Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

চোখের জলে ম্যান সিটি ছাড়লেন কোম্পানি

শনিবার রাতে ইংল্যান্ডের প্রথম ক্লাব হিসেবে ঘরোয়া প্রতিযোগিতায় ওয়াটফোর্ডকে ৬-০ চূর্ণ করে ত্রিমুকুট জয়ের পরে চোখের জলে ম্যান সিটিকে বিদায় জানালেন তিনি।

সমাপ্তি: অবশেষে ম্যান সিটি ছাড়ছেন কোম্পানি। রয়টার্স

সমাপ্তি: অবশেষে ম্যান সিটি ছাড়ছেন কোম্পানি। রয়টার্স

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ২০ মে ২০১৯ ০৪:৪৪
Share: Save:

এগারো বছর ধরে ম্যাঞ্চেস্টার সিটি ও ভ্যাঁ স কোম্পানি সমার্থক হয়ে উঠেছিল। অবশেষে সেই সম্পর্ক ছিন্ন করার কথা ঘোষণা করলেন বেলজিয়াম জাতীয় দলের তারকা। এ বার তাঁকে দেখা যাবে অন্দারলেখ‌্টে ফুটবলার ও ম্যানেজারের ভূমিকায়।

শনিবার রাতে ইংল্যান্ডের প্রথম ক্লাব হিসেবে ঘরোয়া প্রতিযোগিতায় ওয়াটফোর্ডকে ৬-০ চূর্ণ করে ত্রিমুকুট জয়ের পরে চোখের জলে ম্যান সিটিকে বিদায় জানালেন তিনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় সমর্থকদের উদ্দেশে দীর্ঘ আবেগঘন চিঠিতে কোম্পানি লিখেছেন, ‘‘টানা দু’বার ইপিএল ও লিগ কাপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছি। এফএ কাপ জিতলাম। অসাধারণ একটা মরসুম শেষ করলাম। ‘ব্লু’ (ম্যান সিটি)-র হয়ে আমার এগারোতম ট্রফি জয়। অবিশ্বাস্য। ম্যান সিটির ফুটবলার হিসেবে এটাই আমার শেষ চিঠি। অসংখ্যবার আমি এই দিনটার কথা ভেবেছি। তা সত্ত্বেও এখনও বিশ্বাস হচ্ছে না। ম্যান সিটি আমাকে সব দিয়েছে। আমিও চেষ্টা করেছি প্রতিদান দেওয়ার।’’ এখানেই শেষ নয়। তিনি আরও লিখেছেন, ‘‘সমর্থকদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। ওদের জন্যই আমি এই জায়গায় পৌঁছতে পেরেছি। ম্যান সিটির সমর্থকদের আমি কখনও ভুলতে পারব না। ওরা আমার ভাল ও খারাপ সময়ে পাশে ছিল। সব সময় উদ্বুদ্ধ করেছে। ম্যান সিটির সমর্থকদের জন্যই আমি কখনও লড়াই থেকে সরে যাইনি।’’ মাঠে হার না মানা মানসিকতার জন্য সতীর্থেরা কোম্পানিকে ‘প্রেসিডেন্ট’ বলে ডাকতেন। বিদায় বার্তায় সতীর্থদের কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তিনি লিখেছেন, ‘‘ওরা আমার পাশে ছিল বলেই সফল হয়েছি। ম্যান সিটিতে প্রথম দিন থেকেই ওরা আমাকে লড়াইয়ে জিততে সাহায্য করেছে।’’

ম্যান সিটিকে বিদায় জানানোর দিনেও কোম্পানির মনে কাঁটার মতো বিঁধে রয়েছে মায়ের সামনে এতিহাদ স্টেডিয়ামে খেলতে না পারার যন্ত্রণা। তিনি লিখেছেন, ‘‘আমার মাকে এতিহাদ স্টেডিয়ামে ম্যাচ দেখাতে নিয়ে আসতে চেয়েছিলাম। শোনাতে চেয়েছিলাম ম্যান সিটির সমর্থকদের গান। চেয়েছিলাম, আমার স্ত্রী ও সন্তানদের পাশে বসে খেলা দেখবেন মা। কিন্তু মায়ের অকাল প্রয়াণে সেই স্বপ্ন অধরাই থেকে গেল। আমার জীবনে এটাই একমাত্র আক্ষেপ।’’

কোম্পানির উত্থান অন্দারলেখ‌্টের যুব দল থেকে। ২০০৩ সালে সিনিয়র দলে সুযোগ পান। তিন বছর খেলার পরে যোগ দেন হামবুর্গ এফসিতে। ২০০৮ সালে সই করেন ম্যান সিটিতে। এগারো বছরে পরে প্রথম ক্লাবেই ফিরে গেলেন ‘প্রেসিডেন্ট’।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE