ্বিতীয় গোল। ৩৫ মিনিটে গোল করে ব্যবধান কমান টটেনহ্যামের হ্যারি কেন। দল এগিয়ে থাকলেও হতাশায় মাথায় হাত দিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন জুভেন্তাস গোলরক্ষক জানলুইজি বুফন। ৬৯৪ মিনিট কোনও গোল খাননি তিনি। কিন্তু মঙ্গলবার রাতে ঘরের মাঠে রক্ষণের ভুলে তাঁর কীর্তি ম্লান হয়ে গেল হ্যারি কেনের কাছে।
প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার আগেই অবশ্য নাটকীয় ভাবে বদলে গিয়েছিল ছবিটা। ফের পেনাল্টি পায় জুভেন্তাস। হ্যাটট্রিকের করতে মরিয়া হিগুয়াইন পেনাল্টি নিতে এগিয়ে যান। কিন্তু এ বার আর্জেন্তিনা স্ট্রাইকারের শট ধাক্কা খায় ক্রসবারে। ২-১ এগিয়ে থাকলেও পেনাল্টি নষ্ট করার যন্ত্রণায় কাঁদতে কাঁদতে ড্রেসিংরুমে ফেরেন হিগুয়াইন। টেলিভিশনের ধারাভাষ্যকাররা বলছিলেন, ‘‘হিগুয়াইনের এই পেনাল্টি নষ্ট করাটাই না টটেনহ্যামকে ঘুরে দাঁড়াতে সাহায্য করে।’’ তাঁদের আশঙ্কাই মিলে গেল। দ্বিতীয়ার্ধে ৭৩ মিনিটে গোল করে এরিকসেন শুধু সমতাই ফেরাননি, টটেনহ্যামের কোয়ার্টার ফাইনালে খেলার সম্ভাবনাও উজ্জ্বল করলেন। ম্যাচের সেরাও হন তিনি।
প্রথম পর্বে ফলের নিরিখে, ঘরের মাঠে ফিরতি লেগে ১-০ জিতলেই শেষ আটে পৌঁছে যাবেন হ্যারি কেন-রা। ম্যাচের পরে টটেনহ্যাম কোচ মৌরিসিও পোচেত্তিনো বলছিলেন, ‘‘আমরা এখন অনেক পরিণত। ড্র নয়, এই ম্যাচটা জেতা উচিত ছিল।’’ সঙ্গে যোগ করছেন, ‘‘দ্বিতীয়ার্ধে আমরা অনেক ভাল খেলেছি। তবে জয়ের জন্য যে ভাগ্যটা দরকার, সেটা আমাদের সঙ্গে ছিল না।’’ টটেনহ্যাম ম্যানেজারের মতে, চ্যাম্পিয়ন হওয়ার যোগ্যতা রয়েছে হ্যারি কেন-দের। তিনি বলেছেন, ‘‘আমরাও চ্যাম্পিয়ন হতে পারি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy