Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

বিজয়ের মানসিক দৃঢ়তায় মুগ্ধ অধিনায়ক কোহালি

জামতায় মঙ্গলবার দ্বিতীয় ওয়ান ডে’তে দুর্দান্ত জয়ের পর কোহালি এবং বিজয় শঙ্কর উপস্থিত হয়েছিলেন ‘চহাল টিভি’র সামনে। সেখানে স্পষ্ট ভাষায় কোহালি জানিয়ে দেন, বিজয়ের মানসিক দৃঢ়তা দেখে তিনি মুগ্ধ। কোহালি বলেছেন, ‘‘ম্যাচটা আমাদের কাছে বেশ কঠিন ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আমরা লড়াই করে জয় ছিনিয়ে নিয়েছি। সেটাই আনন্দের।’’

নায়ক: বুধবার রাঁচী বিমানবন্দরে বিজয় শঙ্কর। পিটিআই

নায়ক: বুধবার রাঁচী বিমানবন্দরে বিজয় শঙ্কর। পিটিআই

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ০৭ মার্চ ২০১৯ ০৫:০৪
Share: Save:

মঙ্গলবার শেষ ওভারের দুর্দান্ত বোলিং ইংল্যান্ডগামী বিমানে তাঁর আসন পাকা করে দিল কি না, তা নিয়ে বিজয় শঙ্কর নির্বিকার থাকারই চেষ্টা করছেন। তবে অধিনায়ক বিরাট কোহালির প্রশংসা সম্ভবত মানসিক ভাবে তরতাজাই করে রাখবে তামিলনাড়ুর এই অলরাউন্ডারকে।

জামতায় মঙ্গলবার দ্বিতীয় ওয়ান ডে’তে দুর্দান্ত জয়ের পর কোহালি এবং বিজয় শঙ্কর উপস্থিত হয়েছিলেন ‘চহাল টিভি’র সামনে। সেখানে স্পষ্ট ভাষায় কোহালি জানিয়ে দেন, বিজয়ের মানসিক দৃঢ়তা দেখে তিনি মুগ্ধ। কোহালি বলেছেন, ‘‘ম্যাচটা আমাদের কাছে বেশ কঠিন ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আমরা লড়াই করে জয় ছিনিয়ে নিয়েছি। সেটাই আনন্দের।’’

সেখানেই না থেমে কোহালি আরও বলেছেন, ‘‘ব্যক্তিগত ভাবে আমি অভিনন্দন জানাচ্ছি বিজয়কে। ব্যাটিং এবং শেষ ওভারে ও অনবদ্য বোলিং করেছে। ওর মানসিক শক্তির পরিচয় সেখানেই পেয়ে গিয়েছি।’’ ভারত অধিনায়কের আরও মন্তব্য, ‘‘ওর সঙ্গে ব্যাটিংটাও আমি দারুণ উপভোগ করেছি। কিছু কিছু সময়ে ও বেশ আগ্রাসী মেজাজেই রান তুলছিল, সেটা আমার চাপ অনেকটাই হাল্কা করে দিয়েছিল। ওর থেকে এমন ইনিংসই প্রত্যাশা করেছিলাম।’’

যুজবেন্দ্র চহালের প্রশ্ন ছিল, শেষ ওভারে বিজয়কে বল করানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া কতটা কঠিন ছিল? বিরাট বলেছেন, ‘‘আমি এটা নিয়ে ধোনি ভাই এবং রোহিতের সঙ্গে কথা বলেছিলাম। সেই সময় আমার হাতে বিকল্প হিসেবে ছিল কেদার যাদব এবং বিজয়। ওদের মধ্যে থেকে একজনকে বেছে নিতে হত।’’ বিজয়কে আনার প্রসঙ্গে কোহালি বলেন, ‘‘শেষ ওভারে স্পিনারকে বল করতে দিলে ব্যাটসম্যান উইকেট ছেড়ে বেরিয়ে এসে বড় শট নেওয়ার ঝুঁকি নিত। তা আমাদের পক্ষে ভাল হত না। সেখানে পেসারকে বল দিলে ব্যাটসম্যানের পক্ষে লম্বা শট নেওয়া নেওয়া সহজ হত না। ফলে আমি কেদারের বদলে বল তুলে দিই বিজয়ের হাতে।’’

তারই সঙ্গে কোহালি ফাঁস করেছেন আরও একটি বিষয়। তিনি বলেছেন, ‘‘আগেই লক্ষ্য করেছিলাম, বিজয় হাল্কা করে রিভার্স সুইং করাচ্ছিল। আমার মনে হয়েছিল, শেষ ওভারে ও যদি রিভার্স সুইংটা সামান্যও করাতে পারে, তাতে লাভ হতে পারে আমাদের। তাই হল। প্রথম এবং তৃতীয় বলে উইকেট তুলে নিল বিজয়। রিভার্স সুইং করিয়েই বিজয় অস্ট্রেলিয়ার শেষ উইকেট তুলে নিয়েছিল। ওর বোলিংটা দারুণ উপভোগ করেছি।’’

আন্তর্জাতিক ওয়ান ডে ম্যাচে পাঁচশোতম জয়ের সঙ্গে চল্লিশ নম্বর সেঞ্চুরি। অধিনায়ক কোহালির কাছে সেই জোড়া সাফল্য কতটা মূল্যবান? বিরাট বলেছেন, ‘‘বেশ গরমের মধ্যে খেলতে হয়েছে দু’দলকে। ব্যাট করতে নেমে বুঝতে পারি, উইকেট বেশ মন্থর প্রকৃতির। বিশেষ করে, কুড়ি ওভারের পর ব্যাটিং করা কঠিন হয়ে পড়েছিল। তাই আমি ঠিক করে নিয়েছিলাম, পুরো পঞ্চাশ ওভার খেলতে হবে।’’ আরও বলেন, ‘‘রানটা ২৬০-২৭৫য়ের মধ্যে নিয়ে যাওয়ার কথা ভেবে রেখেছিলাম। দুর্ভাগ্যবশত সেটা হয়নি। তবে বোলাররা আগাগোড়া সঠিক নিশানায় বল করে ম্যাচটা বার করে এনেছে। এই সাফল্য দলীয় সংহতির ফসল। আমার সেঞ্চুরিকে আলাদা ভাবে বাড়তি কৃতিত্ব দেওয়ার প্রয়োজন অনুভব করছি না।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE