ম্যাচের আঠারোতম ওভারে বিপক্ষের সেরা অস্ত্র মহম্মদ আমেরকে পর পর দু’টি বাউন্ডারি। মাশরফির ওই দু’টি শটই ইতিহাস তৈরির প্রথম পদক্ষেপ হয়ে রইল চলতি এশিয়া কাপে। আর মাত্র একটা ম্যাচ। সেটা জিততে পারলেই তৈরি হবে নতুন ইতিহাস। তবে রবিবারের সেই মেগা ফাইনালের আগে পাকিস্তান বধের এই মুহূর্তটিকে তাড়িয়ে তাড়িয়ে উপভোগ করতে চাইছে মোর্তাজা অ্যান্ড কোং।
বুধবার সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত উত্সব চলেছে ঢাকার পথে পথে। ড্রেসিংরুমের সামনে ছিল রঙের ফোয়ারা। সতীর্থদের গায়ে জলের বোতল খালি করে ফেলেন নাসির। চোটের জন্য দল থেকে ছিটকে গেছেন মুস্তাফিজুর। উত্সবে সামিল তিনিও। সংবাদ সম্মেলনে যাওয়া-আসার পথে মাশরাফির পেছনে অজস্র সাংবাদিক। নিরাপত্তা টপকে মাঠে কিছু দর্শকও। লাল-সবুজ জার্সির বাঘদের দর্শন পেলেই ছবি তোলার জন্য চলল হুড়োহুড়ি।
এশিয়া কাপের ফাইনাল খেলবেন আশা করেছিলেন? প্রশ্নটা সাংবাদিকদেরই ফিরিয়ে দিলেন অধিনায়ক। “আপনারা কি আশা করেননি আমরা ফাইনালে যাব? আমি কিন্তু প্রথম থেকেই জানতাম। বিশ্বাস করতাম ছেলেদের উপর। ভারতের কাছে হারার পরও নিশ্চিত ছিলাম ফাইনাল খলব।”
পাক বধের জন্য মাশরফি কৃতিত্ব দিলেন গোটা দলকে। বললেন, “সবাই দুর্দান্ত খেলেছে। তাসকিনের স্পেল, সাকিবের অসাধারণ ক্যাচ, সৌম্যর ব্যাটিং— এগুলোর একটা ছাড়াও এই জয় হয়ত সম্ভব হত না।”
আর একটা ম্যাচ। সেটা জিততে পারলেই ছোঁয়া যাবে ইতিহাস। সেটা জানেন মাশরফিও। বললেন, “রবিবারের ম্যাচের জন্য আমরা পুরোপুরি তৈরি। আগের ম্যাচের ভুলগুলো থেকে শিক্ষা নিয়েই ভারতের বিরুদ্ধে মাঠে নামব। প্রত্যেকে নিজের ১০০ শতাংশ দিতে প্রস্তুত।”
আরও পড়ুন:
২২ গজে ১১ বাঙালির ব্যাঘ্র গর্জন, গ্যালারিতে আবেগে ভাসলেন শেখ হাসিনা
দেশকে রূপকথার রাত উপহার দিলেন মাশরফি
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy