দেশের সর্বোচ্চ আদালতে ভারতীয় ক্রিকেট প্রশাসনের ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা অব্যাহত। তাতেও অবশ্য বোর্ডের শীর্ষকর্তাদের মধ্যে কাজিয়া বন্ধ হয়নি। ভারপ্রাপ্ত শীর্ষকর্তারা এবং আদালত নিযুক্ত কমিটি অফ অ্যাডমিনেস্ট্রেট্র্স (সিওএ) প্রধান বিনোদ রাই ও তাঁর সমর্থকদের মধ্যে মতবিরোধ লেগেই থাকছে। মনসুর আলি খান পটৌডি স্মারক বক্তৃতার বক্তা থেকে শুরু করে আইপিএলে ম্যাচের সময় এগোনো—সব ব্যাপারেই দ্বিমত দেখা যাচ্ছে বোর্ডের মধ্যে।
১২ জুন বেঙ্গালুরুতে পটৌডি স্মারক বক্তৃতার জন্য বোর্ডের ক্রিকেট সংক্রান্ত জেনারেল ম্যানেজার সাবা করিম চার বক্তার নাম প্রস্তাব করেছিলেন। এঁরা হলেন, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, নাসের হুসেন, কেভিন পিটারসেন ও কুমার সঙ্গকারা। সিওএ সদস্য ডায়ানা এডুলজি বেছে নেন সঙ্গকারাকে। যাতে সায় ছিল বিনোদ রাইয়েরও। কিন্তু বোর্ডের ভারপ্রাপ্ত সচিব অমিতাভ চৌধুরি সিওএ প্রধানকে জানান, অতীতের কোনও কিংবদন্তি ক্রিকেটারকে এই স্মারক বক্তৃতায় ডাকা উচিত।
বিনোদ রাইকে পাঠানো ই-মেলে অমিতাভ মন্তব্য করেন, ‘‘এটা কোনও বক্তৃতা প্রতিযোগিতা নয়।’’ ই-মেলে তিনি জানান, ‘‘সাবা করিমের সঙ্গে এই নিয়ে আলোচনায় আমি চাঁদু বোরডে, নরি কন্ট্রাক্টর, এরাপল্লি প্রসন্ন ও আব্বাস আলি বেগের মতো অতীতের তারকা ক্রিকেটারদের নাম বলেছিলাম।’’ তিনি জানান, সাবা এই তালিকায় সেই প্রাক্তন ক্রিকেটারদেরই রাখেন, যাঁরা ধারাভাষ্য বা ক্রিকেট প্রশাসনে যুক্ত রয়েছেন। ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট সি কে খন্না ও কোষাধ্যক্ষ অনিরুদ্ধ চৌধুরি অবশ্য সাবার প্রস্তাবিত নামগুলিতেই সায় দিয়েছিলেন।
এক দিকে যখন এই বিতর্কে সরগরম বোর্ড, অন্য দিকে তখন আর এক বিতর্ক দানা বাঁধতে শুরু করেছে। আইপিএলের প্লে-অফ ম্যাচগুলির সময় এক ঘণ্টা এগিয়ে সন্ধে সাতটা থেকে করার সিদ্ধান্তে আপত্তি জানিয়েছেন কোষাধ্যক্ষ অনিরুদ্ধ চৌধুরি। রাইকে পাঠানো ই-মেলে তাঁর বক্তব্য, ‘আইপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সব সদস্যকে না জানিয়ে এ ভাবে শুধু চেয়ারম্যানের (রাজীব শুক্ল) সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার পদ্ধতিটা ঠিক নয়। প্লে-অফ আর মাত্র দিন পনেরো পরে। এই সময় হঠাৎ এমন একটা সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত নয়।’ তিনি প্রশ্ন তোলেন, আইপিএল শুরুর আগে কেন এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হল না? আইপিএল শুরুর আগে গভর্নিং কাউন্সিলের সভায় এই প্রসঙ্গ উঠলেও এই ব্যাপারে একমত হননি সদস্যরা। তা সত্ত্বেও কী করে শুধু বিনোদ রাই ও রাজীব শুক্ল দু’জনে মিলে এই সিদ্ধান্ত নিলেন, সেটাই জানতে চেয়েছেন অনিরুদ্ধ। এ ভাবে যে সময় বদলের সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত হয়নি, সেই মতও প্রকাশ করেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy