Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

চাপ ভাবলেই চাপ, বলে দিচ্ছেন বিরাট কোহালি

আমরা ধরেই নিয়েছি, এ রকম প্রাণবন্ত পিচই দেওয়া হবে। আমরা এ রকমই পিচ চাইছি যাতে দু’দলই প্রতিযোগিতায় থাকতে পারে।

মহড়া: অনুশীলনে কঠিন ক্যাচ ধরতে মরিয়া বিরাট কোহালি। ছবি: এএফপি।

মহড়া: অনুশীলনে কঠিন ক্যাচ ধরতে মরিয়া বিরাট কোহালি। ছবি: এএফপি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
সেঞ্চুরিয়ন শেষ আপডেট: ১৩ জানুয়ারি ২০১৮ ০৩:৪২
Share: Save:

নেট প্র্যাক্টিসে আগ্রাসী মনোভাব নিয়ে উপস্থিত হয়েছিলেন বৃহস্পতিবার। আর এ দিন একই রকম আক্রমণাত্মক বিরাট কোহালি-কে পাওয়া গেল টেস্টের আগের দিন সাংবাদিক সম্মেলনে। ০-১ পিছিয়ে থাকলেও নরমসরম কথাবার্তা বলার কোনও ব্যাপার নেই। তুলে দেওয়া হল নির্বাচিত অংশ।

পিচ অন্য রকম কি না: আমার মনে হয় না। এখনও বেশ প্রাণ রয়েছে বলেই আমার মনে হচ্ছে। আমরা ধরেই নিয়েছি, এ রকম প্রাণবন্ত পিচই দেওয়া হবে। আমরা এ রকমই পিচ চাইছি যাতে দু’দলই প্রতিযোগিতায় থাকতে পারে। কেপ টাউনের পিচ দেখে আমরা খুশি হয়েছিলাম, কারণ ম্যাচে ফেরার অনেক সুযোগ দিচ্ছিল ওই পিচ। ম্যাচ জেতার মতো পরিস্থিতিও আমরা অনেক তৈরি করতে পেরেছিলাম।

দক্ষিণ আফ্রিকায় ইতিহাস: আমি প্রথম সাংবাদিক সম্মেলনেই বলেছিলাম, এখানে বাউন্স দেখে চমকে গেলে হবে না। বিশ্বের অন্য জায়গাতেই হয়তো খেলা কঠিন কিন্তু এখানে বাউন্সটাই প্রধান চ্যালেঞ্জ। এখানে খুব খাড়া বাউন্স থাকে। সেটার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়াটাই আসল চ্যালেঞ্জ। গত বার যখন দক্ষিণ আফ্রিকায় এসেছিলাম, ওয়ান ডে সিরিজে আমাদের সমস্যা হয়েছিল। তার পর টেস্ট সিরিজের সময় আমরা সকলে বেশ ভাল মতো জানতাম, কী ভাবে মানিয়ে নিতে হবে। সেই কারণে বলছি, প্রথম টেস্ট আমাদের অনেক অভিজ্ঞতা দিয়ে গেল। আমি নিশ্চিত এখানেও একই রকম পেস আর বাউন্স থাকবে। কিন্তু একই সঙ্গে আমি নিশ্চিত যে, কেপ টাউনে ব্যাটিং যে ভুল করেছিল, সেটা আর এখানে করবে না।

আরও পড়ুন: সেঞ্চুরিয়নের পিচ দেখে অবাক দু প্লেসি, খুশি বিরাট

বাঁ হাতি-ডান হাতি কম্বিনেশন: আমার মনে হয় না বেশি উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনও কারণ আছে। আমাদের অনেক বেশি মনঃসংযোগ করতে হবে। সজাগ থাকতে হবে। উল্টোপাল্টা শট খেলা চলবে না। পাঁচ ব্যাটসম্যান খেলাই কী ছয় জন, আমাদের সচেতনতা দেখাতে হবে। এমন নয় যে, ছয় ব্যাটসম্যানে খেললে যেমন খুশি স্ট্রোক খেলে আসতে পারব আমরা। টিম কম্বিনেশন যা-ই হোক, একেবারেই প্যানিক করার কোনও দরকার নেই। ব্যাটিং ইউনিট হিসেবে আমরা সব জায়গাতেই ভাল করেছি। এই পরিবেশের সঙ্গে শুধু আমাদের মানিয়ে নিতে হবে।

অধিনায়ক হিসেবে কঠিন সিদ্ধান্ত: প্রথম একাদশ নানা কারণে পাল্টাতে পারে। পরিবেশ-পরিস্থিতি অনুযায়ী বদল করতে হতে পারে। আবার চোট-আঘাতের জন্যও পাল্টাতে পারে। বোলারদের পারফরম্যান্সে আমরা খুবই খুশি। আমরা বিশ্বাস করি, ওদের কুড়িটা উইকেট আবার আমরা তুলতে পারি।

ব্যাটসম্যানদের ইচ্ছাশক্তি: আমি বলতে চেয়েছি, আক্রমণ বা রক্ষণ, ব্যাটসম্যানের মধ্যে তীব্রতা থাকতে হবে। একটা বল ছাড়ার সময়েও আমার মধ্যে আগ্রাসন থাকতে পারে। এমন নয় যে, শুরু থেকেই স্ট্রোক নেওয়াটাই শুধু ইতিবাচক মনোভাব দেখানো। ইতিবাচক মানে বলছি না, প্রত্যেক বলেই স্কোর করতে হবে। এটা একটা মানসিক অবস্থান। এবং, সেটা থাকলে খেলায় প্রভাব পড়বে।

চাপ কাটানোর লক্ষ্য: ব্যাপারটা কঠিন লাগবে তখনই যদি মনের দিক থেকে আপনার কঠিন মনে হয়। সব কিছুই মানসিক। আম্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলতে এসে আপনার সামনে দু’টোই পথ খোলা। হয় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে এখানে থাকো আর নয়তো প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে দূরে চলে যাও। আর মাঠে নামলে খুব সহজেই প্রতিপক্ষ বুঝে যাবে, আপনার মনাসিক অবস্থানটা ঠিক কোনটা। আমার মনে হয়, কেপ টাউনে টেস্ট হারলেও আমরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছি। দারুণ ভাবে টেস্টে ফিরে এসেছিলাম। সেটা থেকে আমাদের অনেক ইতিবাচক তরঙ্গ নেওয়ার আছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE