সতীর্থদের সঙ্গে বিরাট
হাতে এত সময় পেয়েও সাবাইনা পার্ক টেস্ট না জেতায় ভারতের হতাশ হওয়াই উচিত। ভারতের ডিক্লেয়ারেশন নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে। কিন্তু আমার মনে হয় বিরাট কোহালি যা করেছে, একদম ঠিক করেছে। বৃষ্টির উপর তো কারও নিয়ন্ত্রণ থাকে না। তা ছাড়া তার পরেও ভারতের হাতে যথেষ্ট সময় ছিল। কিন্তু ওয়েস্ট ইন্ডিজ যে ভাবে পাল্টা লড়াই দিল, অসাধারণ।
বৃষ্টি ভারতের হাত থেকে অনেকটা সময় ছিনিয়ে নিলেও ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ব্যাটিং লাইন আপের আলাদা প্রশংসা প্রাপ্য। ডরিচ, চেজ, হোল্ডার আর ব্ল্যাকউডের লড়াই বাকি দুটো টেস্টে ওদের অনুপ্রেরণা জোগাবে। সাবাইনা পার্কে প্রথম তিনটে ইনিংসে ওদের দেখে মনে হচ্ছিল, সব আশা হারিয়ে ডুবতে বসেছে। তার পর চতুর্থ ইনিংসে ওই দুর্দান্ত লড়াই। চার টেস্টের সিরিজে কোনও দল যখন খারাপ অবস্থায় থাকে, তখন এ রকম একটা পারফরম্যান্স গোটা টিমকে টেনে তোলে। অতীতে এ রকম পারফরম্যান্স সিরিজের মোড়ও ঘুরিয়ে দিয়েছে। সেটা এই সিরিজে হবে কি না, সময় বলবে।
ক্যারিবিয়ান রক্ষণের যে জিনিসটা সবচেয়ে চোখে পড়ার মতো, সেটা ওদের পজিটিভ ব্যাটিং। ব্ল্যাকউড শুরুটা করলেও চেজের ইনিংসে নিয়ন্ত্রণ বেশি ছিল। পরিস্থিতি বুঝে ব্যাটিংও ও বেশি ভাল করেছে। পাঁচ উইকেট নেওয়ার পর সেঞ্চুরি, সত্যিই অসাধারণ পারফরম্যান্স। ভাবা যায়, ছেলেটা সবে দুটো টেস্ট খেলেছে! প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে চেজ দারুণ পারফর্ম করেছে। সেটা আন্তর্জাতিক স্তরেও করতে পেরে ও নিশ্চয়ই দারুণ খুশি। চেজ বলটাও খুব ভাল করে। লাইনের উপর ওর নিয়ন্ত্রণ আছে।
জেসন হোল্ডারের কথাও আলাদা করে বলতে হবে। প্রথম টেস্টের পর ও নিজের খেলায় অনেকটা উন্নতি করেছে। কয়েকটা দুর্ধর্ষ স্পেল করেছে। আর তার পর ওয়েস্ট ইন্ডিজ যখন প্রচণ্ড চাপে, তখন ব্যাট হাতেও লড়েছে। অধিনায়কের থেকে এ রকম পারফরম্যান্স ড্রেসিংরুমে তার সম্মান বাড়িয়ে দেয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy